বিপিএলের রাজা রাজশাহী

4


স্পোর্টস রিপোর্টার

খুলনা টাইগার্সকে ২১ রানে হারিয়ে বঙ্গবন্ধু বিপিএল’র শিরোপা জিতলো রাজশাহী রয়্যালস। বিপিএল-এ এটি রাজশাহীর প্রথম শিরোপা। শুক্রবার মিরপুরে অনুষ্ঠিত ফাইনালে আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে ১৭০/৪ সংগ্রহ করে রাজশাহী। জবাবে ২০ ওভারে ১৪৯/৮-এ থামে মুশফিকুর রহীমের খুলনা।

১৭১ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ১২ রানেই দুই উইকেট হারায় খুলনা টাইগার্স। শূন্য রানে ইনফর্ম নাজমুল হোসেন শান্তকে উইকেটরক্ষক লিটন দাসের ক্যাচে পরিণত করেন মোহাম্মদ ইরফান খান। দলীয় ১২ রানে আবু জাহেদ রাহীর বলে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মেহেদি হাসান মিরাজ। তৃতীয় উইকেটে রাইলি রুশো ও শামসুর রহমান শুভর ব্যাটে ম্যাচে ফেরে খুলনা টাইর্গাস। দলীয় ৮৫ রানে রাইলি রুশোকে (২৬ বলে ৩৭) ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন মোহাম্মদ নাওয়াজ। ফিফটি তুলে নেয়ার পরপরই সাজঘরে ফেরেন শামসুর (৪৩ বলে ৫২)।
তার উইকেটেটি নেন কামরুল ইসলাম রাব্বী। পরে নাজিবুল্লাহ জাদরানকেও (৪) তুলে নেন রাব্বী। অধিনায়ক মুশফিকুর রহীমের ওপর আশা ছিল খুলনার। কিন্তু ব্যক্তিগত ২১ রানে রাসেলের বলে বোল্ড হয়ে যান মুশফিক। শেষ পর্যন্ত ৮ উইকেটে ১৪৯ রানে থামে খুলনা। রাজশাহীর হয়ে মোহাম্মদ ইরফান, কামরুল ইসলাম রাব্বী ও রাসেল প্রত্যেকে নেন ২টি করে উইকেট।

এর আগে ব্যাট করে ইরফান শুক্কুরের হাফসেঞ্চুরি ও মোহাম্মদ নাওয়াজের ২০ বলে ৪১* রানের ঝড়ো ইনিংসে ২০ ওভারে ১৭০/৪ সংগ্রহ করে রাজশাহী। খুলনার হয়ে ২ উইকেট নেন মোহাম্মদ আমির।

টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ১৪ রানে আফিফ হোসেনকে হারায় রাজশাহী। ৮ বলে ২ চারে ১০ রান করেছেন আফিফ। মোহাম্মদ আমিরের বলে অনেকটা দৌড়ে গিয়ে আফিফের ক্যাচ লুফেন মেহেদী হাসান মিরাজ। ৬ ওভার শেষে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৪৩/১। দলীয় ৬৩ রানে লিটন দাসকে সাজঘরে ফেরান শহীদুল ইসলাম।

দ্বিতীয় উইকেটে ৪৯ রানের জুটি ভাঙে। ২৮ বলে একটি করে চার-ছয়ে ২৫ রান করেন লিটন। বাউন্ডারি লাইনে তার ক্যাচ তালুবন্দি করেন নাজমুল হোসেন শান্ত। শোয়েব মালিকও সুবিধা করতে পারেননি। দলীয় ৯৪ রানে রবি ফ্রাইলিঙ্কের বলে আউট হন তিনি। ১৩ বলে ৯ রান করেন মালিক।

তবে তিনে ব্যাটিংয়ে নামা ইরফার শুক্কুর তুলে নেন ফিফটি। ৩৫ বলে ৬ চার ও ২ ছয়ে ৫৪ রান করে আমিরের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হন শুক্কুর। ১৫ ওভার শেষে রাজশাহীর সংগ্রহ দাঁড়ায় ১০০/৪। আন্দ্রে রাসেল ও মোহাম্মদ নাওয়াজের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে শেষ ৫ ওভারে ৭০ রান সংগ্রহ করে রাজশাহী। ২০ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন নাওয়াজ। অধিনায়ক রাসেল ১৬ বলে ৩ ছক্কায় খেলেন ২৭ রানের হার না মানা ইনিংস।