- খুলনাঞ্চল ডেস্ক
রোহিঙ্গা গণহত্যার অভিযোগ এনে মিয়ানমারের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা দায়ের করে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া। দুপক্ষের শুনানি শেষে আদালত অন্তর্বরতীকালীন রায় ঘোষণা করেছেন। এই রায়ে আদালত মিয়ানমারের প্রতি গণহত্যা রোধসহ চারটি নির্দেশনা দিয়েছেন।

গতকাল বৃহস্পতিবার (২৩ ডিসেম্বর) দ্য হেগে আন্তর্জাতিক আদালতে বিচারক প্যানেল গণহত্যা রোধে সম্মত হয়। এই প্যানেলে মোট ১৭ জন বিচারক ছিলেন। এদিকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতার বিষয়ে আইসিজের (আন্তর্জাতিক বিচার আদালত) রায়কে স্বাগত জানিয়ে একে মানবতার বিজয় এবং সকল জাতির মানবাধিকার আন্দোলন কর্মীদের জন্য মাইলফলক হিসাবে বর্ণনা করেছেন। অপরদিকে কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে চলছে আন্দদের বন্যা। অধিকাংশ রোহিঙ্গাদের মুখে ফুটেছে হাসি। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বেশিরভাগ মসজিদে হয়েছে বিশেষ মোনাজাত। রায়ে নির্যাতিত রোহিঙ্গারা প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন রোহিঙ্গা সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা।
আন্তর্জাতিক আদালতের এই সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে বিশ্ব নেতৃবৃন্দ। যদিও গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করেন মিয়ানমারের সর্বোচ্চ নেতা অং সান সু চি। আদালত মিয়ানমার সরকারকে বলেছেন, রাখাইন রাজ্যে ঝুঁকিতে রয়েছেন সাড়ে ছয় লাখ রোহিঙ্গা মুসলিম। তাদের নিরাপত্তায় সর্বোচ্চ কার্যকরী ব্যবস্থা নিতে হবে। মিয়ানমারের সেনাবাহিনী যারা গণহত্যা চালিয়েছে, তারা যাতে আর কোনো গণহত্যা না চালায়, তার নিশ্চয়তা দিতে আন্তর্জাতিক আদালত নির্দেশনা দেন। এছাড়া গাম্বিয়া যে গণহত্যার অভিযোগ এনেছে, তার প্রমাণাদি সংরক্ষণ করতে হবে।
সবশেষ নির্দেশনায় বলা হয়েছে, রোহিঙ্গা মুসলিমদের গণহত্যা থেকে সুরক্ষা দিতে যে সব ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে, তার প্রতিবেদন আগামী চারমাসের মধ্যে আদালতের কাছে দাখিল করতে হবে। এছাড়াও প্রতি ছয়মাস অন্তর অন্তর প্রতিবেদন দাখিল করতে হবে। আদালতের এসব নির্দেশনাকে গুরুত্বপুর্ণ মনে করছেন, গাম্বিয়ার আইনমন্ত্রী আবুবকর তামবাদু। তবে এ বিষয়ে নিশ্চুপ ছিলেন মিয়ানমারের আইনজীবীরা।
২০১৭ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে দেশটির সেনাবাহিনী নৃশংস নির্যাতন চালায়। নৃশংসতা থেকে বাঁচতে প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নেয়। বিগত তিন দশক ধরে মিয়ানমার এই জনগোষ্ঠীর ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে।
এর সূত্র ধরে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া মিয়ানমারের এই হত্যাযজ্ঞকে ‘গণহত্যা’ বলে অভিহিত করে। এবং এর বিচার চেয়ে গত ১১ নভেম্বর জাতিসংঘের আন্তর্জাতিক বিচারিক আদালতে (আইসিজে) ‘গণহত্যা’র মামলা করে। মামলার ৪৫ পৃষ্ঠার আবেদনে গাম্বিয়া উল্লেখ করে, মিয়ানমার গণহত্যা, ধর্ষণ এবং সম্প্রদায় ধ্বংসের মাধ্যমে ‘রোহিঙ্গাদের ধ্বংস করার উদ্দেশ্যে’ ‘গণহত্যা’ চালায়।
