এলপিজির মূল্য নির্ধারণ ও সিলিন্ডারে মূল্য লেখা নিয়ে রুল

10
Spread the love

ঢাকা অফিস

রান্নার কাজে ব্যবহৃত তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাসের (এলপিজি) সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণ করে সে মূল্য সিলিন্ডারের গায়ে লেখার বিষয়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।

এছাড়াও সর্বোচ্চ খূচরা মূল্য নির্ধারণের জন্য কমিটি গঠনে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে এবং আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে জ্বালানি সচিব, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

সোমবার এ সংক্রান্ত এক রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ আদেশ দেয়।

আদালত তার আদেশে সর্বোচ্চ খুচরা মূল্য নির্ধারণে কমিটি গঠন ও সিলিন্ডারের গায়ে মূল্য লেখার বিষয়ে কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে সে বিষয়ে আগামী ১ মার্চের মধ্যে জ্বালানি সচিব, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের চেয়ারম্যান ও জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে জানাতে বলা হয়েছে।

আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন।

আদেশের পর রিটকারি আইনজীবী মো. মনিরুজ্জামান বলেন: গ্যাসের সিলিন্ডারের মূল্য নির্ধারণের জন্য এখন পর্যন্ত কোনো তদারকি বা কোনো নির্দিষ্ট দপ্তর নেই। ফলে এলপিজি গ্যাসের ক্রমবর্ধমান বাজারে এক ধরনের অরাজকতা বিরাজ করছে। সিলিন্ডারের গায়ে মূল্য লেখা না থাকায় বিক্রেতারা যে যার মত দাম নিচ্ছে গ্রাহকদের কাছ থেকে।’

‘‘যেমন গত নভেম্বরে আন্তর্জাতিক বাজারে এলপিজি গ্রাসের দাম প্রতি টনে ১০ ডলার বাড়লো, আর আমাদের এখানে প্রতি ১২ কেজির সিলিন্ডারে বাড়লো ১৩০ টাকা। অর্থাৎ টাকার হিসাবে ৮৫০টাকা যদি আন্তর্জাতিক বাজারে বাড়ে তাহলে সিলিন্ডার প্রতি ১৩০টাকা কিভাবে হয়! তাই বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে এ নিয়ে প্রকাশিত খবর, প্রতিবেদন যুক্ত করে গত ১৩ জানুয়ারি হাইকোর্টে জনস্বার্থে রিট আবেদনটি করি। সে রিটের শুনানি নিয়ে আদালত রুলসহ আদেশ দিলেন।’’