জাতীয় সংবাদ

59
Spread the love

মধ্যপ্রাচ্যের যেসব দেশে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ঘাঁটি
খুলনাঞ্চল ডেস্ক
ইরাক থেকে তুরস্ক, মধ্যপ্রাচ্যের বেশিরভাগ দেশেই রয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক ঘাঁটি। আছে হাজারো সৈন্য। ইরানের হুমকির পর এই ঘাঁটিগুলোতে ‘হাই অ্যালার্ট’ জারির পাশাপাশি বাড়তি সৈন্য পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে পেন্টাগন।
ইরাক: ইরাকে যুক্তরাষ্ট্রের কত সৈন্য রয়েছে তার সঠিক পরিসংখ্যান জানা যায় না। তবে গ্রিন জোন, বাগদাদের কূটনৈতিক এলাকা, আল আসাদ বিমান ঘাঁটিতে বর্তমানে দেশটির সেনাসদস্য রয়েছে। যার সংখ্যা আনুমানিক ছয় হাজার হতে পারে। গত নভেম্বরে আল আসাদ বিমান ঘাঁটিতে সৈন্যদের সঙ্গে দেখা করেছেন ভাইস প্রেসিডেন্ট পেন্স।
কুয়েত:মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম মিত্র কুয়েত। দুই দেশের মধ্যে রয়েছে প্রতিরক্ষা সহায়তা চুক্তি। দেশটিতে রয়েছে বেশ কয়েকটি মার্কিন ঘাঁটি। যেখানে প্রায় ১৩ হাজার সৈন্য রয়েছে।
সিরিয়া: সিরিয়ার কোথায় যুক্তরাষ্ট্রের কত সংখ্যক সৈন্য রয়েছে সে বিষয়টি প্রকাশিত নয়। অক্টোবরে সেখান থেকে সৈন্য প্রত্যাহার শুরু করেছে ট্রাম্প প্রশাসন। তার আগ পর্যন্ত দেশটিতে প্রায় ২০০০ সৈন্য ছিল, বর্তমানে যা ৮০০ জনে নেমে এসেছে। যেসব ঘাঁটি চালু আছে তার একটি সিরিয়ান-জর্ডান সীমান্তে। এর কাছেই রয়েছে ইরানীয় আর তাদের সমর্থিত বাহিনী।
জডার্ন: ইরাক, সিরিয়া, ইসরায়েল, আর সৌদি আরবের সঙ্গে সীমান্ত রয়েছে জডার্নের। কৌশলগত দিক থেকে তাই মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ভৌগলিক অবস্থান এটি। দেশটির মুভাফফাক ছালটি বিমান ঘাঁটি থেকে সিরিয়ায় আইএস বিরোধী হামলা চালানো হয়েছে। অবশ্য কিং ফয়সাল বিমান ঘাঁটিতে ২০১৬ সালে তিন মার্কিন সেনা নিহত হয়েছিল জডার্নের বিমান বাহিনীর গুলিতে।
সৌদি আরব: সৌদি আরবে বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের তিন হাজার সেনা সদস্য রয়েছে। অক্টোবরে সৌদি তেলক্ষেত্রে হামলার পর ইরানের সঙ্গে সৌদি আরবের সংঘাতের শঙ্কায় সেখানে আরো সৈন্য পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছে তারা।
বাহরাইন: বাহরাইনে যুক্তরাষ্ট্রের একটি নৌ ঘাঁটি রয়েছে। দ্বীপ রাষ্ট্রটি বরাবরই সৌদি আরবের মিত্র৷ ইরানের বিরুদ্ধে ট্রাম্পের পদক্ষেপের সমর্থকও তারা। বর্তমানে সেখানে সাত হাজার মার্কিন সৈন্য রয়েছে।
ওমান: ওমানের অবস্থান হরমুজ প্রণালীর কাছে আরব উপকূলে, যা জ্বালানি পরিবহনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পথ। গত বছরের মার্চে যুক্তরাষ্ট্রেকে বিমান ও সমুদ্র বন্দর ব্যবহারের অনুমতি দেয় ওমান। বর্তমানে সেখানে ৬০০ মার্কিন সৈন্য রয়েছে।

সংযুক্ত আরব আমিরাত: হরমুজ প্রণালীর পাশে থাকা আরেক দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত। তাদেরও যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের সাথে ভাল সম্পর্ক বিদ্যমান। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে সেখানে পাঁচ হাজার সৈন্য পাঠিয়েছে পেন্টাগন।
কাতার: মধ্যপ্রাচ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় সামরিক ঘাঁটিটি কাতারের আল উদিদে। এর আধুনিকায়নে ২০১৮ সালে ১৮০ কোটি ডলারে একটি প্রকল্প ঘোষণা করেছে কাতার। বর্তমানে সেখানে যুক্তরাষ্ট্রের ১৩ হাজার সৈন্য নিযুক্ত রয়েছে।
তুরস্ক: যুক্তরাষ্ট্রের সৈন্য রয়েছে তুরস্কেও। দেশটির ইনজিরলিক বিমান ঘাঁটিসহ বেশ কিছু জায়গায় আড়াই হাজার মার্কিন সেনা অবস্থান করছে।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় লাউ
মিলি রহমান
আমাদের দেশে শীতকালীন সবজিগুলোর মধ্যে লাউ অন্যতম। লাউ যেমন সবজি হিসাবে সুস্বাদু তেমনি এর মধ্যে রয়েছেন নানান গুণাগুণ। লাউয়ের ভিতরে মজুত রয়েছে প্রচুর মাত্রায় ভিটামিন সি, বি এবং ডি, সেই সঙ্গে ক্যালসিয়াম, সোডিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, ফোলেট, আয়রন এবং পটাশিয়াম। যা নানাবিধ রোগের হাত থেকে শরীরকে সুস্থ রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। লাউয়ের কিছু গুণাগুণ;
পেটের রোগের প্রকোপ কমে: অনিয়ন্ত্রিত খাওয়া-দাওয়ার কারণে বদ হজম এবং গ্যাসের সমস্যা সৃষ্টি হয়। এমন পরিস্থিতিতে পেটকে চাঙ্গা করে তুলতে লাউয়ের বিকল্প নেই। কারণ এই সবজিটিতে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় পানি এবং ফাইবার, যা হজম ক্ষমতার উন্নতি তো ঘটায়ই, সেই সঙ্গে কনস্টিপেশনের মতো রোগের প্রকোপ কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।
শরীরে পানির অভাব দেখা দেওয়ার আশঙ্কা কমে: শরীরকে চাঙ্গা রাখতে পানির বিকল্প হয় না বললেই চলে। কারণ দীর্ঘক্ষণ ধরে শরীর তার প্রয়োজনীয় পানি না পেলে দেখা দেয় নানা রকমের রোগ। তাই তো দেহের ভিতরে যাতে পানির ঘাটতি দেখা না দেয়, সেদিকে খেয়াল রাখাটা আমাদের একান্ত প্রয়োজন। লাউয়ে রয়েছে প্রচুর মাত্রায় পানি, যা দেহের ভিতরে পানির অভাব মেটাতে যেমন বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে, তেমনি ডিহাইড্রেশনের মতো সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কাও যায় কমে।

ব্লাড প্রেসার নিয়ন্ত্রণে থাকে: উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা যারা ভুগছেন তাদের ডায়েটে লাউ দিয়ে তৈরি খাবার রাখা জরুরি। কারণ এতে রয়েছে এমন কিছু পুষ্টিকর উপাদান, যা রক্তচাপকে স্বাভাবিক রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আর রক্তচাপ স্বাভাবিক থাকলে হার্টের স্বাস্থ্যও ভাল হয়ে ওঠে। আর হার্ট যখন চাঙ্গা হয়ে ওঠে তখন সার্বিকভাবে আয়ুও যে বৃদ্ধি পায়, তা কি আর বলার অপেক্ষা রাখে।
ত্বকের সৌন্দর্য বাড়ে: লাউয়ে উপস্থিত বিশেষ কিছু উপাদান শরীরে প্রবেশ করে এমন খেল দেখায় যে ত্বক ভিতর থেকে স্বাস্থ্যকর হয়ে ওঠে। ফলে সৌন্দর্য বাড়ে। সেই সঙ্গে তৈলাক্ত ত্বকের সমস্যাও নিয়ন্ত্রণে চলে আসে।
শরীর ঠা-া করে: অনেক সময়ই শরীরের ভিতরের তাপমাত্রা বেশ বেড়ে যায়, যা একেবারেই ভাল নয়। তাই তো সপ্তাহে ২-৩ দিন নিয়মিত লাউয়ের রস খাওয়া উচিত। লাউয়ে যেমন রয়েছে প্রচুর মাত্রায় পানি, তেমনি রয়েছে প্রচুর পরিমাণ খনিজও, যা শরীরকে ঠা-া রাখার পাশাপাশি দেহের ভিতরে উপস্থিত ক্ষতিকর টক্সিক উপাদানদেরও বের করে দেয়। ফলে নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কমে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: প্রতিদিন লাউয়ের রসের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার উন্নতি ঘটে। ফলে সংক্রমণের পাশপাশি ছোট-বড় নানাবিধ রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা যায় কমে।

৪ বার আত্মহত্যার চেষ্টা করেন এই অভিনেত্রী!
বিনোদন ডেস্ক
জীবনযুদ্ধে হতাশ হয়ে মৃত্যুর পথ বেছে নিয়েছিলেন ভারতীয় টিভি অভিনেতা কুশল পাঞ্জাবি। তার মৃত্যু নিয়ে ধোঁয়াশা কাটার আগেই আরেক টেলিভিশন অভিনেত্রী তার হতাশার কথা বললেন। তিনি নিজেও চারবার আত্মহত্যা করার কথা ভেবেছিলেন। কিন্তু পরে, ধীরে ধীরে সেই ট্রমা থেকে বেরিয়ে আসতে সক্ষম হন অভিনেত্রী। তিনি হলেন টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী দীপশিখা নাগপালের বোন আরতি নাগপাল। অভিনেত্রী বলেন, হতে পারে কুশল জীবনে হতাশ হয়ে পড়েছিলেন, কিন্তু তাই বলে আত্মহত্যা করাও ঠিক নয়। সবদিক ভেবে দেখা উচিত ছিল তার। জীবনে সমস্যা হতেই পারে। এই নিয়ে কুশল যে কোনো কাছের মানুষের সঙ্গে আলোচনা করতে পারতেন। এরপরেই তিনি জানান, হতাশ হয়ে তিনি নিজেও একসময় আত্মহত্যা করতে গিয়েছিলেন। একবার, দু’বার নয়, পরপর চারবার। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তা তিনি করেননি। নিজের সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসেন।

কিছুদিন আগে নিজের ফ্ল্যাটে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার করা হয় ভারতীয় অভিনেতা কুশল পাঞ্জাবির মৃতদেহ। দাম্পত্য জীবন সুখকর না হওয়ায় আত্মহত্যা করেছেন তিনি এমনটাই ধারণা করা হয়।

৮ হাজার ৮৫০ কোটি ব্যয়ে নিরাপদ পানি সরবরাহ প্রকল্পের অনুমোদন
ঢাকা অফিস
সমগ্র দেশের গ্রামীণ এলাকায় নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে ছয় লাখ গভীর ও অগভীর নলকূপ বসানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এ লক্ষ্যে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি (একনেক) ৮ হাজার ৮৫০ কোটি ৭৪ লাখ টাকা ব্যয়ে ‘সমগ্র দেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ’ নামে একটি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দিয়েছে। প্রকল্পের আওতায় আগামী ৫ বছরে দেশের পল্লী এলাকায় নলকূপ বসানো হবে। মঙ্গলবার রাজধানীর শেরেবাংলানগর এনইসি সম্মেলনকক্ষে একনেক চেয়ারপারসন ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে একনেক সভায় ‘সমগ্র দেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ’ প্রকল্পসহ মোট ৭টি প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন দেয়া হয়। বৈঠকশেষে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান প্রকল্পের বিষয়ে সাংবাদিকদের বিস্তারিত ব্রিফ করেন। তিনি জানান,৭ প্রকল্প বাস্তবায়নে মোট খরচ হবে ১১ হাজার ৪২ কোটি ১৪ লাখ টাকা। এর পুরোটাই বাংলাদেশ সরকারের নিজস্ব অর্থায়ন থেকে ব্যয় করা হবে। পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, জনগণের স্বাস্থ্য ও জীবনমান উন্নয়নে গ্রামীণ এলাকায় প্রয়োজনীয় সংখ্যক নিরাপদ পানির উৎস স্থাপনের লক্ষে ‘সমগ্র দেশে নিরাপদ পানি সরবরাহ’ প্রকল্পটি নেয়া হয়েছে। স্থানীয় সরকারের জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদফতর জানুয়ারি ২০২০ হতে জুন,২০২৫ মেয়াদে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে বলে তিনি জানান।
প্রকল্পের আওতায় ৯০ হাজার ৬৩৬টি অগভীর নলকূপ, ১ লাখ ২৩ হাজার ৮৭৭টি গভীর নলকূপ,২ লাখ ৬ হাজার ৬৬৪টি সাবমার্সিবল পাম্প, জলাধারসহ গভীর সাবমার্সিবল পাম্প ১ লাখ ৭০ হাজার ২২২টি, রিংওয়েল ৩ হাজার ৩৭৯টি, রেইন ওয়াটার হারভেষ্টিং ইউনিট ৩ হাজার ২১০টি, রুরাল পাইপড ওয়াটার সাপ্লাই স্কিম ৪৯১টি, সোলার পিএসএফ ৩২০টি,আর্সেনিক আয়রণ রিমোভাল প্ল্যান্ট (ভ্যাসেল টাইপ) ২৯ হাজার ৫৭০টি এবং কমিউনিটি ভিত্তিক পানি সরবরাহ ইউনিট ৮ হাজার ৮৩৮টি বসানো হবে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সমগ্র দেশের গ্রামীণ এলাকায় নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে বলে পরিকল্পনামন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন।
বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়নের চিত্র তুলে ধরে তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে (জুলাই-ডিসেম্বর) ৫৬ হাজার ৭১২ কোটি ৫৭ লাখ টাকার এডিপি বাস্তবায়ন হয়েছে,যা মোট এডিপির ২৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ। এর আগের অর্থবছরের প্রথম ছয় মাসে এডিপি বাস্তবায়নের হার ছিল ২৭ দশমিক ৪৫ শতাংশ। তখন মোট খরচের পরিমাণ ছিল ৪৯ হাজার ৬৪৪ কোটি ৮০ লাখ টাকা। মান্নান বলেন, সরকার এডিপি বাস্তবায়নের অগ্রগতি নিয়ে চিন্তিত নয়, কারণ গত অর্থবছরে তুলনায় এ বছর বেশি টাকার এডিপি আমরা বাস্তবায়ন করতে পেরেছি।
পরিকল্পনামন্ত্রী জানান, প্রধানমন্ত্রী দেশের যেকোন সেতুর গোড়া বা এর আশাপাশ থেকে বালু তোলা বন্ধে সড়ক ও জনপদ অধিদফতর এবং জেলা ও উপজেলা প্রশাসনকে কঠোর তদারকি করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন,বৃষ্টির পানি সংরক্ষণ ও ভূ-উপরিস্থ পানির ব্যবহার বাড়াতে হবে। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেছেন,যেসব পুরনো জরাজীর্ন বেইলি ব্রীজ অপসরান করা হবে, সেগুলো ফেলে না রেখে নিলামে বিক্রি করে দিতে হবে।
একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পসমূহ হলো- সিংড়া-গুরুদাসপুর-চাটমোহর সড়কের সিংড়া অংশে বাঁধ উচুকরণ, পেভমেন্ট নির্মাণ ও প্রশস্তকরণ প্রকল্প, এতে খরচ হবে ১৩৫ কোটি ৭১ লাখ টাকা। পুঠিয়া-বাগমারা মহাসড়ক যথাযথ মান ও প্রশস্ততায় উন্নীতকরণ প্রকল্পের খরচ হবে ১৩০ কোটি ৮৩ লাখ টাকা। সুগন্ধা নদীর ভাঙ্গন থেকে বীর শ্রেষ্ঠ ক্যাপ্টেন মহিউদ্দিন জাহাঙ্গীর সেতু রক্ষায় নদীতীরে স্থায়ী রক্ষাবাঁধ কাজ। এই প্রকল্পে খরচ হবে ২৮৩ কোটি ৫২ লাখ টাকা। জরাজীর্ণ,অপ্রশস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টে বিদ্যমান বেইলি সেতু এবং আরসিসি সেতু প্রতিস্থাপন (ঢাকা জোন) প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ১ হাজার ১৯০ কোটি ৭৮ লাখ টাকা। ‘বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান নভোথিয়েটার, বরিশাল স্থাপন’ প্রকল্পের বাস্তবায়ন ব্যয় হবে ৪১২ কোটি টাকা এবং নরসিংদী বিসিক শিল্প নগরী সম্প্রসারণ প্রকল্পের খরচ ধরা হয়েছে ৩৮ কোটি ৫৬ লাখ টাকা। একনেক সভায় মন্ত্রী পরিষদের সদস্যবর্গ, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, প্রধানমন্ত্রীর মূখ্য সচিব, এসডিজির মুখ্য সমন্বয়কসহ সরকারের জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

