- ঢাকা অফিস
প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের উৎপত্তিস্থল চীনের উহান থেকে ঢাকায় ফিরেছে ৩১৪ বাংলাদেশি। ১ ফেব্রুয়ারি, শনিবার দুপুর ১২টার দিকে বিমান বাংলাদেশের একটি ফাইটে তারা ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন। তারপর তাদেরকে আশকোনা হজ্ব ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। তাদের মধ্যে আটজনের জ্বর ১০০ ডিগ্রির ওপরে থাকায় তাদেরকে চিকিৎসার জন্য সরকারি কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। উহান থেকে ফেরা বাংলাদেশিরা আশকোনা হজ ক্যাম্পে ১৪ দিনের জন্য পৃথক অবস্থায় পর্যবেক্ষণে থাকবেন। এ সময়ের মধ্যে তাদের সঙ্গে পরিবারসহ কেউই দেখা করতে পারবেন না।
হজ ক্যাম্পের একেকটি ফোরের মেঝেতে তাদের অনেককে একসঙ্গে পাশাপাশি বিছানা দেয়া হয়েছে। এমন ব্যবস্থাপনা দেখে হতাশা প্রকাশ করেছেন ফেরত আসা শিক্ষার্থীরা। উহান থেকে আসা এক বাংলাদেশি নাম প্রকাশ না করে বলেন, ‘চীনের উহানের পুরো শহর লকডাউন করা হয়েছে, যেন করোনা ভাইরাস না ছাড়ায়। আমরা চীনে এক রুমে ২-৩ জন থাকতাম। আর এখানে (হজ ক্যাম্পে) একটা খোলা ফোরে একসঙ্গে ৫৫ জনকে রাখা হয়েছে। তাও আবার মেঝেতে বিছানা দেয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘এখানে প্রচুর মশা। স্বাভাবিকভাবে বসতেও পারছি না। দেশে এসে এমন পরিস্থিতি দেখতে হবে আশা করিনি। উহানেই তো ভালোই ছিলাম।’
উহান ফেরত আরেক বাংলাদেশি ইশান ইসলাম বলেন, ‘এখানে ব্যবস্থাপনা দেখে আমরা হতাশ। এভাবে গণরুমে একসঙ্গে থেকে আমরা আরো বেশি ঝুঁকিতে। এত লোক একসঙ্গে পাশপাশি থাকলে কারও যদি সমস্যা দেখা দেয়, তাহলে বাকিরাও সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থাকবে।’ এর আগে চীন ফেরত বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষা প্রসঙ্গে আইইডিসিআরের পরিচালক ডা. মীরজাদী সেব্রিনা ফোরা বলেছিলেন, ‘আশা করছি, এই শিক্ষার্থীদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত কেউ নেই। এরপরও আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। হজ ক্যাম্পে তাদের রাখা হবে। সেখানে আমাদের চারটি মেডিক্যাল টিম থাকবে। তাদের সেখানে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে।’