- স্টাফ রিপোর্টার
উচ্চ আদালত (হাইকোর্টের) ভুয়া জামিননামা দাখিল করে আসামিকে মুক্ত করার অভিযোগের মামলায় জজ কোর্টের আইনজীবী মো. আরাফাত হোসেন (৩২)কে কারাগারে প্রেরন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. শাহীদুল ইসলাম এ আদেশ দিয়েছেন।
আদালত সুত্রে জানা গেছে, হাইকোর্টের ভুয়া জামিন আদেশ দাখিলের মাধ্যমে ২০১৮সালের ৩জানুয়ারি খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন মামলার আসামী রবিউল ইসলামকে অস্থায়ী জামিনে মুক্ত করেন আইনজীবী আরাফাত। পরবর্তিতে ২০১৮ সালের ১৩মার্চ ফের একই আদালতে স্থায়ী জামিনের আবেদন করে আসামি পরে আইনজীবী। অপরদিকে বাদী প উচ্চ আদালতের সঠিক কাগজপত্র সংশ্লিষ্ট আদালতে উপস্থাপন করলে জালিয়াতির বিষয়ে প্রমান মেলে। ওইদিন আদালত মামলার আসামি কয়রা সরকারি মহিলা কলেজের (আইসিটি) বিভাগের সহকারি প্রভাষক মো. রবিউল ইসলামকে কারাগারে প্রেরণ করেন। পরবর্তিতে রবিউল ইসলাম এ জাল জালিয়াতির বিষয়ে আইনজীবী মো. আরাফাত হোসেনের যোগ সাজসের বিষয়ে আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ধারায় জবানবন্দি দেন। রবিউল ইসলাম ১নং কয়রার মো. আশরাফ আলীর ছেলে। ২০১৭ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি কয়রা থানায় তার স্ত্রী লায়লা বেগম বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ১১(খ)ধারায় মামলা করেন।
ওই মামলায় রবিউল পলাতক থেকে তার আইনজীবী মারফত হাই কোর্টের ক্রিমিনাল মিস ২৯৩৯/১৭ নং জামিন আদেশ চলতি ২০১৮ সালের ৩জানুয়ারি খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন ট্রাইব্যুনালে দাখিল করে অস্থায়ী জামিন নেন। পরবর্তিতে হাই কোর্টের ক্রিমিনাল মিস ২৯৩৯/১৭ নম্বরের সুত্র ধরে খোজ খবর নেন বাদী প। হাই কোর্টে এই নম্বরের তল্লাশিতে বেড়িয়ে আসে আসল রহস্য। নম্বরটি সঠিক হলেও এটি রংপুর বিভাগের একটি মামলার ক্রিঃ মিস কেস নম্বর বলে হাই কোর্ট থেকে তারা নিশ্চিত হন।
এ জালিয়াতির ঘটনায় খুলনার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. রেজাউল করিম বাদী হয়ে দন্ডবিধির ৪২০, ৪৬৬, ৪৬৮, ৪৭১ ধারায় খুলনা থানায় ২০১৮ সালের ২১মার্চ মামলা করেন যার নং-৩০। সিআইডির পুলিশ পরিদর্শক মেহেদী হাসান মামলায় তদন্ত শেষে ২০১৯সালের ১৩নভেম্বর আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন যার নং-৫৬৮। চার্জশিটে এড. মো. আরাফাত হোসেন (৩২) ও মো. আমজাদ হোসেন গাজী ওরফে আমজাদ মহুরী(৪০)কে অভিযুক্ত করা হয়। এড. আরাফাত সে কয়রার গোবিন্দপুর এলাকার এড. কেরামত আলীর ছেলে ও আমজাদ মহুরী একই উপজেলার ১নং ওয়ার্ডের আলী গাজীর ছেলে।