তিন দিনব্যাপী ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা’ ১৬ জানুয়ারি শুরু
ঢাকা অফিস
দেশে প্রথমবারের মতো আগামী ১৬ জানুয়ারি শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা’। প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগপ্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ ১৬ জানুয়ারি এই মেলার উদ্বোধন করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের উদ্যোগে ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতের সরকারি-বেসরকারি অংশীজনদের নিয়ে এই মেলার আয়োজন করা হচ্ছে। আগামী ১৬ থেকে ১৮ জানুয়ারি রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা’ অনুষ্ঠিত হবে। এ বছরের এই মেলার মূল প্রতিপাদ্য হচ্ছে, ‘বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলার প্রযুক্তির মহাসড়ক’।
ডিজিটাল প্রযুক্তির মহাসড়ক তৈরির অগ্রগতি, চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা এবং পরিবর্তিত বিশ্বে নতুন সভ্যতার রূপান্তরে আইওটি, রোবটিক্স, বিগডাটা, ব্লকচেইন প্রযুক্তির মহাসড়ক ফাইভ জি‘র বিস্ময়কর প্রভাব প্রদর্শনে দেশে এই প্রথমবারের মতো শুরু হচ্ছে তিন দিনব্যাপী ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা’।
মেলায় প্রযুক্তির বিস্ময়কর সংস্করণ ফাইভ জি প্রদর্শন করা হবে। ডিজিটাল প্রযুক্তি উদ্ভাবন, উপযোগী মানব সম্পদ সৃষ্টি, ডিজিটাল প্রযুক্তির আধুনিক সংস্করণের সাথে জনগণের সেতুবন্ধন তৈরি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়নে অগ্রগতি তুলে ধরাই ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলা’র অন্যতম প্রধান লক্ষ্য।
ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার এ বিষয়ে গতকাল এক বিবৃতিতে বলেন, জ্ঞানভিত্তিক ডিজিটাল সাম্য সমাজ প্রতিষ্ঠায় ডিজিটাল প্রযুুক্তি এবং তরুণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে সেতুবন্ধন স্থাপনের জন্য কার্যকর কর্মসূচি গ্রহণ অপরিহার্য। ডিজিটাল সংযুক্তি হচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ তৈরির অন্যতম ভিত্তি। টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার অবকাঠামোগত উন্নয়ন এবং জনগণের জন্য টেলিযোগাযোগ সেবাকে সহজলভ্য করার মাধ্যমে দূরদৃষ্টিসম্পন্ন রাজনীতিক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রজ্ঞাবান নেতৃত্বে এবং প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ এর দিকনির্দেশনায় সরকার ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার পথকে প্রশস্ত করেছে। ডিজিটাল কর্মসূচি বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ গত এগারো বছরে প্রযুক্তিতে ৩২৪ বছরের পশ্চাৎপদতা অতিক্রম করে চতুর্থ শিল্প বিপ্লবে শিল্পোন্নত দেশের সাথে সমান্তরালে চলার সক্ষমতা অর্জন করেছে। ডিজিটাল প্রযুক্তির ছোঁয়ায় পৃথিবী দেখছে রূপান্তরিত এক বাংলাদেশ। ডিজিটাল প্রযুক্তি খাতকে ঘিরে দেশে প্রতিনিয়ত গড়ে উঠছে ব্যবসা, বাড়ছে রপ্তানি আয়, সেবানির্ভর প্রতিষ্ঠান ও সুযোগ সৃষ্টি হচ্ছে নতুন কর্মসংস্থানের। ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি গত ১১ বছরে বাংলা দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে ইংল্যান্ড, ভারত, মালদ্বীপ ও পাকিস্তানসহ বিশ্বের দেশে দেশে উদ্ভাসিত হয়েছে- বিশ্বের বিভিন্ন দেশে অনুকরণীয় হচ্ছে। আমাদের লক্ষ্য ডিজিটাল দুনিয়ায় বাংলাদেশকে নেতৃত্বের জায়গায় প্রতিষ্ঠা করা।
মন্ত্রী বিবৃতিতে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠার ডিজিটাল বাংলাদেশ কর্মসূচি বাস্তবায়ন আরো বেগবান করার জন্য দেশের মেধাবী তরুণ সমাজকে উপযোগী করে। তৈরি এবং এই বিষয়ে তাদের চেতনা জাগ্রত করতে সকলকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এই মেলায় ৩৫ থেকে ৪০টি আইএসপি প্রতিষ্ঠান, প্যারেন্টাল কন্ট্রোল, ট্রিপল প্লে (এক ক্যাবলে ল্যান্ডফোনের লাইন, ইন্টারনেট ও ডিশ সংযোগ, মোবাইল অ্যাপস, ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা ও প্রযুক্তি ইত্যাদি প্রদর্শন করবে। এছাড়াও ওয়ালটন, স্যামসাং, সিম্ফনির মতো প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের উৎপাদিত পণ্য দেখাবে, দেশি সফটওয়্যার কোম্পানিগুলো তাদের তৈরি সফটওয়্যার ও সেবা উপস্থাপন করবে। টেলিকম অপারেটরগুলো তাদের ভয়েস, ইন্টারনেট ও মূল্য সংযোজিত সেবা (ভ্যাস) প্রদর্শন করা হবে।
এছাড়া জেডটিই, হুয়াওয়ে, নকিয়া, এরিকসন ফাইভ জি ও তার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তি প্রদর্শন করবে। দেখাবে লাইভ অনুষ্ঠানসহ এর ব্যবহার উপযোগিতা প্রদর্শন করবে। মেলায় শিশুদের প্রোগ্রামিং ও রোবটিক্স শিক্ষা, টেলিমেডিসিন ও টেলিকম বিভাগের প্রতিষ্ঠানসমূহের সেবা প্রদর্শিত হবে।
মেলায় জিজিটাল উদ্যোক্তা সম্মেলন, রচনা ও চিত্রাংকন প্রতিযোগিতা ছাড়াও ১৩টি সেমিনারের মাধ্যমে সরকারের মন্ত্রী, দেশি ও বিদেশি সংশ্লিষ্ট বিশেষজ্ঞ বক্তারা বর্তমানের প্রযুক্তি ও আগামী দিনে প্রযুক্তির গন্তব্য নিয়ে কথা বলবেন। ট্যালেন্ট গ্যাপ, ডিজিটাল অর্থনীতি, ডিজিটাল গ্রোথ, স্মার্ট সিটি, এসডিজির অ্যাচিভমেন্ট ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা হবে।
ডিজিটাল বাংলাদেশ মেলায় ১০০টি স্টল, মিনি প্যাভিলিয়ন ও প্যাভিলিয়ন থাকবে। এতে সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের ডিজিটাল অগ্রগতি তুলে ধরা হবে। মেলায় বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে পৃথক কর্নার থাকবে। সেই কর্নারে প্রযুক্তির মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুর জীবনী তুলে ধরা হবে।

মেহেরপুরে লক্ষ্যমাত্রার অধিক জমিতে গম চাষ
মেহেরপুর প্রতিনিধি
একদিকে হুইট ব্লাস্ট রোগ অপরদিকে দাম না পাওয়াতে মেহেরপুরে গমের চাষ নেমে এসেছিল একহাজার হেক্টর জমিতে। ভালো দাম ও হুইটব্লাস্ট রোগমুক্ত হওয়ার কারণে এবার মেহেরপুর জেলাতে গমচাষ লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের ৮ হাজার লক্ষ্যমাত্রার স্থলে এবার গমচাষ হয়েছে ১১ হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে। বেশ কয়েক বছর গমের উপযুক্ত দাম না পেয়ে এবং হুইট ব্লাস্ট রোগের কারণে ফলন বিপর্যয়ে গম চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছিল জেলার কৃষকরা।এবার ব্যতিক্রম মাঠে চোখ মেলে দেখা যায় মাঠজুড়ে সবুজে ভরা গম গাছ। গমের উৎপাদন বাড়াতে রোগ প্রতিরোধী ও জিংক সমৃদ্ধ উচ্চফলণশীল গমের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন ব্যাপক সাফল্য বয়ে এনেছে। বাংলাদেশ গম ও ভুট্ট গবেষণা ইনষ্টিটিউট গমের নতুন নতুন জাতসহ বিভিন্ন প্রযুক্তি প্রদর্শনে মাঠ দিবসের আয়োজন করায় এর সুফল কৃষকের দ্বারপ্রান্তে এখন। এতে গম চাষে আগ্রহ বাড়ছে কৃষকের।
বারি-৩১, বারি-৩২,বারি-৩৩ রোগ প্রতিরোধী ও জিংক সমৃদ্ধ উচ্চফলণশীল নতুন জাতের গমে এবার ভালো ফলন আশা করছে কৃষক ও কৃষিবিভাগ। ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী নতুন জাতের গম চাষ করে জেলার কৃষকরা এখন শংকামুক্ত হয়েছেন। বাজার দর ভালো থাকলে আগামীতে এ অঞ্চলে গমের আবাদ আরো বাড়বে। সদর উপজেলার গোপালপুর গ্রামের মাঠে কথা হয় গামচাষী হেকমত আলীর সাথে। তিনি বলেন- ব্লাস্ট রোগের কারণে গম চাষ বন্ধ করে দিয়েছিলাম। এবার তিনবিঘা জমিতে উচ্চফলনশীল গমের চাষ করেছি। এখন বুকে থোড় নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে গমগাছ। তিনি আশা করছেন কোন প্রাকৃতিক দুূর্যোগ না হলে ভালো ফলন হবে এবং গমচাষীরা লাভবান হবে।
মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ড. মো. আক্তারুজ্জামান জানিয়েছেন- তাপ, ক্ষরাসহিষ্ণু জমি গম আবাদের জন্য উপযোগী। রোগ প্রতিরোধী ও জিংক সমৃদ্ধ উচ্চফলণশীল গমের নতুন নতুন জাত চাষীদের গম চাষে আগ্রহ বাড়াচ্ছে। এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে পর্যবেক্ষণ অব্যাহত রয়েছে। দেশে গমের উৎপাদন বাড়াতে রোগ প্রতিরোধী ও জিংক সমৃদ্ধ উচ্চফলণশীল গমের নতুন নতুন জাত উদ্ভাবন ও প্রযুক্তি হস্তান্তরের কাজ করছে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনষ্টিটিউট। এ প্রযুক্তি দৌড়গোড়াতে চলে আসাতে কৃষকদেরও গম চাষে আগ্রহ বাড়ছে।

বিশ্ব ইজতেমার সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন: পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয়
খুলনাঞ্চল রিপোর্ট
টঙ্গীর তুরাগ তীরে আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হতে হচ্ছে প্রথম পর্বের বিশ্ব ইজতেমা। ইতোমধ্যে ইজতেমার প্রায় সকল প্রস্তুতি শেষ হয়েছে। ইজতেমা ময়দানে পাঁচ স্তরের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ প্রশাসন। এবার ইজতেমায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রায় সাড়ে ৮হাজার সদস্য দায়িত্ব পালন করবেন। ইতিমধ্যে ময়দানের ৯০ ভাগ কাজ সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। প্রতি বছরের মতো এবারও বাড়তি পুলিশ, র‌্যাব, বিজিবি ও সাদা পোশাকের গোয়েন্দা সংস্থার লোকজন মাঠের ভেতর ও বাইরে নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবেন।
১০ জানুয়ারি শুক্রবার থেকে শুরু হওয়া প্রথম পর্বের ইজতেমার আখেরি মোনাজাত হবে ১২ জানুয়ারি রোববার। মাঝে ৪দিন বিরতি দিয়ে দ্বিতীয় পর্বের ইজতেমা আগামী ১৭ জানুয়ারি শুক্রবার থেকে শুরু হয়ে ১৯ জানুয়ারি আখেরী মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ইজতেমা ময়দানের বিশাল সামিয়ানা টাঙ্গানো, রাস্তাঘাট মেরামত ও পয়ঃনিষ্কাশনের কাজ চলছে জোরেশোরে। আগত মুসল্লিদের নিরাপত্তায় থাকছে কঠোর নিরাপত্তাব্যবস্থা। ১৬০ একর জমির ওপর প্রায় দুই বর্গকিলোমিটার এলাকাজুড়ে বিশাল চটের প্যান্ডেলের সামিয়ানার নিচে এই ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার ছাত্রসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ স্বেচ্ছাশ্রমের ভিত্তিতে ময়দানে প্যান্ডেল তৈরির কাজ করছেন। এছাড়া রাস্তা মেরামত, মাইক টানানো, টয়লেট পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন, ময়দানের আগাছা পরিষ্কারের কাজ করছেন আগত মুসল্লিরা। বিদেশি নিবাস, বয়ান মঞ্চ, তাশকিল কামরা এরই মধ্যে নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। ইজতেমার জনৈক মুসল্লি সেলিম মিয়া জানান, প্রায় ৭০ জন সাথী নিয়ে তিনি ময়দানে কাজ করতে এসেছেন।
গাজীপুর সিটি করপোরেশন সূত্রে জানা গেছে, তাদের ব্যবস্থাপনায় ৮টি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া মাঠের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে ১৫টি তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। পুলিশের পক্ষ থেকে ১৪টি এবং র‌্যাবের পক্ষ থেকে ১০টি ওয়াচ টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। এছাড়া মাঠে ব্লিচিং পাউডার ও মশক নিধনের পর্যাপ্ত ওষুধ ছিটানোর কাজ শুরু করা হয়েছে। এছাড়া ৭৫০টি বৈদ্যুতিক বাতি স্থাপন ও ধুলোবালি যাতে না ওঠে সেজন্য পানি ছিটানোর ব্যবস্থা থাকছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের কর্মকর্তারা বলেন, ‘বিশ্ব ইজতেমা ময়দানে পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশনের পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। মুসল্লির সমাগমকে সামনে রেখে প্রতিদিন সাড়ে তিন কোটি গ্যালন পানির ব্যবস্থা থাকছে। বাড়তি টয়লেট নির্মাণ ও পাকা টয়লেটগুলো ব্যবহার উপযোগী করা হয়েছে। প্রতি বছরের মতো এবারও পানি ও পয়ঃনিষ্কাশনে মুসল্লিদের কোনো সমস্যা হবে না।
গাজীপুর মেট্টোপলিটন পুলিশ কমিশনার আনোয়ার হোসেন বলেন, বিশ্ব ইজতেমায় আগত লাখ লাখ মুসল্লির নিরাপত্তায় পুরো ইজতেমা ময়দান ও এর আশেপাশে এলাকায় পাঁচ স্তরের নিরাপত্তা বলয় তৈরি করা হবে। সিসিটিভি, আর্চওয়ে, মেটাল ডিটেক্টর থাকছে পুরো ময়দানজুড়ে। খিত্তায় খিত্তায় নিরাপত্তা চাদরে ঢেকে ফেলা হবে। সার্বিক নিরাপত্তায় এবার ইজতেমায় ৮ হাজার পুলিশ সদস্য কাজ করবে। এবারের ইজতেমা রেকর্ড সংখ্য মানুষের উপস্থিতির সম্ভাবনা তৈরি হওয়ায় বিশ্ব ইজতেমার মাঠের পরিধি আরও বাড়ানো হয়েছে। আগের খিত্তাগুলোর সঙ্গে এবার অতিরিক্তি ১৪টি খিত্তা যোগ করা হয়েছে।

বিএনপি নেতা হাফিজ ইব্রাহিমের মানিলন্ডারিং মামলা চলবে
ঢাকা অফিস
বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য হাফিজ ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে আনা মানিলন্ডারিং মামলা বাতিলের আবেদন খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত একটি হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ গতকাল এ আদেশ দেন। আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম খান। তিনি জানান, ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতে মামলাটি বিচারাধীন রয়েছে। এ অবস্থায় তিনি মামলা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেছেন। যেটি আজ মঙ্গলবার খারিজ হয়ে যায়। ফলে বিচারিক আদালতে মামলাটি চলমান থাকবে। এডভোকেট খুরশীদ আলম খান জানান, মানিলন্ডারিংয়ের মাধ্যমে হাফিজ ইব্রাহিম ও তার স্ত্রীর মাফরুজার সিঙ্গাপুরস্থ স্টান্ডার্ড চাটার্ড ব্যাংক হিসেবে এক লাখ ৭৫ হাজার ডলার জমা করার অভিযোগে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) ২০১১ সালের ১৬ আগস্ট গুলশান থানায় মামলা দায়ের করেন। এ মামলায় ২০১২ সালের ১২ জুন বিচারিক আদালত অভিযোগ আমলে নেন। পরে ২০১৫ সালের ৩ নভেম্বর ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালত অভিযোগ গঠন করেন।

ইভিএমেই ভোট হবে : সিইসি
ঢাকা অফিস
প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নুরুল হুদা বলেছেন, ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইভিএম থেকে সরে আসার কোনো পরিকল্পনা নেই। নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত। ইভিএমেই ভোট হবে।
গতকাল সন্ধ্যায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে বিএনপির প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দুই ঘণ্টার বৈঠক করে নির্বাচন কমিশন। বৈঠকে বিএনপি ইভিএম নিয়ে নানা অভিযোগ করে। এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, ‘ইভিএম নিয়ে আশঙ্কার কোনো কারণ নেই। আমরা বলেছি যে, ইভিএমে ভোট হলে যার ভোট তিনিই দিতে পারবেন। একজনের ভোট আরেকজন দিতে পারবেন না। একবারের বেশি একজন ভোট দিতে পারবেন না। এতে আলাদা কোনো প্রোগ্রামিং নেই। ভোট কারচুপি হওয়ার সুযোগ নেই।’ ইভিএমের মাধ্যমে নীরবে ভোট কারচুপির অভিযোগের বিষয়ে নুরুল হুদা বলেন, ‘নীরবে কারচুপি হওয়ার কোনো সুযোগ নেই। আমরা তাদের বুঝিয়ে বলেছি। আমরা বলেছি, অনেকগুলো নির্বাচন করেছি। এর মধ্যে সংসদ নির্বাচন করেছি। সিটি কর্পোরেশন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন করেছি। সেখানে কারচুপির অভিযোগ আসেনি। ভোটারদের মধ্যে এ নিয়ে কোনো রকম দ্বিধাদ্বন্দ্ব ছিল না। প্রার্থী যারা জয়ী হয়েছেন, তারাও কোনো অভিযোগ করেননি।’
নির্বাচনে পুলিশ পক্ষপাতমূলক আচরণ করবে না উল্লেখ করে নুরুল হুদা বলেন, ‘কোনটা প্রয়োজনীয় আর কোনটা নিষ্প্রয়োজনীয়, সেটা নিয়ে পুলিশের সাথে আলাদাভাবে বসব। সচিবকে দায়িত্ব দেব। আমি আগামীকাল চট্টগ্রাম যাব। উনি সেটা পুলিশের সাথে আলোচনা করবেন। আমি এসে আলাদাভাবে আলাপ করব। আমার সাথে অনানুষ্ঠানিকভাবে কথা হয়েছে, তারা কখনোই নির্বাচন নিয়ে কোনো রকম পক্ষপাতমূলক আচরণ করবে না।’ সিইসি বলেন, ‘৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত নিষ্প্রয়োজনীয় কোনো হয়রানি করা যাবে না। তার মানে এই না যে, কেউ ক্রিমিনাল অফেন্স করলে নির্বাচনের দোহাই দিয়ে আইনি ব্যবস্থা নেয়া যাবে না, এটা সম্ভব নয়। দ্বিতীয়ত, কারো ওপর আদালত থেকে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হলে তখনতো কোর্টের অর্ডারের বিরুদ্ধে পুলিশ অবস্থান নিতে পারে না। এ রকম যদি হয়, সেটা দেখতে হবে।’
নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে তিনি বলেন, ‘পুলিশের সঙ্গে আলাদাভাবে বৈঠক করে কঠোরভাবে বলে দেব যে, নির্বাচনের সময় যেন তারা প্রার্থীকে নিষ্প্রয়োজনীয় হয়রানি না করে এবং সেটা করবে না।’ ভোট শুরুর আগেই প্রচারের বিষয়ে সিইসি বলেন, ‘প্রচার যে শুরু করেছে, সে ব্যাপারে তারা অভিযোগ করেনি। আমাদের কাছে পত্রপত্রিকায় অভিযোগ এসেছে। আমাদের রিটার্নিং কর্মকর্তারা অ্যাকশন নিয়েছেন।’