এ মামলায় প্রথম ধাপে ১০ ডিসেম্বর শুনানি করে গাম্বিয়া। ১১ ডিসেম্বর শুনানি করে মিয়ানমার। ১২ ডিসেম্বর উভয়পক্ষ একসঙ্গে শুনানিতে অংশ নেয়। শুনানির তৃতীয় দিনে গাম্বিয়ার পক্ষের আইনজীবী পিয়েঁর দ্য আর্জেন বলেন ওআইসির সিদ্ধান্তে গাম্বিয়া মামলা করেছে, কথাটি ঠিক নয়। এর আগে মিয়ানমার পক্ষের আইনজীবী ক্রিস্টোফার স্টকার দাবি করেন, ওআইসির মদদে গাম্বিয়া গণহত্যার মামলা করেছে।
এসময় মিয়ানমারের সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ অস্বীকার করে দেশটির স্টেট কাউন্সেলর অং সান সু চি বলেন, আরাকানে কোনো গণহত্যা ঘটেনি, সেখানে আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মির (এআরএসএ) মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে লড়াই করছে সে দেশের সেনাবাহিনী। তবে এ মামলার পক্ষে কথা বলছে মিয়ানমারের অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলো। বিশেষ করে দেশটির বিদ্রোহী কারেন জনগোষ্ঠী গাম্বিয়ার এ মামলাকে স্বাগত জানিয়েছে। রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে নির্যাতনসহ মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত হয়েছে কি না তা তদন্তের নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। তবে মিয়ানমার বলছে তাদের বিরুদ্ধে তদন্তের এ উদ্যোগ কোনোভাবেই আইনসঙ্গত নয়। কারণ মিয়ানমার এখনও আইসিসি সনদে স্বাক্ষর করেনি, তাই দেশটি এ ট্রাইব্যুনালের সদস্যও নয়। কিন্তু আইসিসি বলছে, রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেয়া বাংলাদেশ সংস্থাটির সদস্য হওয়ায় এ তদন্তের এখতিয়ার তাদের রয়েছে।
বাংলাদেশে আশ্রিত কয়েক লাখ রোহিঙ্গাকে মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর ব্যাপারে বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিকভাবে চেষ্টা চালিয়ে গেলেও তা আলোর মুখ দেখেনি।

# আইসিজের রায়কে স্বাগত জানিয়েছে ঢাকা
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন রোহিঙ্গাদের ওপর নৃশংসতার বিষয়ে আইসিজের (আন্তর্জাতিক বিচার আদালত) রায়কে স্বাগত জানিয়ে একে মানবতার বিজয় এবং সকল জাতির মানবাধিকার আন্দোলন কর্মীদের জন্য মাইলফলক হিসাবে বর্ণনা করেছেন।
নেদারল্যান্ডের হেগ নগরীতে আইজেসি কর্তৃক এই রায়ের কপি সরবরাহের পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী গতকাল ইকুয়েডোর থেকে ফোনে বাসসকে বলেন, “আমরা এই রায়কে স্বাগত জানাইৃআমার বিশ্বাস মিয়ানমার এই আদালতকে সম্মান জানাবেৃতাদের (মিয়ানমার) পক্ষে একে অগ্রাহ্য করা সম্ভব হবে না।”
জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের ওপর কথিত গণহত্যা বন্ধ করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহনের পাশাপাশি চার মাসের মধ্যে রিপোর্ট দিতে এবং অত:পর প্রতি ৬ মাসে রিপোর্ট দিতে বলেছে। আব্দুল মোমেন বলেন, এই রায় দুইভাবে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের ক্ষেত্রে সুফল বয়ে আনবে। একদিকে মিয়ানমার এখন থেকেই তাদের লোকদের ফিরিয়ে নিতে রাখাইনে অনুকুল পরিবেশ তৈরিতে আরো আন্তরিক হবে। অপর দিকে রোহিঙ্গরা স্বেচ্ছায় নিজ ঘর-বাড়িতে ফিরে যেতে ভরসা পাবে।
