- স্টাফ রিপোর্টার
লাল টুকটুকে মোটরবাইকের দুই পাশে রয়েছে দুটো সিলিন্ডার। একটিতে ২০ লিটার পানি, অন্যটিতে ২০ লিটার ফোম (কেমিক্যাল)। বাইকের পেছনে ১০০ ফুট পানির পাইপ পেঁচিয়ে রাখা। আরেক সিলিন্ডারে শুধু বাতাস। এ বাতাসে চাপ দিয়েই পানি ও ফোম দিয়ে বা পানি ও ফোমকে একসঙ্গে মিশিয়ে আগুন নেভানো হয়। সংকেত বাতির (বেকন লাইট) পাশাপাশি আছে সাইরেন বাজানোর ব্যবস্থাও রয়েছে। জনগণের সঙ্গে কথা বলার জন্য আছে মাইক্রোফোন। সব মিলে ৩০৫ কেজি ওজনের অত্যাধুনিক ১ হাজার বাইক এক বছর আগে বাংলাদেশ ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে উপহার দিয়েছিল চীন। যার ১০০টি আসে খুলনায়। এর মধ্যে ৭১টি এখন বিকল হয়ে পড়েছে। এ মোটরবাইকগুলো এখন স্টেশনের গ্যারেজেই শোভা পাচ্ছে । এই অত্যাধুনিক মোটরসাইকেল দেখে প্রথমদিকে ফায়ার ফাইটাররা খুশি হয়েছিলেন। কিন্তু এ মোটরসাইকেলগুলো একবার নষ্ট হলে তা আর মেরামত করা যাচ্ছে না। এর কোনও যন্ত্রাংশ বাংলাদেশে পাওয়া যাচ্ছে না। এছাড়া এসব গাড়ির যন্ত্রাংশের মূল্য আকাশ ছোঁয়া। এ জন্য বাধ্য হয়ে চীন সরকারের দ্বারস্থ হতে হচ্ছে বাংলাদেশ ফায়ার ফাইটেরদের। চীন থেকে মিস্ত্রি এনে মেরামত করাতে হচ্ছে। অথচ এর আগে ফায়ার সার্ভিস নিজ অর্থায়নে এই জাতীয় কিছু অত্যাধুনিক মোটরসাইকেল ক্রয় করেছিল। যা এখনও মেরামত করে ব্যবহার করা হচ্ছে।
খুলনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সাইদুজ্জামান বলেন, গাড়িগুলো পেয়ে খুশি হয়েছিলাম। কিন্তু কিছুদিন পরেই গাড়িগুলোর বিভিন্ন যন্ত্রাংশ নষ্ট হতে থাকে। যা বাংলাদেশে পাওয়া যায় না। ফলে গাড়িগুলো গ্যারেজেই পড়ে আছে। খুলনা ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের খুলনা বিভাগীয় কারিগরি কারখানার ফোরম্যান মহসীন হোসেন বলেন, গাড়ি নষ্ট হলে তা চীন সরকারের নির্ধারিত প্রতিষ্ঠানকে জানানোর পর সেখান থেকে লোক এসে মেরামত করে দিয়ে যাবে। এছাড়া আমাদের মেরামত করার কোনও পথ নেই।