গোপালগঞ্জে মুজিববর্ষ উপলক্ষে স্কুল মিল কার্যক্রমের উদ্বোধন
ঢাকা অফিস
মুজিবর্ষ উপলক্ষে গোপালগঞ্জের ১৬টি উপজেলায় ৪ লাখ ১০ হাজার ২৩৮ জন শিক্ষার্থীকে স্কুল মিল কার্যক্রমের আওতায় আনার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। গতকাল গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গীপাড়ায় নীলফা বয়রা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসব উপজেলার শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল মিল কার্যক্রমের উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এ কথা বলেন।
গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো:আকরাম আল হোসেন ও প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) সোহেল আহমেদ। প্রতিমন্ত্রী বলেন,জেলার মোট ২ হাজার ১৬৬ টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল মিল কার্যক্রমের অংশ হিসেবে টুঙ্গীপাড়া উপজেলায় ৩৩টি বিদ্যালয়ে আজকে থেকে রান্না করা খাবার সরবরাহের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।২০২৩ সালের মধ্যে সারাদেশের স্কুলগুলো এ কর্মসূচির আওতায় আসবে। তিনি বলেন,আগামী বছর থেকে পর্যায়ক্রমে দেশের সকল প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের স্কুল ফিডিং প্রকল্পের আওতায় আনার লক্ষ্যে ডিপিপি প্রণয়নের কার্যক্রম শেষ পর্যায়ে রয়েছে। বর্তমান সরকারের সময়ে বিদ্যালয় গমনোপযোগী প্রায় শতভাগ কোমলমতি শিশুকে বিদ্যালয়ে ভর্তি করাতে সক্ষম হয়েছি এ কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন,কিন্তু এখনো দারিদ্র্য পীড়িত এলাকায় কিছু সংখ্যক শিশু বিদ্যালয়ের বাইরে রয়ে গেছে এবং বিদ্যালয়ে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়ছে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন,প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিশুভর্তি শতভাগ ধরে রাখতে,ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের নিয়মিত উপস্থিতর হার বৃদ্ধি,ঝরে পড়ার প্রবণতা রোধ এবং ছাত্র-ছাত্রীদের দৈনন্দিন পুষ্টি চাহিদা পুরণকল্পে দারিদ্র্য পীড়িত এলাকায় মিড-ডে-মিল এবং স্কুল ফিডিং প্রকল্প চালু করা হয়েছে। তিনি বলেন,ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতীয় স্কুল মিল নীতিমালা ২০১৯-এর খসড়ার অনুমোদন দেয়া হয়েছে।এ নীতিমালা অনুমোদনের ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা উপকৃত হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন,অন্যদিকে,দারিদ্র্য পীড়িত এলাকায় স্কুল ফিডিং প্রকল্পটি ২০১০সালে শুধুমাত্র গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া উপজেলায় শুরু হয়।বর্তমানে ১০৪ টি উপজেলায় ২৮ লাখ ৭৫ হাজার শিক্ষার্থীর মাঝে প্রতি স্কুল দিবসে উপস্থিতির ভিত্তিতে প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে দৈনিক ৭৫ গ্রাম ফর্টিফাইড বিস্কুট দেয়ার কার্যক্রম চলমান আছে। শুধুমাত্র বিস্কুট নয়,একদিন অন্তর অন্তর রান্না করা খাবার ও উচ্চ পুষ্টিমান সমৃদ্ধ বিস্কুট সরবরাহ দেশের ১৬ টি উপজেলার ৪০০টি বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের মাঝে স্কুল মিল কার্যক্রম চলমান আছে। শিক্ষার্থীদের পুষ্টি চাহিদা পূরণ হয়েছে।ঝরে পড়ার হার ১৮ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে যা ২০০৬ সালে বিএনপি-জামাত সরকারের সময় ছিল ৫০ দশমিক ৫০শতাংশ। অচিরেই তা সিঙ্গেল ডিজিটে নেমে আসবে বলেও উল্লেখ করেন।

পিরোজপুরে ১ বছরে আড়াই লক্ষাধিক মানুষ সরাসরি ডিজিটাল সেবা পেয়েছে
পিরোজপুর প্রতিনিধি
জেলায় সদ্য সমাপ্ত বছরে ২ লক্ষ ৭৪ হাজার ২৫৮ জন মানুষ সরাসরি বিভিন্ন ধরনের ডিজিটাল সেবা পেয়ে উপকৃত হয়েছে। জেলা প্রশাসনের কার্যালয়ের ফ্র্ন্ট ডেক্স ও ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার সমূহের মাধ্যমে এ সেবা প্রদান করা হয়। পিরোজপুর জেলার ৫২টি ইউনিয়ন পরিষদ ভবন কমপ্লেক্সে অবস্থিত ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারে কর্মরত ১শত ৪ জন উদ্যোক্তা ২০১৯ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত এ সেবা প্রদান করে। এ সময় এ উদ্যোক্তরা সেবা প্রদান করে ৬৮ লক্ষ ৬৫ হাজার ৭৪ টাকা উপার্জন করে নিজেরা স্বাবলম্বী হয়েছে এবং সংসারে স্বচ্ছলতা এনেছে। সেবা গ্রহীতাদের মধ্যে পিরোজপুর সদরে ৩৭৮৮ জন ,নাজিরপুরে ২৮০৭ জন, নেছারাবাদে ১২৪০২ জন, কাউখালীতে ১২৭২৭ জন, ভান্ডারিয়ায় ৯৬৭৫ জন, ইন্দুরকানীতে ৭০২৮৩ জন এবং মঠবাড়িয়ায় ১৩৬৯৪ জন রয়েছে। ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার সমূহের বিদ্যমান সেবাগুলোর মধ্যে রয়েছে নাগরিক সনদ, জন্মনিবন্ধন, মৃত্যু নিবন্ধন, সরকারি ফরম ডাউনলোড, জমির পর্চার আবেদন, সব ধরনের নাগরিক আবেদন, জীবন বীমা, টেলি মেডিসিন, বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ, পাবলিক পরীক্ষার ফল জানা, অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি, পাসপোর্টের আবেদন, ভিসা ভেরিফিকেশন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে স্বাস্থ্য পরামর্শ, পানি পরীক্ষা, আর্সেনিক পরীক্ষাসহ বিভিন্ন সরকারি ডকুমেন্ট প্রণয়ন, সরকারি বিভিন্ন প্রচারণা কাজে লজিষ্টিক সার্পোট, হজ¦ যাত্রীদের প্রাক-নিবন্ধন, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, ছবি তোলা, ই-মেইল, ইন্টারন্টে ব্রাউজিং, চাকুরীর বিজ্ঞপ্তি দেখা ও অনলাইনে চাকুরির আবেদনসহ প্রায় অর্ধশত ধরনের সেবা দেওয়া হচ্ছে। জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ফ্রন্ট ডেক্স থেকে একই সময় ১ লক্ষ ৪৮ হাজার ৮শত ৮২ জনকে ডিজিটাল সেবা দেওয়া হয়েছে। এসব সেবার মধ্যে রয়েছে নকলের আবেদন গ্রহণ ও বিতরণ, নাগরিক আবেদন গ্রহণ, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সকল প্রকার চিঠিপত্র গ্রহণ। এ কার্যালয়ের সকল শাখা কর্তৃক প্রদত্ত সেবা জনগণকে অবহিত করনের জন্য সিটিজেন চার্টার প্রদর্শন, জেলা প্রশাসক ও অন্যান্য দপ্তর / সংস্থার উন্নয়ন কার্যক্রম অবহিত করা, এসএ, বিএস, সিএস, আরএস পর্চার আবেদন গ্রহণ ও নকল সরবরাহ, সংশোধনী নকলের আবেদন গ্রহণসহ ১২ ধরনের সেবা প্রদান করা হচ্ছে।
পিরোজপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের আইসিটি শাখার দায়িত্ব প্রাপ্ত সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মোঃ ইয়াছিন খন্দকার জানান, জেলার সকল ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টার এবং জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের ই-সেবা কেন্দ্র থেকে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে সেবা গ্রহিতাদের বিভিন্ন ধরনের সেবা প্রদান করা হচ্ছে। এর ফলে জেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের কাছে-সেবা পৌছে যাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীতে বিশ্বব্যাপী অুনষ্ঠান করবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
খুলনাঞ্চল রির্পোট
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে দেশের পাশাপাশি বিশ্বের বিভিন্ন দেশে বছরজুড়ে অনুষ্ঠান আয়োজন করে, সারা পৃথিবীতে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম ছড়িয়ে দিতে চায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এ লক্ষ্যে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিশ্বের বিভিন্ন দেশে তিন শতাধিক অুনষ্ঠান আয়োজন করবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন। দেশ এবং দেশের বাইরে অনুষ্ঠানগুলোতে বিভিন্ন দেশের নামকরা ব্যক্তিদের আমন্ত্রণ জানানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে অনেকে অনুষ্ঠানে আসতে সম্মতি দিয়েছেন। কিন্তু তারা কবে আসবেন সে বিষয় নিয়ে কাজ চলছে বলেও জানান মন্ত্রী। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে গঠিত সাব-কমিটির বৈঠক শেষে তিনি এসব কথা বলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, ভুটানের রাজা জিগমে খেশার ন্যামগেল ওয়াংচুক, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, ভারতের সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখাজি, কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধী, সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্স জায়েদ আল নাহিয়ান, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মোহাম্মাদ, ওআইসি সেক্রেটারি জেনারেল ও আরব লীগের সাবেক কর্মকর্তা আমির মূসা, ইউনেস্কোর সাবেক নির্বাহী প্রধান ইরিনা বুকোভাসহ অনেককেই আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। অনেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এবং অনেকে মৌখিকভাবে আসতে সম্মতি জানিয়েছেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ১৭ মার্চের অনুষ্ঠানে কাকে আনবো তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। বছরজুড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠান হবে এবং সেখানে তারা অংশ নেবেন। উদাহরণ হিসাবে তিনি বলেন, মার্চের ২২-২৩ তারিখে সংসদে বড় অনুষ্ঠান হবে। জুলিও কুরি উৎসব হবে এবং বছরজুড়ে বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অতিথিরা আসবেন। তবে ১৭ মার্চের অনুষ্ঠানে আমরা নির্বাচিত অতিথিদের আনতে চাই। ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশের ২৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে অনুষ্ঠানে নেলসন ম্যান্ডেলা, ইয়াসির আরাফাতসহ চারজনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল বলেও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। মন্ত্রী বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুকে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিতে চাই। এজন্য ৭৭টি মিশনে ২৬১টি প্রোগ্রাম হাতে নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিদেশে অবস্থিত বাংলাদেশিদের বলা হয়েছে, তারাও অনুষ্ঠান করবেন। কনফারেন্স, ওয়ার্কশপ, সেমিনারসহ বিভিন্ন অনুষ্ঠান হবে। আংকারা, দিল্লি, প্যালেস্টাইন, কম্বোডিয়াসহ বিভিন্ন দেশে বঙ্গবন্ধুর নামে রাস্তার নামকরণ হচ্ছে। ১২টি বড় মিশনে চিত্রকলা প্রদর্শনী আয়োজন করা হবে বলেও জানান তিনি। মন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশের শিল্পীরা সেখানে যাবেন এবং বড় আকারে অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।
পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়ে বঙ্গবন্ধু চেয়ার বা সেন্টার করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। আব্দুল মোমেন বলেন, এর মধ্যে বিভিন্ন দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বঙ্গবন্ধু চেয়ার তৈরি করা হয়েছে। জার্মানি, থাইল্যান্ডে চেয়ার আছে। ক্যামব্রিজে আমরা বঙ্গবন্ধু সেন্টার করেছি। পোল্যান্ডের ওয়ারশতে বঙ্গবন্ধু চেয়ার তৈরি করা হয়েছে। সেখানে একজন প্রফেসরও নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

পিলখানা হত্যাকা-: হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় আজ
ঢাকা অফিস
পিলখানা হত্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় (ডেথ রেফারেন্স ও আসামিদের আপিলের ওপর) বুধবার (৮ জানুয়ারি) প্রকাশ করবেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সুপ্রিম কোর্টের ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক বাংলা ট্রিবিউনকে এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিচারপতিদের স্বাক্ষরের পর বুধবার সকাল ১০টায় এ রায় প্রকাশিত হবে। এর আগে ২০১৭ সালের ২৬ ও ২৭ নভেম্বর টানা দুই দিনে পিলখানা হত্যাকা- মামলায় হাইকোর্ট রায় ঘোষণা করেন। হাইকোর্টের রায়ে বিচারিক আদালতে মৃত্যুদ-প্রাপ্ত ১৫২ আসামির মধ্যে ১৩৯ জনের ফাঁসির রায় বহাল রাখা হয়। একইসঙ্গে ৮ জনের মৃত্যুদ-ের সাজা কমিয়ে যাবজ্জীবন ও চার জনকে খালাস দেওয়া হয়। অন্যদিকে, এ মামলার অন্যতম আসামি বিএনপি নেতা নাসিরউদ্দিন পিন্টু হাইকোর্টের বিচার চলাকালীন সময়ে মারা যান। পাশাপাশি বিচারিক আদালতে যাবজ্জীবন পাওয়া ১৬০ জন আসামির মধ্যে ১৪৬ জনের সাজা বহাল রাখেন হাইকোর্ট। এদের মধ্যে দুই জন আসামির মৃত্যু এবং ১২ জন আসামিকে খালাস দেওয়া হয়।
এছাড়া, জজ আদালতে খালাস পাওয়া ৬৯ আসামির মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষের আপিলের পরিপ্রেক্ষিতে ৩১ জনকে যাবজ্জীবন কারাদ- দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে এ মামলায় ৪ জনকে সাত বছরের কারাদ- এবং ৩৪ জনকে খালাসের বিচারিক আদালতের রায় বহাল রেখেছিলেন হাইকোর্ট। প্রসঙ্গত, এ মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০১৩ সালের ৫ নভেম্বর ঢাকার অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মো. আখতারুজ্জামান বকশীবাজারে আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত অস্থায়ী এজলাসে রায় ঘোষণা করেন। ওই রায়ে ১৫২ আসামিকে ফাঁসির রায় দেন এই বিচারক। উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে রাজধানীর পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দফতরে হত্যাকা- সংগঠিত হয়। ওই ঘটনায় ৫৭ সেনা কর্মকর্তাসহ প্রাণ হারান মোট ৭৪ জন।

মুজিববর্ষে জমি বেচে স্কুলে স্কুলে শহীদ মিনার নির্মাণ করছেন ইউপি চেয়ারম্যান
গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
মুজিববর্ষ উদযাপন উপলক্ষে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলার পারুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ মুকিমুল ইসলাম তার নিজস্ব অর্থায়নে পাঁচটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার নির্মাণ করে দিয়েছেন। এছাড়া ওই ইউনিয়নে আরও দুটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তার নিজ অর্থায়নে শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ এগিয়ে চলছে। নিজের জমি বিক্রি করে এই উদ্যোগ নিয়েছেন বলে জানান তিনি।
মুজিববর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে স্কুলে শহীদ মিনার নির্মাণ করায় এলাকাবাসীর প্রশংসায় ভাসছেন ইউপি চেয়ারম্যান মুকিমুল। এলাকাবাসী জানায়, স্কুলগুলোতে আগে কোনও স্থায়ী শহীদ মিনার ছিল না। ফলে শিক্ষার্থীরা ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে পারত না। এখন ইউপি চেয়ারম্যানের উদ্যোগে শহীদ মিনার নির্মাণ করায় ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধা জানাতে পেরে শিক্ষার্থীরা আনন্দিত। এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান শেখ মুকিমুল ইসলাম বলেন, ‘আমার ইউনিয়নে সাতটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এসব বিদ্যালয়ে কোনও শহীদ মিনার ছিল না। তাই আমি মুজিববর্ষে নিজ অর্থায়নে ওইসব স্কুলে শহীদ মিনার নির্মাণ করে দিয়েছি।’

কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাব্বির আহমেদ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বিষয়টি আমার জানা আছে। অবশ্যই ইউপি চেয়ারম্যান ভালো উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন। আমরা আগামী মাসের দিকে এই উপজেলায় যারা যারা ভালো কাজ করছেন তাদের সম্মামনা দেওয়ার ব্যবস্থা করবো।’ গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক শাহিদা সুলতানা বলেছেন, ‘ইউপি চেয়ারম্যান সাহেব যে উদ্যোগটি নিয়েছেন, এটি একটি ভালো উদ্যোগ। এই উদ্যোগকে আমি এবং আমার জেলা প্রশাসন স্বাগত জানাই। এই উদ্যোগের কথা অন্যরা জানতে পেরে তারাও উৎসাহিত হবেন। এমন উদ্যোগকে আমরা সব সময়ই অভিনন্দন জানাবো।’