তিনি বলেন, “আন্তর্জাতিক আদালত-আইসিজে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে কোন প্রকার নৃশংসতা না চালানোর নির্দেশনা দিয়েছেনৃএটি তাদেরকে (রোহিঙ্গা স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনে আস্থাশীল করবে।”
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এই রায় মিয়ানমারের ওপর বিরাট আন্তর্জাতিক চাপ সৃষ্টি করবে এবং এই রায়ের ভিত্তিতে রাশিয়া এবং চীনও রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর জন্য মিয়ানমারের ওপর চাপ দেবে।
তিনি বলেন, “রাশিয়া এবং চীন ইতোমধ্যেই রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসনের ব্যাপারে সম্মত হয়েছে এবং এই রায় এখন মিয়ানমারকে প্রত্যাবাসনে রাজি করাতে সহায়ক হবে।”
এর আগে এই রায়ের পর পরই এক প্রতিক্রিয়ায় মোমেন বলেন, এটি গাম্বিয়া, ওআইসি, রোহিঙ্গা এবং অবশ্যই বাংলাদেশের জন্য একটা বিজয়। মহান আল্লাহর পক্ষ থেকে এটি মানবতা এবং ‘মাদার অব হিউমিনিটি’ শেখ হাসিনার জন্য আশীর্বাদ।
তিনি বলেন, আদালত ‘রোহিঙ্গা’ শব্দটি ব্যবহার করেছে, মিয়ানমারের দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং মিয়ানমারকে রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যা ও নৃশংসতা বন্ধ করতে বলেছে’।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন যে, এই ধরণের রায় বিশ্বে জাতিগত নির্মূলকরণ এবং গণহত্যার পুনরাবৃত্তি বন্ধ করবে।
মোমেন আরও উল্লেখ করেছেন যে, আইসিজে ১৫ জন বিচারকের সকলের সর্বসম্মত রায়ে চারটি অস্থায়ী ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ গ্রহণ করেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইগ্রেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট সংক্রান্ত আন্তর্জাতিক ফোরামে অংশ নিতে এখন ইকুয়েডরের রাজধানী কুইটো নগরীতে অবস্থান করছেন।
গাম্বিয়া বৌদ্ধ সংখ্যাগরিষ্ঠ মিয়ানমারের বিরুদ্ধে ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থা (ওআইসি), কানাডা এবং নেদারল্যান্ডসের সমর্থন নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে (আইসিজে) মামলা দায়ের করেছে। পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া অভিযোগ করেছে যে, মিয়ানমার হেগ নগরীতে গত ডিসেম্বরের শুনানিতে ১৯৪৮ সালের জাতিসংঘের গণহত্যা কনভেনশন লঙ্ঘন করেছে। অং সান সু চি আদালতে সাক্ষ্যদানকালে ব্যাপকভাবে ধর্ষণ, অগ্নিসংযোগ ও গণহত্যার অভিযোগের বিরুদ্ধে তার দেশের পক্ষাবলম্বন করেছিলেন।
বাংলাদেশ বর্তমানে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্য থেকে জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত ১১ লাখের বেশী রোহিঙ্গাকে অস্থায়ী কেন্দ্রে আশ্রয় দিয়েছে। তাদের বেশিরভাগ ২০১৭ সালের ২৫ আগস্ট মিয়ানমার সামরিক ক্র্যাকডাউন শুরু করার পর থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করেছে। জাতিসংঘ এ ঘটনাকে ‘জাতিগত নির্মূলকরণের উদাহরণ’ বলে এবং ‘গণহত্যা হিসাবে অভিহিত করেছে।
বাংলাদেশ ও মিয়ানমার ২০১৭ সালের ২৩ নভেম্বর রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবাসন চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছে। তবে, ২০১৯ সালের ২২ আগস্ট সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়া সত্ত্বেও জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা জনগণ মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে তাদের বাড়িতে ফিরে যেতে চাননি।

