করোনা ভাইরাস: চীনের অর্থনীতিতে ব্যাপক প্রভাব

9
Spread the love
  • খুলনাঞ্চল ডেস্ক

করোনা ভাইরাস আতঙ্কের নেতিবাচক প্রভাব পড়তে শুরু করেছে চীনের অর্থনীতিতে। ভাইরাস বিভিন্ন দেশে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করায় চীন ভ্রমণে সতর্ক থাকার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। ফ্লাইট, হোটেল বুকিং বাতিল হওয়ায় ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে দেশটির পর্যটন খাত। দেশটির ক্রমবর্ধমান পর্যটন খাতে বিনিয়োগ নিয়ে শঙ্কায় ব্যবসায়ীরা।

চীনা লুনার ইয়ার উপলক্ষে প্রতিবছরই এ সময়ে পর্যটনমুখর থাকে চীনের হোটেল আর পর্যটন কেন্দ্রগুলো। পরিবারের টানে দেশে আসেন চীনারা। বিভিন্ন দেশ থেকে নতুন বছর উদযাপন করতে আসেন পর্যটকরা। যাত্রীসেবায় তাই ব্যস্ত থাকে এয়ারলাইন্সগুলো। কিন্তু এ বছরের চিত্র পুরোটাই ভিন্ন। করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে ফিকে হয়ে গেছে উৎসবের আনন্দ। ১ কোটি ১০ লাখ মানুষের উহান প্রদেশতো একরকম যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।

এ বছর কয়েক লাখ মানুষ দেশটিতে ভ্রমণে যাওয়ার কথা থাকলেও ভাইরাস আতঙ্কে ফ্লাইট বাতিল করছেন অনেকে, বাতিল করছেন হোটেল বুকিংও। যাত্রীদের আগের বুকিং দেওয়া ফ্লাইটের ভাড়া ফেরত দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে চীনা সাউদার্ন এয়ারলাইন্স, চীনা ইস্টার্ন এয়ারলাইন্স ও চীনা এয়ার। হোটেলগুলোতেও নেওয়া হয়েছে বাড়তি নিরাপত্তা। চীনের বৃহত্তম অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি ট্রিপ ডট কম হোটেল, গাড়ি আর টিকিটের বুকিং বাতিলের জরিমানা মওকুফ করছে। এ ঘটনায় কমেছে বিভিন্ন এয়ারলাইন্সের শেয়ারের দর।
চীনের অর্থনীতির ১১ শতাংশ নির্ভর করে পর্যটন খাতের ওপর। এ খাতকে ঘিরে কাজ করে ২ কোটি ৮০ লাখ মানুষ। যুক্তরাষ্ট্র, ফ্রান্স আর স্পেনের পর বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম পর্যটনবান্ধব দেশ চীন। ২০১৮ সালে দেশটিতে পর্যটক এসেছে ৬ কোটি। ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে না আসলে তা দেশটির অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। এর আগে ২০০৩ সালে সার্স ভাইরাসের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে ৪ হাজার কোটি ডলারের ক্ষতি হয়েছিল।