খালেদা জিয়ার মামলায় আদালতে যেতে রাজি ড. কামাল হোসেন
ঢাকা অফিস
কারাবন্দি চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মামলায় তার জামিনের জন্য আদালতে যাবেন বলে জানিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, ‘এটা তো সংবাদ মাধ্যমে বলার কথা না। অবশ্যই পেশাগত কারণে আমি কোর্টে যাবো।’ মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন। মতিঝিলে নিজ চেম্বারে ঐক্যফ্রন্টের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদ সম্মেলনে কথা বলেন ড. কামাল হোসেন। হাইকোর্টের আপিল বিভাগে খালেদা জিয়ার জামিন খারিজ করে দেওয়া পর আবারও তার জামিনের জন্য আবেদন করা হবে কিনা, জানতে চাইলে ড. কামাল বলেন, ‘আমাদের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে। জামিন যতবার প্রয়োজন চাওয়া যাবে।’
ড. কামাল হোসেন বলেন, ‘মিডিয়ায় প্রকাশিত সংবাদের আলোকে আমরা জানতে পারি, তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া কারাগারে মারাত্মক অসুস্থ অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। তার স্বাস্থ্যের গুরুতর অবনতির কারণে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের পক্ষ থেকে গভীর উৎকণ্ঠা ও উদ্বেগ প্রকাশ করছি।’ খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘অবিলম্বে তার মুক্তির দাবিও করছি। আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, অন্যথায় যেকোনও অনভিপ্রেত ঘটনার দায়-দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে সরকারকে বহন করতে হবে।’
খালেদা জিয়ার জামিন নিয়ে টালবাহানা চলছে বলে দাবি করে ড. কামাল বলেন, ‘আমরা এর নিন্দা প্রকাশ করছি। আমরা তার উন্নত চিকিৎসার যে দাবি করছি, সরকার যদি তা না মেনে নেয়, তাহলে তখন এটি সংবিধান লঙ্ঘন করার শামিল।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী ধর্ষণ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে কামাল হোসেন বলেন, ‘এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া দেশের ১৬ কোটি মানুষের দাবি।’

এসময় ঐক্যফ্রন্টের নেতা গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের শীর্ষ নেতা ড. কামাল বলেছেন, প্রয়োজন হলে তিনি খালেদা জিয়ার মামলায় আদালতে যাবেন। কিন্তু বিচারপতিরা যদি পাথরের মতো বিবেকহীন হয়ে থাকেন, তাহলে আন্দোলন ছাড়া আমাদের কোনও পথ নেই।’

তিনি আরও বলেন, ‘বিচারকরা মূল একটা জিনিসকে মিস করেছেন। খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য নিয়ে যে মেডিক্যাল রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে, সেটা অসম্পূর্ণ রিপোর্ট। কারণ, এই রিপোর্ট তৈরিতে কোনও মানসিক বিশেজ্ঞষ ছিল না। খালেদা জিয়ার মূল চিকিৎসা হচ্ছে ফিজিওথেরাপি। এ বিষয়ে কোনও বিষেজ্ঞ ছিলেন না। মেডিক্যাল বোর্ডের রিপোর্টে তার যতগুলো রোগের কথা বলা হয়েছে, সেগুলোর কোনও রিপোর্টও আদালতে দাখিল করা প্রতিবেদনের সঙ্গে দেওয়া হয়নি। এই রকম অসম্পূর্ণ রিপোর্ট দেখে মামলার কাজ ডিসমিস করে বিচারকরা ভুল কাজ করেছেন। মানবিক কারণে খালেদা জিয়ার জামিন পাওয়াতে কোনও বাধা নেই।’

খালেদা জিয়াকে জামিন না দিয়ে সরকার বঙ্গবন্ধুকে অপমান করছে বলে মন্তব্য করে ডা. জাফরুল্লাহ বলেন, ‘সংবিধান ও বঙ্গবন্ধু অসমাপ্ত আত্মজীবনীতে পরিষ্কারভাবে বলা আছেÍ একাকিত্ব বড় অপরাধ, যা মানসিক অবসাদের সৃষ্টি করে। এটা বেআইনি কাজ। হাসপাতালে খালেদা জিয়াকে যেভাবে রাখা হয়েছে, সেটা কিন্তু একাকিত্ব। এই মুহূর্তে এটাই তার বড় রোগ।’

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে তার সাংবিধানিক অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। এটা আজকের ফ্রন্টের সভায় সবাই একমত হয়েছেন। তিনি তিন বারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, এটি বাদ দিলেও একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে তার জামিন পাওয়ার অধিকার রয়েছে। সরকার সেটা থেকে তাকে বঞ্চিত করেছে।’

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেনÍ নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহামুদুর রহমান মান্না, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অধ্যাপক আবু সাইয়িদ চৌধুরী, অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, বিকল্পধারা বাংলাদেশের একাংশের সভাপতি অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, জেএসডি নেতা শফিউদ্দিন স্বপন, ঐক্যফ্রন্টের দফতর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু প্রমুখ।

যশোরে ফের বেড়েছে শীত, যানবাহন ও বিমান চলাচল বিঘিœত
যশোর প্রতিনিধি
যশোরে আবারও শীতের তীব্রতা বেড়েছে। ঘণ কুয়াশার সঙ্গে উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে অনেক বেশি শীত অনুভূত হচ্ছে। কনকনে শীতে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। অন্যদিকে, ঘণ কুয়াশার কারণে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে দূরপাল্লার যানবাহন। এছাড়াও কুয়াশার কারণে সময় মতো বিমান না আসায় ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। যশোর বিমান বাহিনীর মতিউর রহমান ঘাঁটি আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য মতে, গত শনিবার (৪ জানুয়ারি) বৃষ্টিপাতের পর থেকে যশোরে ফের কমতে শুরু করে তাপমাত্রা। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) যশোরে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। সেই সঙ্গে ঘণ কুয়াশা ও উত্তরের হিমেল হাওয়ার কারণে জেঁকে বসেছে কনকনে শীত। বেলা সাড়ে ১১টা পর্যন্ত দেখা মেলেনি সূর্যের। যে কারণে সকালে কাজে বেরিয়ে চরম ভোগান্তিতে পরেছে খেটে খাওয়া ও ছিন্নমূল মানুষ। যশোর বিমানবন্দরের ব্যবস্থাপক মাসুদুল হক জানান, ইউএসবাংলা ও নভোএয়ারের যশোরে প্রথম ফ্লাইট ছিল সকাল সাড়ে ৭টায়। কিন্তু ঘণ কুয়াশার কারণে আজ বিমান দুটি আসে বেলা ১২টার পর। ফলে প্রায় চার ঘণ্টা যাত্রীদের অপেক্ষা করতে হয়েছে। তিনি আরও জানান, ঘণ কুয়াশা হলে সকাল ও রাতের ফ্লাইটগুলো কিছুটা বিলম্বিত হয়।

শিশুদের জন্য ওয়ার্ডভিত্তিক পৃথক বাজেট দেবেন কেসিসি মেয়র
তথ্য বিবরণী
আগামী অর্থবছর থেকে শিশুদের জন্য ওয়ার্ডভিত্তিক পৃথক বাজেট দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের (কেসিসি) মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। তিনি আরও বলেন,‘আজকে যারা শিশু-কিশোর তারাই আগামী দিনের ভবিষ্যৎ। শিশু-কিশোরদের যোগ্যভাবে গড়ে তোলার ওপরই নির্ভর করছে উন্নত ও সফল বাংলাদেশ। সরকার দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার পাশাপাশি শিশু-কিশোরদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বছরের প্রথম দিন বিনামূল্যে বই বিতরণসহ উল্লেখযোগ্য নানা পদক্ষেপ নিয়েছেন।’ শিশু ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক কার্যক্রমের আওতায় জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে কৈশোর বেতার শ্রোতাক্লাবের সদস্যদের নিয়ে মঙ্গলবার ‘বেতার সংলাপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র এ কথা বলেন। এ সময় সিটি মেয়র বাল্যবিবাহ, শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে অভিভাবক ও শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সবাইকে সচেতনতামূলক কার্যক্রম বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেন। অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচক ছিলেন খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ। সভাপতিত্ব করেন, খুলনা বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক মো. বশির উদ্দিন। অন্যদের মধ্যে ছিলেন ইউনিসেফের শিশু সুরক্ষা কর্মকর্তা মমিনুন নেসা শিখা, শিশু ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প পরিচালক আনাতোর আমজাদ। স্বাগত জানান ইউনিসেফের কমিউনিকেশন ফর ডেভেলপমেন্ট অফিসার উম্মে হালিমা।

খুলনা বিভাগের শিশুশ্রম, শিশু বিবাহ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের ওপর পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন খুলনা বেতারের সহকারী পরিচালক মামুন আক্তার। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দফতরের কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও বেতার শ্রোতাক্লাবের সদস্যরা সংলাপে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি খুলনা বেতার সরাসরি সম্প্রচাসার করে।

ভিক্ষা ছেড়ে দুধ বিক্রি করে স্বাবলম্বী মনোয়ারা
মাগুরা প্রতিনিধি
মাগুরা পৌর এলাকার শিবরামপুর এলাকার মনোয়ারা বেগম এখন আর ভিক্ষা করেন না। গরুর দুধ বিক্রি করে এখন সে স্বাবলম্বী। তবে দৃশ্যপট এমন ছিল না। ২০১০ সালে স্বামী হৃদরোগে হঠাৎ মারা যাওয়ায় তিন সন্তান নিয়ে অসহায় হয়ে পড়েন তিনি। জীবিকা নির্বাহের উপায় না পেয়ে ভিক্ষা করতে হয়। তাতে যদি দু মুঠো ভাত জোটে। পরে ২০১৮ সালে রোভা ফাউন্ডেশন এবং মাগুরা সদর উপজেলা প্রশাসনের সহায়তায় সে শুরু করে গরুর দুধ বিক্রি। দিনে দিনে পাল্টাতে থাকে তার জীবন। এখন সে ছয়টি ছাগলের মালিক।
মনোয়ারা বলেন, ‘আমি বিভিন্ন বাড়ি থেকে দুধ সংগ্রহ করি। এই দুধ মাগুরা নতুন বাজারে নিয়ে বিক্রি করি। তাতে কেজিতে ১০ টাকা করে লাভ হয়। দিনে ৫০ কেজি দুধ বিক্রি করলেই আমার ৫০০ টাকা লাভ থাকে। এভাবে মাসে ১৫ হাজার টাকা অনায়াসেই আয় করতে পারি। দুধ বিক্রির কাজ আমার সকালেই শেষ হয়ে যায়। বাকি সময় কাটে ছাগল পালন করে। উপজেলা প্রশাসন থেকে অনুদান পেয়ে তিনটি ছাগল কিনেছিলাম যা ২৫ হাজার টাকায় বিক্রি করি। বর্তমানে নিজের টাকায় কেনা ছয়টি ছাগল রয়েছে। যা সামনে ৫০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে পারব।’
মনোয়ারা গর্ব করে বলেন, ‘এখন আমি স্বাবলম্বী। মানুষের দরজায় দরজায় আর ভিক্ষা করা লাগে না। এখন কেউই আর আমাকে ভিক্ষুক বলে না।’ মাগুরা রোভা ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক কাজী কামরুজ্জামান বলেন, ‘মনোয়ারাকে অনুদান দেওয়ার পর আমরা তাকে পর্যবেক্ষণে রাখি। দুধ বিক্রি থেকে ছাগল পালন সবক্ষেত্রে তার দেখাশোনা করছি। সবচেয়ে ভালো লাগে এই ভেবে যে, সে অতি সহজেই ভিক্ষুক থেকে একজন সফল ব্যবসায়ী হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।’ মাগুরা সদর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সুফিয়ান বলেন, ‘আমরা মাগুরাকে ভিক্ষুক মুক্ত জেলা হিসেবে ঘোষণা করেছি। মনোয়ারা শুধু মাগুরা নয় আমাদের সমাজের একটি অন্যতম দৃষ্টান্ত।’

২০১৯ সালে ৯০২ শিশু ধর্ষণের শিকার

ঢাকা অফিস
গতবছর ৯০২ জন শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। ২০১৮ সালে যার সংখ্যা ছিল ৩৫৬। শুধু ধর্ষণই নয়, ২০১৯ সালে যৌন নির্যাতনের শিকার শিশুর সংখাও বেড়েছে আগের বছরের তুলনায়। গত বছর যেখানে ৯৩ শিশু নির্যাতনের শিকার হয়েছে সেখানে ২০১৮ সালে এই সংখ্যা ছিল ৭৭। এভাবে শিশু নির্যাতন বেড়ে যাওয়ায় বিভিন্ন মহল থেকে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য তুলে ধরে বেসরকারি সংগঠন মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন। আটটি জাতীয় সংবাদপত্রকে উৎস ধরে এই তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে বলেও জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে। সংবাদ সম্মেলনে তথ্য উপস্থাপন করেন এমজিএফের চাইল্ড প্রোটেকশন কোঅর্ডিনেটর রাফিজা শাহীন। তিনি বলেন, ২০১৯ সালে ১৩ থেকে ১৮ বছর বয়সী শিশুরা সবচেয়ে বেশি ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। তাদের সংখ্যা মোট শিশু ধর্ষণের শতকরা ৪৮ ভাগ। শিশু ধর্ষণের হারে দ্বিতীয় পর্যায়ে আছে ৭ থেকে ১২ বছরের শিশু যারা শতকরা ৩৯ ভাগ। শিশুদের বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে, চকলেট বা খাবারের লোভ দেখিয়ে, ভয় দেখিয়ে, মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে ও ঘরে একা পেয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে। প্রকাশিত সংবাদের ভিত্তিতে দেখা গেছে সবচেয়ে বেশি শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে ঢাকা জেলায়। এরপর আছে নারায়ণগঞ্জ ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যৌথভাবে ময়মনসিংহ ও কুমিল্লা। ‘শিশু পরিস্থিতি ২০১৯, সংবাদপত্রের পাতা থেকে’ শীর্ষক এই সংবাদ সম্মেলনে এক বছরে শিশু ধর্ষণ ছাড়াও শিশু নির্যাতনের তথ্য তুলে ধরা হয়। উপস্থাপিত তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালে হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছে ৩২৯ শিশু। এদের মধ্যে মারা গেছে ২৬৬ জন এবং আহত হয়েছে ৬৩ জন। ২০১৮ সালে এই মোট হত্যাচেষ্টার শিকার হয়েছিল ২৭৬ শিশু। এদের মধ্যে ২২৭ জন মারা যায় এবং আহত হয় ৪৯ জন। হত্যাচেষ্টার কারণ হিসেবে পারিবারিক কলহ, সম্পদের জন্য কলহ, প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, ভালোবাসা সংক্রান্ত সমস্যা, দ্বন্দ, ঝগড়া, মেয়ে হয়ে জন্মানোর কারণে, রাগের মাথায়, প্রতিবাদ করার জন্য, মানসিক চাপ ও ধর্ষণচেষ্টা ব্যর্থ হওয়ার কথা বলা হয়েছে।
শিশু নির্যাতন, ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা ছাড়াও বছরজুড়ে অপহরণ, নির্যাতন ও আত্মহত্যার ঘটনা ঘটে। গতবছর ৮৩ শিশু অপহরণের শিকার হয়, যাদের মধ্যে ১২ জন নিহত ও ৭১ জন আহত হয়েছে। শিশু অপহরণকারীর মধ্যে রয়েছে বাবা, বাবার বন্ধু, মায়ের প্রেমিক, প্রতিবেশী, আত্মিয়-স্বজন, রাজনৈতিক নেতা, শিক্ষক, প্রেমিক, ভাড়াটিয়া ও দুর্বৃত্তকারী। আর অপহরণের কারণ হিসেবে উঠে এসেছে টাকা, প্রেম, বিয়ের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, প্রতিশোধ ও পাচারের জন্য। তবে ২০১৮ সালের তুলনায় গত বছর এই সংখ্যা কিছুটা হ্রাস পেয়েছে বলে জানানো হয়। ২০১৯ সালে নির্যাতনের শিকার হয়েছে ১৫৯ শিশু, যাদের মধ্যে মারা গেছে ১২ জন এবং আহত হয়েছে ১৪৭ জন। প্রেমের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, স্কুলে না যাওয়া, চোর সন্দেহে, চুরি করায়, উত্যাক্ত করা, দুষ্টুমি করা, খেলাধুলা করা, পড়াশোনা না করা, ক্লাসে কথা বলা, ক্লাসে দেরী করে উপস্থিতি, না বলে ফল খাওয়া, না বলে স্কুল থেকে বাসায় চলে আসা, চেয়রাম্যানের গাড়িতে হাত দেওয়া, উত্যক্ত করায় প্রতিবাদ এবং ধার করে খাবার কেনার জন্য বিভিন্ন বয়সী শিশুকে নির্যাতন করা হয়েছে।

