কপিলমুনির হাউলী খালের মুখ বন্ধ, পানির অভাবে পোনা ছাড়তে পারছে না চিংড়ী চাষীরা

5
Spread the love

#চাষীদের ব্যাপক ক্ষতির আশংকা

পলাশ কর্মকার, কপিলমুনি

কপিলমুনির হাউলী মৌজার একমাত্র খালটির মুখ বেঁধে দেয়ায় বিপাকে পড়েছেন এ মৌজার শত শত চিংড়ী চাষী। প্রায় মাস খানেক খালটির মুখ বন্ধ থাকায় স্থানীয় হাড়িয়া নদীর পানি ঘেরে উঠাতে পারছে না চিংড়ী চাষীরা। ফলে মৌসুমের শুরুতে পানির অভাবে ঘেরে বাগদার পোনা ছাড়তে না পেরে বড় ধাক্কা খেল চিংড়ী চাষীরা। তবে কি কারনে চিংড়ী চাষে ব্যাঘাত ঘটিয়ে দীর্ঘদিন পানি সরবরাহের একমাত্র খালটির মুখ বন্ধ  করা হলো এমন প্রশ্নের জবাব খোলসা ভাবে দিতে পারেনি সংশ্লিষ্টরা।

কপিলমুনির ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কওছার আলী জোয়ার্দার জানান, সারা বছর যাতে হাড়িয়া নদীর পানি সরবরাহ করা যায় সে লক্ষ্যে খালটির বেঁধে দেয়া মুখে একটি কালভার্ট নির্মানের প্রক্রিয়া চলছে। কত দিনের মধ্যে কালভার্টটি নির্মিত হবে এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন আগামী সপ্তাহের মধ্যেই এ টি নির্মান করে উন্মুক্ত করা হবে। তবে এই সংক্ষিপ্ত সময়ের মধ্যে কালভার্ট নির্মানের কথা চিংড়ী চাষিরা আশ্বস্থ হতে পারছে না। তাই এবার চিংড়ী চাষে  বিড়ম্বনার আশংকায় পড়েছে তারা।

জানা যায়, হাউলী মৌজায় প্রায় দু’শতাধিক ছোট বড় চিংড়ী মৎস্য ঘের রয়েছে। এর সিংহ ভাগই প্রান্তিক চিংড়ী চাষী। তারা সবাই চিংড়ী চাষের উপর নির্ভরশীল। বিগত ৫/৬ বছর যাবৎ অব্যাহত ভাইরাস ও নানা প্রাকৃতিক বিপর্যয়ে লোকসানের কারনে তারা জর্জরিত। এ বছর চিংড়ী চাষের শুরুতে মারাত্বক পোনা সংকট ও ঘেরে পানি তুলতে না পারায় বড় লোকসানের মুখে পড়ে দেউলিয়া হয়ে যেতে পারেন বলে অনেক চিংড়ী চাষীরা জানান।

চিংড়ী চাষী মোঃ শহিদুল বলেন, এখনই ঘেরে চিংড়ী পোনা ছাড়ার মোক্ষম সময়। কারন এ সময়ের পোনা দ্রুত বর্ধনশীল ও ভাইরাসের আশংকা কম থাকে। অমিত মন্ডল বলেন, এখনকার নদীর পানি চিংড়ী পোনার জন্য অত্যন্ত সহিষ্ণু আর চমৎকার আবহাওয়ার কারনে পোনা ছাড়ার ৭০ থেকে ৭৫ দিনের মধ্যে চিংড়ী ধরা যায়। এ কারনেই এ সময়ে সহনীয় মাত্রায় লবনাক্ত পানি ঘেরে তুলে পোনা ছাড়তে না পারায় কাঙ্খিত চিংড়ী উৎপাদন করতে পারবেন না। যদি দ্রুত সময়ের মধ্যে হাউলী খালটির মুখে কালভার্ট তৈরী না করা যায় তাহলে এ মৌজায় চিংড়ী চাষে ব্যাপক ক্ষতি হবে। এর প্রভাবে স্থানীয় শত শত চিংড়ী চাষীর মারাত্বক অর্থনৈতিক বিপর্যয় ঘটবে। তাই প্রান্তিক চিংড়ী চাষীদের কথা বিবেচনা করে দ্রুত কালভার্টটি নির্মান করে চিংড়ী চাষ উপযোগী করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন চিংড়ী চাষীরা।