* রায়ে খুশি রোহিঙ্গারা চায় প্রত্যাবাসন
কক্সবাজারের উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা শিবিরগুলোতে বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে চলছে আন্দদের বন্যা। অধিকাংশ রোহিঙ্গাদদের মুখে ফুটেছে হাসি। রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বেশিরভাগ মসজিদে হয়েছে বিশেষ মোনাজাত। বৃহস্পতিবার রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগ সংক্রান্ত মামলায় চারটি অন্তর্বরতীকালীন আদেশ দিয়েছেন জাতিসংঘের সর্বোচ্চ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিস (আইসিজে)। এ রায়ে নির্যাতিত রোহিঙ্গারা প্রথম জয়ের স্বাদ পেয়েছেন বলে মন্তব্য করেছেন রোহিঙ্গা সংগঠনগুলোর প্রতিনিধিরা।
তারা বলছেন, যুগ যুগ ধরে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নির্যাতনের শিকার হলেও কোনো বিচার পায়নি। এ রায় তাদের স্বস্তি এনে দিয়েছে। গাম্বিয়ার করা মামলায় ছয়টির দাবির মধ্যে চারটি তাদের পক্ষে আসায় প্রথম জয় হয়েছে তাদের। তবে প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনারও দাবি জানায় তারা।
বৃহস্পতিবার বিকালে উখিয়ার কুতুপালং, ললম্বাশিয়া, মধুর ছড়া রোহিঙ্গা শিবির ঘুরে দেখা গেছে, রায়ের খবর শুনতে ছোট ছোট দোকানে রোহিঙ্গারা ভিড় করছেন। উখিয়ার কুতুপালং-১৪ নাম্বারের বাসিন্দা ও ভয়েস রোহিঙ্গা নেতা রিদুয়ান রহমান বলেন ‘আইসিজের দেওয়া রায়ে আমরা অনেক খুশি, এটি মাত্র শুরু। এটি বিচারের প্রথম স্বাদ। তা ছাড়া এই রায় দ্রুত বাস্তবায়ন দেখতে চাই। কিন্তু, প্রত্যাবাসনের বিষয়টি যদি সামনে আনা যেত, তাহলে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন দ্রুত শুরু হতো।’
রোহিঙ্গা নেতা সিরাজুল মোস্তফা বলেন, প্রশাসনের অনুমতি না পাওয়ায় রোহিঙ্গারা একত্রিত হতে পারেনি। তবে ঘরে ঘরে উৎসব বিরাজ করছে।

রোহিঙ্গাদের সংগঠন আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটসের (এআরএসপিএইচ) সাধারণ সম্পাদক মাস্টার সৈয়দ উল্লাহ বলেন, ‘ছয়টি দাবির মধ্যে চারটি আমাদের পক্ষে এসেছে। তবে সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে, রোহিঙ্গা গণহত্যার বিরুদ্ধে অং সান সু চির যুক্তি খারিজ করা হয়েছে। এটি প্রমাণ করে সেখানে গণহত্যা হয়েছে। এ জন্য রায়ের দিন সু চি সেখানে উপস্থিত ছিলেন না। এই থেকে সু চির লজ্জা পাওয়া উচিত। তবে প্রত্যাবাসনের বিষয় নিয়ে যদি আলোচনা করতো, তাহলে আরও ভালো হতো।’
বাংলাদেশ-মিয়ানমার সীমান্তের শূন্যরেখায় রোহিঙ্গা শিবিরের চেয়ারম্যান দিল মোহাম্মদ বলেন, ‘আইসিজের রায়ে খুশি, এটি রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য প্রথম জয়। কেন না যুগ যুগ ধরে রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠী নির্যাতনের শিকার হলেও কোনো বিচার পায়নি। এই রায়ে মনে হচ্ছে প্রথম বিচারের স্বাদ পেয়েছি।’

উখিয়া থানার ওসি আবুল মনসুর বলেন, ‘আইসিজের ঘোষিত রায়ের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে ক্যাম্পে নজরদারি রাখা হয়েছে।’