এছাড়াও ৫ শিশু কর্মক্ষেত্রে নির্যাতনের শিকার হয়। ৩ মেয়ে শিশু গৃহকর্মী হিসেবে কাজ করার সময় নির্যাতিত হয় যাদের মধ্যে মারা যায় ২ জন। হত্যা, ধর্ষণ, নির্যাতন ছাড়াও গতবছর ৬৫ শিশু নানা কারণে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছে। এদের মধ্যে আহত হয়েছে ৯ জন ও মারা গেছে ৫৬ জন। শিশুদের আত্মহত্যার প্রধান কারণ হিসেবে উঠে এসেছে পরীক্ষায় ফেল, পরিবারের উপর রাগ, প্রেম সংক্রান্ত, উত্যক্ত হয়ে, ধর্ষণ ও ধর্ষণচেষ্টার শিকার হয়ে, বাল্যবিয়ে ও হতাশা। আরও কিছু কারণের মধ্যে রয়েছে জামা কিনে না দেওয়া, চেয়ে টাকা না পাওয়া, পড়াশোনা সংক্রান্ত, মোটরসাইকেল চেয়ে না পাওয়া, ব্যক্তিগত ছবি প্রকাশ ও ব্ল্যাকমেই। ২০১৮ সালের তুলনায় এই সংখ্যা কমেছে। সেবছর ১৫২ শিশু আত্মহত্যা করে। ২০১৯ সালে বিভিন্ন দুর্ঘটনা ও নির্যাতনে দেশে ৯৮৬ শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা ৫৫৩ ও পানিতে ডুবে মারা গেছে ২৫২ জন শিশু। এছাড়া ধর্ষণ, ধর্ষণচেষ্টা, হত্যা, অপহরণ, নিখোঁজ ও নির্যাতনের শিকার হয়ে মারা গেছে আরও ৩৬১ শিশু।
সংবাদ সম্মেলনে মানুষের জন্য ফাউন্ডেশনের নির্বাহী পরিচালক শাহীন আনাম ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য অ্যারোমা দত্ত ও শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রুহুল আমিন। শাহীন আনাম বলেন, সরকারী নানা পদক্ষেপ স্বত্বেও একটা শিশুবান্ধব পরিবেশ তৈরি করতে ব্যর্থ হয়েছি আমরা। ফলে আমাদের শিশুরা একটি চরম অনিরাপদ অবস্থায় রয়েছে। বিশেষ করে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল অবস্থায় থাকা শিশুরা, পথশিশুরা ঝুঁকিপূর্ণ পরিস্থিতিতে রয়েছে। তাদের যেমন নিরাপদ বাসস্থানের অভাব রয়েছে তেমনি টাকার জন্য কাজ করতে বাধ্য হচ্ছে যেখানে নির্যাতনের শিকার হচ্ছে তারা। তিনি বলেন, আমাদের দেশের সামাজিক নিরাপত্তা খাতে ব্যায়ের একটা বড় অংশ শিশুদের সামাজিক নিরাপত্তার জন্য ব্যয় হওয়ার কথা কিন্তু সেটা শিশুদের জন্য ব্যয় হচ্ছে কিনা তা নিশ্চিত করা হচ্ছে না। শিশুদের রক্ষা করার জন্য আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার প্রতিনিধি ও সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তিদের উদ্যোগে পাড়ায় পাড়ায় শিশু সুরক্ষা কেন্দ্র তৈরি করতে হবে। সাংসদ অ্যারোমা দত্ত বলেন, ‘শিশুরা সবার আদরের কিন্তু সেই শিশুদের উপর হঠাৎ করে সহিংসতা বেড়ে যাওয়ায় আমরা সবাই উদ্বিগ্ন। আমি ভাবতেই পারি না মানুষ কীভাবে একটা শিশুকে ধর্ষণ করে, হত্যা করে ও নির্যাতন করে। অথচ এই শিশুদের ঘরে ও বাইরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার দায়িত্ব আমাদের সবার।’ শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপসচিব রুহুল আমিন বলেন, আগের তুলনায় সামাজিক নিরাপত্তা কমে গেছে অনেকটাই। আইন প্রয়োগের পাশাপাশি সবাইকে মিলে একসঙ্গে শিশুর নিরাপদ জীবন নিশ্চিতের জন্য কাজ করতে হবে।
একটা শিশুর নিরাপদ ও সুন্দর জীবন নিশ্চিত করার দায়িত্ব প্রতিটি মন্ত্রণালয়ের। শ্রম মন্ত্রণালয় ২০২৫ সালের মধ্যে শিশু শ্রম বন্ধে নানা উদ্যোগ গ্রহণ করছে। এক্ষেত্রে সরকারি সংস্থার পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতায় কাজ করা হচ্ছে।

মুজিববর্ষে যোগ দেবেন মোদি-প্রণব-মুন-মাহাথির
ঢাকা অফিস
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে মুজিববর্ষের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার ও রাষ্ট্রপ্রধানসহ বিভিন্ন সংস্থার প্রধানরা উপস্থিত থাকবেন বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন। এসব বিশ্বনেতাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রণব মুখার্জি, আরব আমিরাতের ক্রাউন প্রিন্স শেখ মুহাম্মদ বিন যায়েদ আল-নাহিয়ান, জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন, ওআইসি সেক্রেটারি জেনারেল, ভুটানের রাজা জিগমে ওয়াংচুক ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী মাহাথির মুহাম্মদ। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির বৈঠক শেষে পররষ্ট্রমন্ত্রী এ তথ্য জানিয়েছেন। বৈঠকটি রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে বৈঠক শেষে কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী জানান, আগামী ১০ জানুয়ারি (শুক্রবার) তেজগাঁওয়ের জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে প্রতীকী বিমান অবতরণের মধ্য দিয়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসের আবহ সৃষ্টি করে জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা শুরু উদ্বোধন হবে। ওই দিন বিকাল ৫টায় বাংলাদেশ বিমান বাহিনীর ১৩০জে উড়োজাহাজ জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে অবতরণ করবে। আর এর মধ্য দিয়েই শুরু হবে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা। দুই লাখের বেশি মানুষের উপস্থিতিতে ক্ষণগণনা কর্মসূচি বর্ণাঢ্যভাবে আয়োজনের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে জানিয়ে ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, ‘১০ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনার শুভ উদ্বোধন করবেন। উদ্বোধনের সাথে সাথেই রাজধানীসহ সারাদেশের সকল বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় স্থাপিত ঘড়িতে বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা শুরু হবে। একই সাথে ডিসপ্লেতে বঙ্গবন্ধুর জীবন ও কর্মের ওপর ভিডিও প্রদর্শিত হবে। কিউ আর কোডের মাধ্যমে যে কেউ চাইলেই জন্মশতবার্ষিকীর ওয়েবসাইটের সাথে সংযুক্ত হয়ে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে ও জন্মশতবার্ষিকীর আয়োজনের নানা তথ্য জানতে পারবে। এছাড়া জানাতে পারবে বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে নিজের অনুভূতি।’ তিনি আরও বলেন, ‘জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে ক্ষণগণনার উদ্বোধনের পর বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনে আগামী ১৭ মার্চ রাত ১২টা ১ মিনিট থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে মুজিববর্ষ উদযাপন শুরু হবে।
প্রসঙ্গত, বিগত ১৯৭২ সালের ১০ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সদ্য স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশে ফিরে আসেন। যা বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস হিসেবে বাংলাদেশিরা স্মরণ করে থাকে। ওইদিন বিকেল ৫টায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে প্লেন থেকে নেমেছিলেন।

ডিজিটাল ডিভাইস কেড়ে নিচ্ছে শৈশব, বাধা পাচ্ছে শিশুর বিকাশ
বিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা
উত্তরার জাভেদ আহমেদ। বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। তার স্ত্রী সীমা ইসলামও চাকরি করেন বেসরকারি একটি ব্যাংকে। তাদের চার বছর বয়সী একমাত্র সন্তান তূর্য (ছদ্মনাম)। তূর্যকে বাসায় দেখাশোনা করতেন তাদেরই একজন নিকটাত্মীয়। কিন্তু তূর্যের সময় কাটতো বাসায় টিভি ও স্মার্টফোনে ইউটিউব দেখে। বাবা-মা অফিস শেষে বাসায় এলেও ছেলে ব্যস্ত হয়ে পড়তো মোবাইল ফোন নিয়ে। মোবাইলে ইউটিউব দেখা বন্ধ করলেই উত্তেজিত হয়ে পড়তো সে। ছেলেকে খাওয়ানো কিংবা তাকে শান্ত রাখার কৌশল হিসেবে বাবা-মা ইউটিউবকেই হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করতো। কিন্তু এক সময় তারা খেয়াল করলেন, তূর্য ঠিক মতো কথা বলতে পারছে না।
জাভেদ আহমেদ বলেন, ‘যে বয়সে তূর্যের বাবা-মা বলে ডাকার কথা সেই বয়সে সে ব্যস্ত থাকতো মোবাইলে ইউটিউব দেখা নিয়ে। এক পর্যায়ে দেখি সে ঠিক মতো কথা বলতে পারছে না। এর পর তাকে নিয়ে চিকিৎসকের কাছে যাই। চিকিৎসক বলেন, তূর্যের হাইপার অ্যাকটিভ সমস্যা আছে। উনার পরামর্শে মোবাইল, ট্যাব ও টিভি থেকে দূরে রাখার চেষ্টা করে যাচ্ছি। পাশাপাশি তাকে খেলার মাঠ ও আত্মীয়-স্বজনের বাসায় নিয়ে যাচ্ছি। এখনও সে তার আসক্তি কাটাতে পারেনি। তবে আশা করছি, দ্রুতই তা কাটিয়ে উঠবে তূর্য।’ এরকম ঘটনা যে শুধুমাত্র তূর্যের ক্ষেত্রেই ঘটছে, তা কিন্তু নয়। রাজধানীসহ দেশের অনেক জায়গার শিশুরা বর্তমানে এই সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। সম্প্রতি বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার এক গবেষণায় উঠে এসেছে, বাংলাদেশের ৬৬ শতাংশ শিশু শরীরচর্চার পেছনে দৈনিক এক ঘণ্টা সময়ও ব্যয় করে না। অর্থাৎ প্রতি তিনজনের মধ্যে দুজন শিশু শরীরচর্চার পেছনে সময় ব্যয় করে না। যদিও ১৪৬টি দেশে চালানো এই জরিপে বাংলাদেশের শিশুদের নিষ্ক্রিয়তার মাত্রাই সবচেয়ে কম।
বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শারীরিক অনুশীলনের অভাবে শিশুর স্বাস্থ্য তো বটেই, মস্তিষ্কের বিকাশও বাধাগ্রস্ত হচ্ছে; ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সামাজিক দক্ষতা। এর পেছনে ঘরে-বাইরে শিশুদের খেলাধুলার ব্যবস্থা না থাকা এবং নিরাপত্তার অভাববোধের বিষয়টিও কাজ করছে।
গবেষণায় বলা হয়, ধনী ও অনুন্নত দেশগুলোতে শিশুরা দৈনিক এক ঘণ্টাও শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকছে না। এই পরিস্থিতিকে গবেষকরা দেখছেন ‘বৈশ্বিক সংকট’ হিসেবে। আর এই ঝুঁকির বাইরে নয় বাংলাদেশের শিশুরাও।

সাইক্লিং, সাঁতার, ফুটবল খেলা, লাফানো, দড়ি লাফ, জিমনাস্টিকসের মত শারীরিক কসরৎ- যা হৃদস্পন্দন বাড়ায়, ফুসফুসকে আরও বেশি সক্রিয় করে- এমন যেকোনো দৈহিক কর্মকা-কে ‘ব্যায়াম’ হিসেবে ধরে এই সমীক্ষা চালানো হয়েছে। গবেষণায় ১১ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে শারীরিকভাবে নিষ্ক্রিয়তার যে তথ্য উঠে এসেছে, তার কারণ হিসেবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তা ড. ফিওনা বুল বলেছেন, “শিশুরা আসলে অলস নয়। শিশুদের শরীরচর্চাকে প্রাধান্য দিতে না পারাটা আমাদেরই অবহেলা আর ব্যর্থতা। আর এই পরিস্থিতি প্রায় সারাবিশ্বেই। প্রতিদিন এক ঘণ্টা শারীরিকভাবে সক্রিয় থাকার চেষ্টা অসম্ভব কোনো লক্ষ্যই না। সুস্বাস্থ্যের জন্য অন্তত এক ঘণ্টা শরীরচর্চার করা উচিত। আর এটা ‘প্রমাণিত’।”

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার কর্মকর্তা রেজিনা গুথল্ড বলেন, ‘যে শিশু নিয়মিত শরীরচর্চা করে সে বেশ বুদ্ধিদীপ্ত হয়। যেকোনো কিছুই তারা খুব সহজে শিখতে পারে। সামাজিক যোগাযোগের দক্ষতাও তাদের বেশি হয়।’ গবেষণা প্রতিবেদনটির সহলেখক লিয়ানে রিলে বলেন, ‘শিশুদের কঠোর পরিশ্রম করতে উৎসাহ দেওয়া হয় ঠিকই, কিন্তু তা কেবল পড়ালেখা আর পরীক্ষার জন্য। বাচ্চারা লম্বা সময় ধরে স্কুলে থাকে, বসে বসে হোমওয়ার্ক করে, খেলাধুলার ফুরসত আর হয় না। এছাড়াও দেখা যায় বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইসের কারণে তারা শারীরিক অনুশীলন বিমুখ হয়ে পড়ছে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষকরা বলেন, শারীরিক অনুশীলনের অভাবের আরেকটি কারণ হচ্ছে অতিমাত্রায় ডিজিটাল ডিভাইসে আসক্তি। অথচ শৈশব থেকেই যদি কেউ দৈহিকভাবে কর্মক্ষম থাকে তবে বয়স বাড়ার পর তার হৃদরোগ, স্ট্রোক আর টাইপ-২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি কমে যায়। পাশাপাশি শৈশব-কৈশোরে মস্তিষ্কের বিকাশের জন্যও সক্রিয় থাকাটা জরুরি বলে মত দিচ্ছেন গবেষকরা। এ বিষয়ে বাংলাদেশের আহসানিয়া মিশন ক্যান্সার হাসপাতালের চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. রাহাত আনোয়ার চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘সম্প্রতি দেখা যাচ্ছে, শিশুর হাতে ডিজিটাল ডিভাইস তুলে দিচ্ছে তাদের বাবা-মা। এতে অধিকাংশ শিশুরই ওই যন্ত্রগুলোর ওপর আসক্তি বাড়ছে। ফলে শিশুদের অধিকাংশই বেড়ে উঠছে মায়োপিয়া বা ক্ষীণদৃষ্টি সম্পন্ন হয়ে। অতিমাত্রায় ডিজিটাল ডিভাইসের স্ক্রিনে তাকিয়ে থাকার কারণে অনেক শিশুই অন্ধও হতে পারে।
সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার এক গবেষণায় বলা হয়েছে, বিশ্বে ১১ থেকে ১৭ বছর বয়সী শিশুদের প্রতি পাঁচজনের মধ্যে চারজনেরই নেই পর্যাপ্ত শরীরচর্চার অভ্যাস। আর এতে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে শিশুর স্বাস্থ্য, বাধাগ্রস্থ হচ্ছে মস্তিষ্কের বিকাশ। সেইসঙ্গে সামাজিক বিকাশও পড়ছে হুমকির মুখে। এ থেকে নিরাপদে নেই বাংলাদেশের শিশুরাও। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুধুমাত্র পর্যাপ্ত শরীরচর্চার অভাবই নয়, সেইসঙ্গে ডিজিটাল ডিভাইসে আসক্তি কেড়ে নিচ্ছে শিশুর শৈশব। আর এ কারণে শিশুরা নানা ধরনের রোগের শিকার হচ্ছে। এতে বিঘ্নিত হচ্ছে তাদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশ। চক্ষু বিশেষজ্ঞ ডা. রাহাত আনোয়ার চৌধুরী সারাবাংলাকে বলেন, ‘শিশুদের যে বয়সে দূরের দৃষ্টি তৈরি হওয়ার কথা সেই সময় তারা বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইসে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছে। এ কারণে অল্প বয়সেই তাদের চোখে নানা সমস্যা দেখা দিচ্ছে। ফলে কম বয়সেই শিশুর চোখে উঠে যাচ্ছে চশমা। অতিমাত্রায় ডিজিটাল ডিভাইসের স্ক্রিননির্ভরতার কারণে বড়দের চেয়ে শিশুদের চোখে প্রায় পাঁচগুণ বেশি ক্ষতি হয়। সেই কারণে মায়োপিয়াসহ নানাধরনের চোখের সমস্যা দেখা দিচ্ছে শিশুদের।’ তিনি আরও বলেন, ‘ইদানিং দেখা যাচ্ছে, ২৫ থেকে ৩০ বছর বয়সী মানুষের চোখে ছানি পড়ছে, যা আগে সাধারণত বয়স ৫০ পার হলে হতো। শুধু তাই নয়, অতিমাত্রায় ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারে একটা সময় শিশুদের মধ্যে হাইপার অ্যাকটিভ প্রবণতাও তৈরি হয়। তারা স্বাভাবিকভাবে কথা বলতে চায় না, কারও সঙ্গে মিশতে চায় না। এছাড়া এগুলোর তেজস্ক্রিয়তা মস্তিষ্কে টিউমার ও নিদ্রাহীনতার অনুঘটক হিসেবেও কাজ করে।’
মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা ও মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্র এ্যাথেনা বাংলাদেশের আসক্তি বিশেষজ্ঞ (অ্যাডিকশনোলজিস্ট) ডা. ইফতেখার আলম সিদ্দিকী শোভন সারাবাংলাকে বলেন, ‘সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা যায়, প্রতি দুজন শিশুর মধ্যে একজন মোবাইল ফোনে আসক্ত। এক্ষেত্রে অনেক বাবা-মা বাচ্চার হাতে মোবাইল বা ট্যাব জাতীয় ডিজিটাল ডিভাইস তুলে দেন। এর কারণ হিসেবে বলেন, এগুলো না দিলে বাচ্চারা খেতে চায় না বা কান্নাকাটি করে। স্কুল যাওয়া শিশুদের ক্ষেত্রেও দেখা যায় বাসায় ফিরেই মোবাইল বা ট্যাব নিয়ে ব্যস্ত হয়ে পড়ে। এই মাত্রা ক্রমাগত বাড়ছে। এবং যা ভয়ংকর।’ ডা. ইফতেখার আলম সিদ্দিকী আরও বলেন, ‘অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, বাচ্চাদের এই ডিজিটাল ডিভাইস আসক্তির জন্য বাবা-মায়ের অতিরিক্ত মোবাইল ফোন ব্যবহারও দায়ী। বাচ্চা যখন ১২ মাসের কম বয়সী হয়ে থাকে তখন তার মাঝে কোনো আসক্তি কাজ করে না। এই সময়ে তারা শুধু দেখে, শুনে এবং শেখে। কিন্তু তার পরবর্তী সময়ে আসলে এটি আসক্তি তৈরি করে।’
জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের সহযোগী অধ্যাপক ডা. হেলাল উদ্দিন আহমেদ সারাবাংলাকে বলেন, ‘শিশুরা ডিজিটাল ডিভাইসের দিকে ঝুঁকে পড়ছে অতিমাত্রায়। এতে তারা দুটো ক্ষতির সম্মুখীন হচ্চে। প্রথমত, তাদের সামাজিক দক্ষতা কমে যাচ্ছে। অর্থাৎ সমাজের মানুষের সঙ্গে মেশার ও বিভিন্ন সমস্যা সমাধানের কৌশলগুলো রপ্ত করতে পারছে না। ফলে তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণের সক্ষমতা কমে যাচ্ছে এবং সামাজিক দক্ষতা হ্রাস পাচ্ছে। দ্বিতীয়ত, খেলাধূলার অভাবে ও শারীরিক অনুশীলন না থাকায় শিশুর শারীরিক গঠন বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। যে কারণে তারা সুঠামদেহী হয়ে গড়ে উঠছে না।’ মূলত দুইটি কারণে এমন পরিস্থিতির সৃষ্ঠি হচ্ছে। প্রথমত, খেলার মাঠ কমে যাচ্ছে। শিশুদের খেলার পরিবেশ থাকছে না। দ্বিতীয়ত, বাবা-মা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে শিশুদের বাইরের খেলায় পাঠাতে নিরুৎসাহিত হচ্ছেন। তবে আরেকটি বিষয় হলো, বাবা-মা’রা নিজেদের অবসর সময় কাটানোর জন্য সন্তানের হাতে তুলে দিচ্ছে ডিজিটাল ডিভাইস। ডা. হেলাল উদ্দিন আরও বলেন, ‘এই পরিস্থিতি থেকে বের হয়ে আসতে হলে আমাদের পারিবারিক বন্ধনগুলো দৃঢ় করতে হবে। বাবা-মাকে তাদের সন্তানের জন্য গুণগত সময় ব্যয় করতে হবে। ঘরে বসেই ক্যারাম ও লুডু খেলাগুলোর অভ্যাস করতে হবে। বাড়ির পাশে যতটুকু সম্ভব আউটডোর গেইমসগুলো খেলার চেষ্টা করতে হবে। যদি বাবা-মা গান শুনতে চান, কোনো ভিডিও দেখতে চান বা ইউটিউব দেখতে চান তবে সেগুলো একা না দেখে পরিবারের সবাইকে নিয়ে বড় স্ক্রিনে দেখার অভ্যাস করতে হবে।’
ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. শফি আহমেদ মুয়াজ সারাবাংলাকে বলেন, ‘ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার কিন্তু সমাজের সব শ্রেণির শিশুরা করছে না। একটু খেয়াল করলে দেখা যাবে, উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত পরিবারের শিশুদের মধ্যে ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের হার বেশি।’ তিনি আরও বলেন, ‘খেয়াল রাখতে হবে শিশুদের খাদ্যাভাসের দিকটাও। দেখা যায়, বর্তমানে অনেক শিশুই ফাস্ট ফুড বা বিভিন্ন জাংক ফুডের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ছে। একদিকে শারীরিক অনুশীলনের অভাব আর অন্যদিকে খাদ্যাভাস, এই দুইয়ে মিলে শিশুরা শারীরিকভাবে নানা সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে। ডিজিটাল ডিভাইসের ওপর অতিনির্ভরতা কারণে শিশুর মানসিক বিকাশ যেমন বাধাগ্রস্থ হচ্ছে তেমনি ফাস্টফুডের কারণে তারা কম বয়সেই মুটিয়ে যাচ্ছে। এতে তাদের শরীরে নানা ধরনের রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। এ ক্ষেত্রে শিশুর বাবা-মাকে সচেতন হওয়া জরুরি।
মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক ডা. এ বি এম আবদুল্লাহ বলেন, ‘যতটুকু সম্ভব বাচ্চাদের ডিজিটাল ডিভাইস থেকে দূরে রাখতে হবে। এটি আসক্তি তৈরি করে, যা শিশুর জন্য ক্ষতিকর। ডিজিটাল ডিভাইসের ওপরে আসক্তি বেড়ে গেলে তাদের শারীরিক অনুশীলন কমে যায়। সেক্ষেত্রে তারা মোটা হয়ে যায় এবং ওজনও বাড়তে থাকে। ওজন বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে নানা রকম রোগের ঝুঁকি। এতে বয়স হলে তাদের উচ্চ রক্তচাপ ও ডায়াবেটিস হওয়ার আশঙ্কা থাকে। এছাড়া তৈরি হতে পারে থাইরয়েডের সমস্যাও। শুধুমাত্র তাই নয়, এর বাইরেও চোখ ও মস্তিষ্কের ওপরেও একধরণের চাপ সৃষ্টি হয়।’

রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক ডা. উত্তম কুমার বড়–য়া বলেন, ‘অতিমাত্রায় ডিজিটাল ডিভাইস ব্যবহারের ফলে শিশুর আইকিউ হয়তো সেভাবে নষ্ট হচ্ছে না, তবে তার মেধার বিশাল একটা বিশাল অংশ এই খাতে ব্যবহারের ফলে অন্যান্য স্থানে মেধার পূর্ণ প্রয়োগ হচ্ছে না। আর এক্ষেত্রে শিশুর বিকাশে প্রত্যক্ষভাবে না হলেও পরোক্ষভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি হতে পারে।’ বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ডিজিটাল ডিভাইসে আসক্তি দূর না হলে শিশুরা অন্যান্য কার্যক্রম থেকেও দূরে থাকে। আর এসব কারণে বাচ্চাদের শরীরে বিভিন্ন রোগ বাসা বাঁধে। এক্ষেত্রে ডিজিটাল ডিভাইস এড়িয়ে চলতে হলে শিশুদের পড়াশোনা পাশাপাশি বিভিন্ন শারীরিক অনুশীলন এবং ইনডোর ও আউটডোর খেলায় মনযোগী করে তুলতে হবে।

যুক্তরাষ্ট্র-ইরান ইস্যুতে ‘ঝগড়াঝাঁটি’ চায় না বাংলাদেশ
ঢাকা অফিস
‘ঝগড়াঝাঁটি’ নয় বরং বিশ্বে স্থিতিশীলতা এবং শান্তি চায় বাংলাদেশ। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে চলমান উত্তেজনা নিয়ে বাংলাদেশের অবস্থান জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড এ কে আব্দুল মোমেন এ কথা বলেন। আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে মঙ্গলবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির বৈঠক শেষে গণমাধ্যমকর্মীরা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে যুক্তরাষ্ট্র-ইরান উত্তেজনা সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি এমন মন্তব্য করেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, অন্যরা ঝগড়াঝাঁটি করুক কিন্তু বাংলাদেশ একটি স্বাধীন, ‘ব্যালেন্সড’ দেশ। আমাদের কারও সঙ্গে শত্রুতা নাই। সবার সঙ্গেই বন্ধুত্ব। ওরা ওখানে ঝগড়াঝাঁটি করছে, ওটা তাদের বিষয়, আমাদের না। তবে আমরা এই ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। কেননা ইরাকে প্রায় তিন লাখ বাংলাদেশি শ্রমিক কর্মরত। তিনি বলেন, আমরা প্রতিনিয়ত বাংলাদেশিদের খবর নিচ্ছি। তারা সুস্থ আছেন, ভালো আছেন। কেননা ওখানে নির্দিষ্ট টার্গেট লক্ষ্য করে হামলা হচ্ছে। যে কারণে আমাদের লোকজন এখনো কোনো ঝামেলায় পড়েনি।

সোলাইমানির শেষকৃত্যে লাখো মানুষ, পদদলিত হয়ে ৩৫ জনের মৃত্যু
খুলনাঞ্চল ডেস্ক
মার্কিন ড্রোন হামলায় নিহত ইরানের রেভুলেশনারি গার্ড কোরের (আইআরজিসি) শীর্ষ নেতা কাসেম সোলাইমানির শেষকৃত্যে লাখো মানুষের ঢল নেমেছে। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সোলাইমানির নিজ শহর কেরমানে অনুষ্ঠিত এই শেষকৃত্যে অংশ নিতে গিয়ে পদদলিত হয়ে ৩৫ জনের মৃত্যু হয়েছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের বরাতে এ খবর জানিয়েছে বিবিসি। ইরানের জরুরি মেডিকেল সেবা বিভাগের প্রধান পীর হোসেন কৌলিবন্দ জানিয়েছেন, ওই অনুষ্ঠানে যোগ দিতে গিয়ে কয়েকজন হতাহত হয়েছেন। তবে তিনি নির্দিষ্ট করে কোনো সংখ্যা জানাতে ব্যর্থ হয়েছেন। নিউজ ১৮ জানিয়েছে, জেনারেল কাসেম সোলাইমানির শেষকৃত্যে অংশ নিতে কালো পোশাক পরে ভক্তরা অংশ নেন। তারা এ সময় সোলাইমানির ছবি বহন করছিলেন। অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসের স্থানীয় সংবাদদাতা উল্লেখ করেছেন, ওই শেষকৃত্যানুষ্ঠানে অন্তত দশ লাখ মানুষ অংশ নিয়েছে। অনুষ্ঠানস্থল থেকে পাওয়া কৃত্রিম ঊপগ্রহের চিত্রেও বিশাল লোক সমাগমের বিষয়টি ধরা পড়েছে।
প্রসঙ্গত, ইরানের রেভুলেশনারি গার্ড কোরের শীর্ষনেতা কাসেম সোলাইমানি শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) বাগদাদ বিমানবন্দরে মার্কিন ড্রোন হামলায় মারা যান। তারপর থেকেই ইরান-মার্কিন সম্পর্ক এক নতুন মাত্রা পেয়েছে। নিয়মিতভাবে তাদের মধ্যে হুমকি পাল্টা হুমকির আদান প্রদাণ চলছে। এদিকে, জেনারেল কাসেম সোলেমানিকে ইরানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নেতা হিসেবে মনে করা হতো। রাজধানী তেহরানে তার জানাযার নামাজ পরিচালনা করতে গিয়ে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনিকে কাঁদতে দেখা গিয়েছিল।

অস্ট্রেলিয়ায় পানি সংকট: দশ হাজার উট মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত
খুলনাঞ্চল ডেস্ক
তীব্র খরার মুখে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ায় দশ হাজার উট মেরে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেই অঞ্চলের আদিবাসী নেতারা। বুধবার (৮ জানুয়ারি) হেলিকপ্টার থেকে পেশাদার শ্যুটাররা গুলি করে হত্যা করবে উটগুলোকে। খবর ডেইলি মেইল।
দশ হাজার উট গুলি করে হত্যা করতে পাঁচ দিন সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে। তীব্র খরার মধ্যে পানির সন্ধানে উটগুলো আশেপাশের জনবসতি তছনছ করে ফেলছে। এই উৎপাত থেকে বাঁচার জন্যই এ রকম হিংস্র সিদ্ধান্ত নিয়েছে দক্ষিণ অস্ট্রেলিয়ার আদিবাসী নেতারা।

এছাড়াও, মিথেন গ্যাস উৎপাদনের মাধ্যমে এই উটগুলো বৈশ্বিক উষ্ণায়নেও ভুমিকা রাখছে বলে জানানো হয়েছে। বছরে তারা এক টন পরিমাণ কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরি করে। আদিবাসী সংগঠনের নির্বাহী কমিটির সদস্য মারিটা বেকার দ্য অস্ট্রেলিয়ানকে জানিয়েছেন, এমনিতেই তীব্র গরম ও খরার মধ্যে মানুষ তাদের জীবন যাপনে হিমশিম খাচ্ছে। তার ওপর ওই উটগুলো মানুষের বাসাবাড়িতে পানির সন্ধানে আসছে। এমনকি এয়ারকন্ডিশনার মেশিন থেকে গড়িয়ে পড়া পানি থেকে তাদের পানি পান করতে দেখা যাচ্ছে। যদিও, অস্ট্রেলিয়ার জ্বালানি এবং পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, উটগুলোর দ্বারা নিঃসরিত মিথেন গ্যাসের ব্যাপারে এতোদিন মন্ত্রণালয়ের কাছে কোনো নথি ছিল না।

দুর্নীতির মামলায় জামিন পেলেন সাবেক সংসদ সদস্য আউয়াল
ঢাকা: দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা মামলায় পিরোজপুর-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য একেএমএ আউয়াল ও তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকে ৮ সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি একেএম জহিরুল হকের হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এদিন আদালতে হাজির হয়ে তারা জামিন প্রার্থনা করেন। তাদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী আওসাফুর রহমান। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন খুরশীদ আলম খান। খুরশীদ আলম খান সংবাদিকদের জানান, আদালত তাদের আগাম জামিনের মেয়াদ শেষ হলে বরিশালের বিশেষ জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছেন। গত ৩০ ডিসেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. আলী আকবর দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় বরিশালে তিনটি মামলা দায়ের করেন। এক মামলায় তার স্ত্রী লায়লা পারভীনকেও আসামি করা হয়। একেএমএ আউয়াল ২০০৮ ও ২০১৪ সালে পরপর দু’বার পিরোজপুর-১ আসন থেকে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন নিয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে, একেএমএ আউয়াল পিরোজপুরের নাজিরপুর থানার সামনে ও উপজেলা সদরের ভূমি অফিসের পেছনে ১৩ শতাংশ সরকারি খাস জমি দখল করেছেন। সেখানে তিনি দোতলা পাকা ভবন নির্মাণ করে পল্লী বিদ্যুতকে অফিস হিসেবে ভাড়া দেন। ভাড়ার চুক্তি করেন তার স্ত্রী লায়লা পারভীন। তবে স্থানীয় সহকারী কমিশনার (ভূমি) দুদককে বলেন, তিনি জড়িত ব্যক্তিদের অস্তিত্ব খুঁজে পাননি। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে সাবেক সংসদ সদস্য আউয়ালের স্ত্রী লায়লা পারভীনের নামে ওই বাড়ির বিদ্যুৎ বিল পরিশোধ করা হচ্ছে। এ সংক্রান্ত সব ধরনের প্রমাণ হাতে আসার পরে দুদক তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।

ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলা ডিবিতে
ঢাকা অফিস
কুর্মিটোলায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনা তদন্ত করবে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। সোমবার রাতে মামলাটি ক্যান্টনমেন্ট থানা পুলিশ তদন্তের জন্য ডিবির কাছে হস্তান্তর করে। বিষয়টি নিশ্চিত করে ক্যান্টনমেন্ট থানার অফিসার ইনচার্জ কাজি শাহিন হক বলেন, এখনো পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য ডিবি পুলিশের কাছে দেওয়া হয়েছে। তারা মামলার নানা বিষয়ে খতিয়ে দেখছে। সে ক্ষেত্রে সহসাই এর রহস্য উন্মোচন হবে। এর আগে সোমবার দুপুরে ভুক্তভোগী ওই শিক্ষার্থীর বাবা বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় ১ জনকে আসামি করা হয়েছে।
রোববার বিকেল সাড়ে ৫ টার দিকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাসে ওঠেন ওই ছাত্রী। বাস থেকে কুর্মিটোলা এলাকায় নামার পর অজ্ঞাতপরিচয় দুর্বিত্তরা তার মুখ চেপে ধরে। এতে তিনি অচেতন হয়ে পড়েন। এরপর তাকে উপর্যুপরি ধর্ষণ করা হয়। রাত ১০টার দিকে চেতনা ফেরার পর তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশা নিয়ে বান্ধবীর বাসায় যান। বান্ধবীকে ঘটনা জানান। এরপর সহপাঠীরা তাকে আবাসিক হলে নিয়ে আসেন। পরে তাকে ঢাকা মেডিক্যালে নেয়া হয়।

জিয়ার জন্মবার্ষিকীতে বিএনপির কর্মসূচি
ঢাকা অফিস
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের ৮৪তম জন্মবার্ষিকী আগামী ১৯ জানুয়ারি। এ উপলক্ষে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। মঙ্গলবার দলটির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী আহমেদ স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির কথা জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও আধুনিক বাংলাদেশের স্থপতি শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৪তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে ১৯ জানুয়ারি দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দ শেরেবাংলা নগরে শহীদ জিয়ার মাজারে ফাতেহা পাঠ ও পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করবেন। ওইদিন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারাদেশের কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে। পাশাপাশি জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে দৈনিক সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র ও পোস্টার প্রকাশ করা হবে।’ এ ছাড়া দিবসটি উপলক্ষে বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্রীয়ভাবে ঢাকা মহানগরীতে আলোচনা সভা হবে। অনুরূপভাবে সারাদেশে মহানগর ও জেলা পর্যায়ের ইউনিটগুলো নিজেদের সুবিধানুযায়ী যথাযথযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি পালন করবে।

দেশের প্রথম তারবিহীন শহর হচ্ছে সিলেট!
খুলনাঞ্চল রিপোর্ট
খুঁটি নেই। একসঙ্গে বিদ্যুতের তারও নেই। নেই তারের ঘিঞ্জি পরিবেশ। তারপরও আলো ঝলমলে সিলেট! এ যেন সিলেটের আরেক নতুন সৌন্দর্য, নতুন পরিবেশ। এমন দৃষ্টিনন্দন সৌন্দর্যের দেখা মিলবে কেবল সিলেটেই! সারাদেশে এই প্রথম সিলেটের বিদ্যুৎ লাইন গেলো ভূগর্ভে। আর সিলেট নগরের হযরত শাহজালাল (র.) দরগাহ সড়ক এই জঞ্জাল থেকে প্রথম মুক্ত হলো। অথচ একদিন আগেও প্রতিটি খুঁটিতে বৈদ্যুতিক লাইনের সঙ্গে মাকড়সা জালের মতন ঝুলছিলো টেলিফোন লাইনসহ অন্যান্য ক্যাবল লাইন। এরই মধ্যে পরীক্ষামূলক প্রথম ভূগর্ভে দিয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ চালু হয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি ও তারের জঞ্জাল মুক্ত হওয়ায় বাড়তি সৌন্দর্য বেরিয়েছে এই এলাকার। ফলে সিলেটকে ডিজিটাল সিটি করার লক্ষ্যে কাজ একধাপ এগোলো বলে মনে করছেন নগরের বাসিন্দারা।বৈদ্যুতিক খুঁটি-তারবিহীন নতুন সিলেট। ছবি: বাংলানিউজবিদ্যুৎলাইন মাটির নিচে নেওয়ার পর সোমবার (৬ জানুয়ারি) দিন থেকে রাত অব্দি খুঁটি সরানোর কাজ করেন বিদ্যুৎ বিভাগের লোকজন। এরপর বেরিয়ে আসে খুঁটিহীন নগরের সৌন্দর্য। আর সরকারের এই উদ্যোগকে আরেকটি নতুন মাইলফলক হিসেবে দেখছেন সিলেটের মানুষ। এই সৌন্দর্যকে ধারণ করতে ছবি তুলে অনেকে নিজেদের ফেসবুক ওয়ালে পোস্ট করেছেন। প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন মন্তব্য।
আহাদ আম্বিয়া খোকন নামে ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, পূণ্যভূমি সিলেট থেকে শুরু হলো ডিজিটাল বাংলাদেশের যাত্রা। এজন্য প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও নগরপিতাকে ধন্যবাদ জানান। নগরের দরগাহ গেট এলাকার বাসিন্দা আশরাফ হাসান কামরান তার ফেসবুক ওয়ালে লিখেছেন, সিলেট শহরের দরগাহ গেট এলাকা বৈদ্যুতিক খুঁটিবিহীন হওয়াতে ডিজিটাল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানান। প্রকল্প পরিচালক কে এম নাজিম উদ্দিন বলেন, এটা সিলেটবাসীর জন্য পরম সৌভাগ্যের। সিলেটের মানুষের জন্য যেটা করা দরকার আমরা একাগ্রতার সঙ্গে করে যাচ্ছি। সিলেটের মেয়রও দিনরাত উপস্থিত থেকে কাজের তদারকি করছেন।
সিসিক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, সিলেটকে স্মার্টনগরে রূপ দিতে তারের জঞ্জাল (বৈদ্যুতিক লাইন) পাতালে নেওয়া হচ্ছে। আর পাতাল বৈদ্যুতিক লাইন নির্মাণের ফলে দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পাবে সিলেটবাসী। ভূগর্ভস্থ বৈদ্যুতিক লাইন নির্মাণ তার নির্বাচনী প্রতিশ্রুতির একটি ছিলো বলেন তিনি। এ প্রকল্প শেষ হলে পর্যাক্রমে পুরো নগরীর বৈদ্যুতিক লাইন আন্ডারগ্রাউন্ডে চলে যাবে।.খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত ২ ফেব্রুয়ারি নগরের আম্বরখানায় ভূগর্ভ বৈদ্যুতিক লাইন কাজের উদ্বোধন করেন সিলেট সিটি করপোরেশনের (সিসিক) মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভলপমেন্টের অর্থায়নে সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকায় এই প্রকল্প বাস্থবায়ন হচ্ছে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, প্রায় ৬০ কোটি টাকা ব্যয়ে নগরে ৭ কিলোমিটার ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎলাইন নির্মাণ করা হবে। প্রায় ৫শ আরএম স্কয়ার ক্যাবল ক্যাপাসিটির তার নগরের ইলেক্ট্রিক সাপ্লাইস্থ বিদ্যুৎ সাবস্টেশন কেন্দ্র থেকে শুরু হয়ে ভূগর্ভস্থ বিদ্যুৎ সরবরাহের লাইন আম্বরখানা হয়ে যাবে চৌহাট্টায়। সেখান থেকে একটি লাইন যাবে নগরীর জিন্দাবাজার হয়ে সিটি কর্পোরেশন ও সিলেট সার্কিট হাউজ পর্যন্ত। আরেকটি লাইন যাবে চৌহাট্টা থেকে রিকাবীবাজার হয়ে ওসমানী হাসপাতাল পর্যন্ত। ২০১৮ সালে শুরু হওয়া কাজ ২০১৯ সালের মার্চে শেষ হওয়ার কথা ছিলো। এরপর দীর্ঘায়িত হয়ে ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে শেষ হওয়ার কথা।
প্রকল্পের সংশ্লিষ্টরা আরও জানান, ২০৫২ কোটি টাকা ব্যয়ে সিলেটে বিদ্যুতের ডিভিশন-১,২,৩,৪ এলাকায় নয়টি সাবস্টেশন হবে। বিভাগে অত্যাধুনিক অন্তত ২৫টি সাবস্টেশন হবে। নগরের ভূগর্ভ লাইনসহ সিলেট বিভাগে বিদ্যুৎ উন্নয়নের কাজ চলছে। এসব কাজের মধ্যে রয়েছে ৩৩ কেভি ২ কিলোমিটার, ১১ কেভি ২৫ কিলোমিটার, চার কেভি ১৮ কিলোমিটার ভূগর্ভ লাইন, ১১ দশমিক ৪ কেভি উপকেন্দ্র, বিদ্যুৎবিভাগ সিলেটের চারটি ডিভিশনে ট্রান্সফরমার স্থাপন, ১১ কেভি লাইন ২০২ কিলোমিটার নতুন, সংস্কার ৩৫৬ কিলোমিটার, ১১ দশমিক ৪ কেভি নতুন ১৭৭ কিলোমিটার, সংস্কার ২২৮ কিলোমিটার, চার কেভি নতুন লাইন ৩৪৯ কিলোমিটার এবং ৩৫০ কিলোমিটার সংস্কার কাজ করা হবে।

খুলনা প্রেসক্লাবের বহুতল ভবন নির্মাণে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে:এস এম কামাল
খবর বিজ্ঞপ্তি
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন বলেছেন, খুলনা অঞ্চলের মানুষের প্রতি প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার বিশেষ ভালোবাসা রয়েছে। দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সামগ্রিক উন্নয়নের চিত্রই তার প্রমাণ। খুলনা প্রেসক্লাবের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইতিপূর্বেও সাহায্যের হাত প্রসারিত করেছেন। সেই প্রেসক্লাবের উন্নয়ন ও বহুতল ভবন নির্মাণে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
খুলনা প্রেসক্লাবের হুমায়ুন কবীর বালু মিলনায়তনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১টায় তিনি এ কথা বলেন। সভায় সভাপতিত্ব করেন খুলনা প্রেসক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম। সভা পরিচালনা করেন প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা। মতবিনিময় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাহিদ হোসেন, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মোঃ মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, প্রেস ক্লাবের কোষাধ্যক্ষ সোহেল মাহমুদ, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. সাঈয়েদুজ্জামান স¤্রাট, প্রেসক্লাব সদস্য ও এনটিভি’র খুলনা ব্যুরো প্রধান মুহাম্মদ আবু তৈয়ব এবং ৭১ টেলিভিশনের খুলনা ব্যুরো প্রধান রকিব উদ্দিন পান্নু প্রমুখ।

খুলনা-২ এর সংসদ সদস্যর পক্ষে কম্বল বিতরণ
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক গতকাল মঙ্গলবার সকালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে নগরীর ২৪নং ওয়ার্ড অফিসে সংসদ সদস্য শেখ সালাহউদ্দিন জুয়েল-এর পক্ষ থেকে ওয়ার্ডের অসহায় ও দরিদ্র মানুষের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। খুলনা মহানগর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা, আওয়ামীলীগ নেতা শেখ সিদ্দিকুর রহমান, জাহাঙ্গীর হোসেন খান, এ এন এম মঈনুল ইসলাম নাসির, আতাউর রহমান শিকদার রাজুসহ স্থানীয় নেতাকর্মী ও গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিকেলে সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক নগরীর নতুন বাজারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে খুলনা চিংড়ি বণিক সমিতির পক্ষ থেকে দরিদ্র শীতার্তদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেন। খুলনা চিংড়ি বণিক সমিতির সহ-সভাপতি শেখ সিদ্দিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক অহিদুজ্জামান মনজিল, ২২নং ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক অহিদুজ্জামান পলাশ প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

খুলনা প্রেসক্লাব সদস্য পান্নুর উপর হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে মানববন্ধন
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা প্রেসক্লাবের নির্বাহী কমিটির সদস্য ও একাত্তর টিভি’র খুলনা ব্যুরো প্রধান রকিব উদ্দিন পান্নুর উপর হামলাকারীদের বিচারের দাবিতে গতকাল ৭ জানুয়ারি মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টায় খুলনা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে ক্লাবের সামনে মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। মানববন্ধনে সভাপতিত্ব করেন খুলনা প্রেস ক্লাবের সভাপতি এস এম নজরুল ইসলাম। মানববন্ধন পরিচালনা করেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা।
মানববন্ধনে বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, দুই দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ আসামিদের গ্রেফতার করতে পারেনি। বক্তারা ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়ে বলেন, এই সময়ের মধ্যে আসামিদের গ্রেফতার করা না হলে সাংবাদিকরা কঠোর আন্দোলনে নামতে বাধ্য হবে।
মানববন্ধনে বক্তৃতা করেন খুলনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও নির্বাহী সদস্য মকবুল হোসেন মিন্টু, সাবেক সভাপতি শেখ আবু হাসান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক এস এম জাহিদ হোসেন, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগ, খুলনা টিভি রিপোর্টার্স ইউনিটির সভাপতি মল্লিক সুধাংশু, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক মো. সাঈয়েদুজ্জামান স¤্রাট, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সাবেক যুগ্ম মহাসচিব মোজাম্মেল হক হাওলাদার, দৈনিক প্রবর্তন সম্পাদক মোস্তফা সরোয়ার, দৈনিক সময়ের খবরের সম্পাদক মো. তরিকুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সহকারী সম্পাদক মাহবুবুর রহমান মুন্না ও নির্বাহী সদস্য মো. রাশিদুল ইসলাম, প্রেসক্লাবের সিনিয়র সদস্য অমল সাহা, শেখ দিদারুল আলম, মুহাম্মদ আবু তৈয়ব, সামছুজ্জামান শাহীন, কৌশিক দে, শেখ মাহমুদ হাসান সোহেল, খুলনা সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম কাজল ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহ আলম, খুলনা ক্রাইম রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি এইচ এম আলাউদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক সোহাগ দেওয়ান, টিভি ক্যামেরা জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, ফটো জার্নালিস্ট এসোসিয়েশনের সভাপতি বাপ্পী খান, প্রেসক্লাবের ইউজার সদস্য বাবুল আকতার, ফুলতলা প্রেসক্লাবের সভাপতি এসএম মোস্তাফিজুর রহমান।
সংহতি জানিয়ে বক্তৃতা করেন আওয়ামী লীগ নেতা অসিত বরণ বিশ্বাস, মহানগর যুবলীগের আহবায়ক শফিকুর রহমান পলাশ, ২৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফয়েজুল ইসলাম টিটো, বাংলাদেশ দলিল লেখক সমিতির কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি মোশাররফ হোসেন, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান রাসেল।

গ্রামাঞ্চলে খেলাধূলা কমে যাওয়ায় যুবসমাজের
মধ্যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে : উপাচার্য

খবর বিজ্ঞপ্তি
গতকাল ৭ জানুয়ারি ২০২০ খ্রি. তারিখ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেলের (আউকিউএসি) উদ্যোগে প্রথম বর্ষে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের পাঁচ দিনব্যাপী একাডেমিক কাউন্সিলিং এন্ড মোটিভেশন কর্মশালার তৃতীয় দিনে ৫টি ডিসিপ্লিনের শিক্ষর্থীরা এই কর্মশালায় অংশ নেয়। ডিসিপ্লিনগুলো হচ্ছে পরিবেশ বিজ্ঞান, ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি, ফরেস্ট্রি এন্ড উড টেকনোলজি, ফার্মেসী এবং সয়েল ওয়াটার এন্ড এনভায়রনমেন্ট। সকাল সাড়ে ৯ টায় আইকিউএসির পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ সারওয়ার জাহানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানের উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ও পাওয়ার পয়েন্টে কি’স টু সাকসেস ইন হায়ার এডুকেশন (উচ্চ শিক্ষায় সফলতার চাবিকাঠি) শীর্ষক নিবন্ধ উপস্থাপন করেন উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামান।
তিনি বলেন আমাদের দেশে গ্রামাঞ্চলে আগে খেলাধূলা ও সাংস্কৃতিক চর্চা হতো। যুবসমাজ স্কুল-কলেজে সহশিক্ষামূলক কার্যক্রমে সম্পৃক্ত থাকতো। কিছু না হলেও তারা পরিবারের কাজে মাঠে-ঘাটে সহযোগিতা করতো। কিন্তু এখন সে চিত্র পাল্টে গেছে। এখন যুবসমাজ অধিকাংশ সময় কাটায় মোবাইল-ফেসবুকে। সন্ধ্যার পর ধূমপানের নামে এখানে ওখানে বসে মাদক সেবনের আড্ডা। এ অবস্থায় যুবসমাজের মধ্যে নীতিবাচক প্রভাব পড়ছে। তাদের মধ্যে মূল্যবোধের দারুণভাবে অবক্ষয় দেখা দিয়েছে। সৃজনশীলতা কমে যাচ্ছে। দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতেও মাদকের ছোঁবল পড়েছে। কিছু সংখ্যক বখাটে ছাত্র নতুনদের নানা অজুহাতে বিভ্রান্তীর পথে নিতে চায়। বিশ্ববিদ্যালয়ে পদার্পণকারী নবাগত শিক্ষার্থীদের সে ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে তাদের আভিজাত্যবোধ থাকতে হবে। যাতে অনুজ শিক্ষার্থীরা তাদেরকে অনুসরণ করতে পরে।
তিনি আরও বলেন জীবনে সাফল্য অর্জন করতে হলে কঠোর পরিশ্রমের সাথে অনেক পরিবেশেরও প্রয়োজন। প্রার্থনার সাথে প্রচেষ্টার দরকার। সময়ানুবর্তী হতে হবে। পাঠ্য বিষয়ের অনুধাবন করতে পারা, দায়িত্বশীল হওয়া, অধ্যাবসায়ী হওয়া, পারিপার্শ্বিক জ্ঞানলাভ, দেশ-সমাজ-পরিবার-জাতির প্রতি কমিটমেন্ট থাকা দরকার। তিনি বলেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের প্রচেষ্টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় আজ অন্য উচ্চতায় পৌঁছে গেছে। আমরা শিক্ষার্থীদের সুবিধা সৃষ্টিতে নতুন নতুন পরিকল্পনা করছি। অচিরেই বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারে পূর্ণকালীণ না পাওয়া গেলেও খন্ডকালীণ সাইক্লোলজিস্ট নিয়োগ দেওয়া হবে। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন জীব বিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর ড. মোঃ রায়হান আলী। স্বাগত বক্তব্য রাখেন আইকিউএসির অতিরিক্ত পরিচালক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ জিয়াউল হায়দার। কয়েকটি সেশনে বিভিন্ন বিষয়ের ওপর পাওয়ার পয়েন্টে নিবন্ধ উপস্থাপন করেন আইন ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. মোঃ ওয়ালিউল হাসানাত, ফার্মেসী ডিসিপ্লিনের প্রফেসর ড. আশীষ কুমার দাস এবং ইনস্টিটিউট অব এডুকেশন রিসার্চ (আইইআর) এর সহকারী অধ্যাপক কল্যাণী বাইন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন আইকিউএসির উপ-রেজিস্ট্রার মোঃ নুরুল ইসলাম সিদ্দিকী। এ সময় সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনসমূহের প্রধানবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

খুবির মেডিকেল সেন্টার নির্মাণে সোয়া ৬ কোটি টাকার চুক্তি স্বাক্ষর
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে শহিদ ডাঃ আলীম চৌধুরী চিকিৎসা কেন্দ্র নামে অবস্থিত বর্তমান মেডিকেল সেন্টারটি আধুনিক সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত করে নির্মাণে সোয়া ৬ কোটি টাকার একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে। আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারের কার্যালয়ে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সাথে এ সংক্রান্ত চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষে ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ এবং কাজী মনিরুজ্জামান । এ সময় রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. উত্তম কুমার মজুমদার, প্রধান প্রকৌশলী (চুক্তিভিত্তিক) শেরাজুম মুনীরসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। এক হাজার বর্গমিটার আয়তনের চারতলা বিশিষ্ট এই মেডিকেল সেন্টারটি প্রথম পর্যায়ে চারতলা ভিত্তির ওপর দ্বিতল ভবন নির্মাণ করা হবে।

ঢাবি শিক্ষার্থীর ধর্ষককে গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে খুবিকে মানববন্ধন
খবর বিজ্ঞপ্তি
গতকাল বেলা ১ টায় খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের হাদী চত্বরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর ধর্ষককে দ্রুত চিহ্নিত করে গ্রেফতার ও সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের পক্ষ থেকে এক মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরিষদের সভাপতি প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. মোঃ সারওয়ার জাহান, বাংলা ডিসিপ্লিনের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোঃ দুলাল হোসেন, আইন ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক পুণম চক্রবর্তী, প্রফেসর ড. মোল্যা মোহাম্মদ শফিকুর রহমান। সভাপতি এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে বলেন যারা এই সমস্ত অপকর্মে লিপ্ত তাদেরকে অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে । যাতে এ ধরণের অপকর্মে আর কেউ লিপ্ত না হতে পারে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. আশীষ কুমার দাস। এ সময় স্বাধীনতা পরিষদের সদস্যসহ অন্যান্য শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

৭১ টিভির খুলনা ব্যুরো প্রধানের ওপর হামলার ঘটনায় মোংলায় মানববন্ধন
মোংলা (বাগেরহাট) প্রতিনিধি
সংবাদ সংগ্রহকালে খুলনায় ৭১ টেলিভিশনের সাংবাদিক রকিবউদ্দিন পান্নুর উপর হামলার ঘটনার প্রতিবাদে ও হামলাকারীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবীতে মোংলায় মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে পৌর শহরের চৌধুরীর মোড়ে অনুষ্ঠিত এ মানববন্ধন স্থানীয় প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সংবাদকর্মীরা অংশ নেন। এ সময় বক্তারা সাংবাদিক পান্নুর উপর হামলাকীদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিসহ ঘটনাস্থলে তাৎক্ষনিক উপস্থিত এক পুলিশ কর্মকর্তার অসৌজন্যমূলক আচরণেরও তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানান। মানববন্ধনে বক্তব্য অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মোংলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও ভোরের কাগজ প্রতিনিধি মোঃ হাসান গাজী, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও মাছরাঙ্গা টেলিভিশনের প্রতিনিধি আমির হোসেন আমু, এনটিভি ও দৈনিক খুলনাঞ্চল প্রতিনিধি আবু হোসাইন সুমন, এটিএন নিউজ প্রতিনিধি নিজাম উদ্দিন, একুশে টিভি প্রতিনিধি আবুল হাসান ও ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের নুর আলম শেখ।
উল্লেখ্য, গত ৫ জানুয়ারী রবিবার সকালে খুলনায় ওয়াসার ঝুঁিকপূর্ণ পাইপ লাইনের সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে চায়না ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের লোকজন সংঘবদ্ধ হয়ে সাংবাদিক রকিবউদ্দিন পান্নু উপর অতর্কিত হামলা ও মারধরসহ ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ভাংচুর করে।

প্রধান শিক্ষক হায়দার আলীর আচরণে অস্তুষ্টি
মেধা তালিকায় স্থান পেয়েও স্বপ্নের স্কুলে পড়া হলো না লিতুনজিরার

মণিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
হাত-পা ছাড়াই জন্ম নেওয়া যশোরের মণিরামপুরের সেই লিতুন জিরার সরকারি স্কুলে পড়া হলো না। ষষ্ঠ শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় মেধা তালিকায় স্থান পেয়েও মণিরামপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ভর্তি হতে পারেনি সে। প্রতিষ্ঠানটির প্রধান শিক্ষক হায়দার আলীর অসৈজন্যমূলক আচরণে চরম অসন্তুষ্টিতে পড়ে মা-বাবা মেয়েকে এই স্কুলে ভর্তি করাননি।
ফলে বড় হয়ে ডাক্তার হতে চাওয়া অদম্য মেধাবী লিতুনজিরা পিইসি পরীক্ষায় জিপিএ-৫ পেয়ে স্বপ্নের প্রথম সিঁড়ি অতিক্রম করলেও দ্বিতীয় সিঁড়িতে হুঁচড় খেয়েছে। প্রধান শিক্ষক হায়দার আলীর মুখে উচ্চারিত কয়েকটি শব্দ তার সেই সিঁড়িতে চিড় ধরিয়েছে।
মণিরামপুর উপজেলার শেখপাড়া খানপুর গ্রামের কলেজ শিক্ষক হাবিবুর রহমান ও গৃহিণী জাহানারা বেগমের একমাত্র সন্তান লিতুনজিরা। ২০১৯ সালে স্থানীয় খানপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে পিইসি পরীক্ষায় অংশ নেয় সে। হাত-পা না থাকায় মুখে ভরদিয়ে লিখে সে জিপিএ-৫ পেয়েছে। কখনও হুইল চেয়ারে চড়ে বা কখনও মা-বাবার কোলে চড়ে স্কুলে আসা যাওয়া করত লিতুনজিরা।
গত ২৩ ডিসেম্বর মণিরামপুর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে ষষ্ঠ শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেয় লিতুনজিরা। ওই দিন রাতে প্রকাশিত ফলাফলে ৬০ জনের মধ্যে মেধা তালিকয় ৫৪তম স্থান লাভ করে সে।
লিতুন জিরার মা জাহানারা বেগম অভিযোগ করে বলেন, ভর্তি পরীক্ষায় স্কুলের দোতলায় আসন পড়ে লিতুনজিরার। হুইল চেয়ারে করে মেয়েকে উপরে নেওয়া কষ্টসাধ্য বলে প্রধান শিক্ষক হায়দার আলীকে নিচে তার পরীক্ষা নেওয়ানোর জন্য অনুরোধ করি। তখন তিনি বলেন,‘ কোমরে করে বস্তাভর্তি ধান ঘরের ছাদে তুলতে পারেন। মানুষ মাথায় করে ইটবালি তুলে কত বড়বড় বিল্ডিং তৈরি করছে। আর মেয়েকে নিয়ে আপনি উপরে উঠতে পারবেন না। এসব প্রতিবন্ধীদের এমন স্কুলে পড়ানোর দরকার কি?’
প্রধান শিক্ষকের এমন অসৈজন্যমূলক আচরণে মায়ের সাথে লিতুন জিরাও ভীষণ কষ্ট পায়। তখনই স্বপ্নের সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়ার আশা ছেড়ে দেয় সে।
এরপর গত ১ জানুয়ারি উপজেলার গোপালপুর স্কুল এ- কলেজে ষষ্ঠ শ্রেণিতে মেয়েকে ভর্তি করান পিতা হাবিবুর রহমান। লিতুন জিরার মত মেধাবী ছাত্রী পেয়ে খুশি সেখানকার শিক্ষকরা।
এদিকে মেধা তালিকায় স্থান পেয়েও সরকারি বালিকা বিদ্যালয়ে লিতুনজিরার ভর্তি না হওয়ার বিষয়টি জানাজানি হলে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) দুপুরে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বিকাশচন্দ্র সরকারকে নিয়ে লিতুনজিরার বাড়িতে হাজির হন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ শরিফী। একইসাথে সেখানে যান অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক হায়দার আলী। খবর পেয়ে সেখানে গণমাধ্যম কর্মীরা হাজির হন।
লিতুনজিরা ও তার পিতা-মাতার সাথে তাঁরা কথা বলে বিষয়টি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেন। লিতুনজিরাকে তার স্বপ্নের স্কুলে ভর্তি করানোর জন্য পিতা হাবিবুর রহমানকে অনুরোধ করেন ইউএনও।
এসময় অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক হায়দার আলী লিতুনজিরার মায়ের সাথে অসৈজন্যমূলক আচরণের বিষয়টি সাংবাদিকদের কাছে স্বীকার করেন। তিনি বলেন, ‘আমার আচরণে লিতুন জিরার মা কষ্ট পাবেন তা বুঝতে পারিনি। আমি এরজন্য তাদের কাছে ভুল স্বীকার করেছি। লিতুন জিরাকে বুঝিয়ে আমার স্কুলে নেওয়ার জোর চেষ্টা করছি।’
মণিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আহসান উল্লাহ শরিফী বলেন, ‘প্রধান শিক্ষক হায়দার আলীর বিষয়ে মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক খুনাঞ্চল (খুলনা) নিভারানী পাঠকের সাথে কথা হয়েছে। তিনি বিষয়টি দেখছেন। লিতুনজিরার পিতা-মাতার সাথে বিষয়টি নিয়ে আমি বিস্তারিত আলোচনা করেছি। লিতুনজিরা তার পছন্দমত যে প্রতিষ্ঠানে পড়তে চায়, সবসময় তারপাশে আমি আছি এবং থাকব।’

আগামী অর্থবছর থেকে শিশুদের জন্য ওয়ার্ডভিত্তিক পৃথক বাজেট
জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে বেতার সংলাপে সিটি মেয়র

তথ্য বিবরণী
আগামী অর্থবছর থেকে শিশুদের জন্য ওয়ার্ডভিত্তিক পৃথক বাজেট বরাদ্দের ঘোষণা দেন খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক। শিশু ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক কার্যক্রমের আওতায় জনপ্রতিনিধিদের সাথে কৈশোর বেতার শ্রোতাক্লাবের সদস্যদের নিয়ে গতকাল (মঙ্গলবার) সকালে ‘বেতার সংলাপ’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র একথা বলেন।
সিটি মেয়র আরও বলেন, আজকের যারা কিশোর-কিশোরী তারাই আগামীদিনের ভবিষ্যত। শিশু কিশোরদের যোগ্যভাবে গড়ে তোলার ওপরই নির্ভর করছে উন্নত বাংলাদেশ গড়ার সফল বাস্তবায়ন। সরকার দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করার পাশাপাশি শিশু কিশোরদের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য বছরের প্রথম দিনে বিনামূল্যে বই বিতরণসহ উল্লেখযোগ্য নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। এসময় সিটি মেয়র বাল্যবিবাহ, শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে অভিভাবক, শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে সচেতনতামূলক কার্যক্রম বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করেন। অনুষ্ঠানে প্যানেল আলোচক হিসেবে ছিলেন খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শেখ হারুনুর রশীদ। সভাপতিত্ব করেন খুলনা বেতারের আঞ্চলিক পরিচালক মোঃ বশির উদ্দিন। অন্যান্যের মধ্যে ছিলেন ইউনিসেফের শিশু সুরক্ষা কর্মকর্তা মমিনুন নেসা শিখা, শিশু ও নারী উন্নয়নে সচেতনতামূলক প্রকল্পের সহকারী প্রকল্প পরিচালক আনাতোর আমজাদ। স্বাগত জানান ইউনিসেফের কমিউনিকেশন ফর ডেভেলপমেন্ট অফিসার উম্মে হালিমা। খুলনা বিভাগের শিশুশ্রম, শিশু বিবাহ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কার্যক্রমের ওপর পাওয়ার পয়েন্ট উপস্থাপন করেন খুলনা বেতারের সহকারী পরিচালক মামুন আক্তার। বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা, শিক্ষার্থী ও বেতার শ্রোতাক্লাবের সদস্যরা সংলাপে অংশগ্রহণ করেন। অনুষ্ঠানটি খুলনা বেতার সরাসরি সম্প্রসার করে।

কয়রায় সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ শীর্ষক আলোচনা সভা
তথ্য বিবরণী
খুলনা জেলা তথ্য অফিসের আয়োজনে “সমৃদ্ধির অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ” শীর্ষক প্রচার কার্যক্রমের আওতায় কয়রা উপজেলার বড়বাড়ি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সংশ্লিষ্ট বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক ও কয়রা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাঃ হুমায়ূন কবির এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কয়রার উপজেলা নির্বাহী অফিসার শিমুল কুমার সাহা। বিশেষ অতিথি ছিলেন খুলনা জেলা তথ্য অফিসের উপপরিচালক গাজী জাকির হোসেন, উত্তর বেদকাশী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব সরদার নুরুল ইসলাম ও ইউপি সদস্য গণেশচন্দ্র মন্ডল।
স্বাস্থ্য, শিক্ষা, স্যানিটেশন, মাদকের কুফল, সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদ প্রতিরোধ এবং প্রধানমন্ত্রীর ১০টি বিশেষ উদ্যোগসহ সরকারের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড নিয়ে আলোচনা করা হয়। সভায় অতিথিবৃন্দ ভিশন ২০২১ এ মধ্যম আয়ের বাংলাদেশ ও রূপকল্প ২০৪১ এ উন্নত বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে সবাইকে একসাথে কাজ করার আহবান করেন।

কয়রায় কৃষকলীগের কর্মীসভা ও শপথ অনুষ্ঠিত
কয়রা প্রতিনিধি
কৃষকরতœ শেখ হাসিনার দূর্নীতি, মাদক ও মজুদদারের বিরুদ্ধে চলমান শুদ্ধি অভিযান এর সাথে ্ও একাত্বতা ঘোষণা করে কয়রা উপজেলা কৃষক লীগের কর্মীসভা ও শপথ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার বিকাল ৪ টায় কয়রা উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যালয়ে কৃষকলীগের যুগ্ম আহবায়ক প্রভাষক শাহাবাজ আলীর সভাপতিত্বে কর্মীসভা ও শপথ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা-৬ (কয়রা-পাইকগাছা) মাননীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মোঃ আকতারুজ্জামান বাবু। অনুষ্ঠানে উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সাবেক সহ-সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা শরীফ আশরাফ আলী, প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থেকে কৃষকলীগ নেতাদের শপথ বাক্য পাঠ করান, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক অধ্যাপক নাজমুল ইসলাম পানু, সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কয়রা উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান জিএম মোহসিন রেজা, পাইকগাছা উপজেলা আ’লীগ সভাপতি আনোয়ার ইকবল মন্টু, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মোস্তফা কামাল চৌধুরী, খুলনা জেলা কৃষকলীগের সাধারণ সম্পাদক মানিকুজ্জামান অশোক, জেলা কৃষকলীগের কৃষি সম্পাদক হালিমা রহমান, যুগ্ম সম্পাদক হাতেম আলী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আ’লীগের যুগ্ম সম্পাদক জাফরুল ইসলাম পাড়, সাংগঠনিক সম্পাদক এ্যাডঃ মোশাররফ হোসেন, এসএম বাহারুল ইসলাম, আ’লীগ নেতা ইউপি চেয়ারম্যান সরদার নুরুল ইসলাম, জিয়াদ আলী, দেবদাস মন্ডল,আঃ সামাদ গাজী, নির্মল চন্দ্র, শ্রমিকলীগ সভাপতি মাষ্টার আঃ হালিম, প্রজন্মলীগ সাধারণ সম্পাদক শামীম রেজা সহ ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড কৃষকলীগের আহবায়ক যুগ্ম আহবায়ক সহ কৃষকলীগ নেতৃবৃন্দ। প্রধান অতিথি জাতীয় সংসদ সদস্য আলহাজ্ব আকতারুজ্জামান বাবু বলেন, বর্তমান সরকারের মাননীয় প্রধান মন্ত্রীর ঘোষিত দেশব্যাপী দূর্নীতি, মাদক ও মজুদদারের বিরুদ্ধে চলমান আন্দোলনের সাথে একাত্বতা ঘোষণা করে কয়রা উপজেলা কৃষকলীগের আজকের এই শপথ অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দূর্নীতি, মাদক ও মজুদদারের বিরুদ্ধে চলমান শুদ্ধি অভিযান শুরু করবেন। তিনি বলেন, কৃষি আমাদের দেশের উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি। তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর প্রাণপ্রিয় সংগঠন বাংলাদেশ কৃষকলীগ কয়রা উপজেলা শাখার সকল নেতাকর্মীরা ব্যাপক ভুমিকা নিয়ে সরকারের অগ্রযাত্রাকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে এবং আগামীতেও দূর্নীতি, মাদক ও মজুদদারের বিরুদ্ধে শুদ্ধি অভিযানে ব্যাপক ভুমিকা রাখবেন। কেন্দ্রীয় কৃষকলীগ নেতারা বলেন, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার সে কারনে দেশে খাদ্য দ্রব্য উৎপাদন বেড়েছে এবং কৃষকরা সহজ শর্তে ঋণ নিয়ে চাসাবাদ করছে। এছাড়া সার এখন পানির দামে কিনতে পারছেন কৃষকরা।

ফেলানী হত্যা মামলায় আন্তর্জাতিক আদালতে যেতে পারে বাংলাদেশ: কিরিটি রায়
খুলনাঞ্চল রিপোর্ট
বাংলাদেশ চাইলে ফেলানী হত্যা মামলা নিয়ে আন্তর্জাতিক আদালতে যেতে পারে উল্লেখ করে ভারতের মানবাধিকারকর্মী কিরিটি রায় বলেছেন, ফেলানী হত্যার বিচার একটি প্রতীক মাত্র। প্রতিনিয়ত দুই দেশের সীমান্তে অনেক বাংলাদেশি মারা যাচ্ছে। কিন্তু ফেলানীর হত্যার মতো অন্য কোনও ঘটনা সেভাবে সাড়া ফেলেনি। ২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ী উপজেলার অনন্তপুর সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া পার হতে গিয়ে ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্স (বিএসএফ)-এর গুলিতে নির্মমভাবে খুন হয় কিশোরী ফেলানী। বিএসএফের ১৮১ ব্যাটালিয়নের চৌধুরীহাট ক্যাম্পের সদস্য অমিয় ঘোষের গুলিতে নিহত ফেলানীর মরদেহ কাঁটাতারে ঝুলে থাকে দীর্ঘ চার ঘণ্টা। তার ঝুলে থাকা লাশের ছবি দেশ-বিদেশের গণমাধ্যমে প্রকাশিত হলে সমালোচনার ঝড় বয়ে যায়।

ফেলানী হত্যার বিচার শেষ হয়েছে। যাতে বেকুসুর খালাস পেয়েছেন অভিযুক্ত বিএসএফ জওয়ান অমিয় ঘোষ। এরপর ন্যায়বিচার চেয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে রিট করা হয়েছিল। বর্তমানে সেটির কী অবস্থা জানতে চাইলে ভারতের মানবাধিকার সংগঠন ‘বাংলার মানবাধিকার সুরক্ষা মঞ্চ’ (মাসুম) এর সচিব কিরিটি রায় বলেন, রিটটি বিচারক শুনছেন না। শুনানির জন্য সব তৈরি। যাদের কাছে জবাব চাওয়া হয়েছিল তারা সবাই জবাব দিয়েছেন। এখন আদালত সেটার শুনানি করে রায় দেবেন কিন্তু সেটিই হচ্ছে না। বাংলাদেশ থেকে করণীয় কী এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, একটা প্রতিবেশি রাষ্ট্রের হাতে তার দেশের (বাংলাদেশের) নাগরিক মারা গেছে। বাচ্চা মেয়ে কাঁটাতারে ঝুলেছে, সেটার তারা প্রতিবাদ করতে পারে। অন্তত পক্ষে পাঁচ থেকে ছয়শ মানুষকে সাম্প্রতিক সময়ে ফেরত পাঠানো হলো। কোথাও কিছু বলা হচ্ছে না।
ফেলানি হত্যাকা-ের বিচার হওয়া জরুরি উল্লেখ করে তিনি বলেন, এটি প্রতীকী। এর বিচার চেয়ে বাংলাদেশের প্রচুর মানুষ চিৎকার করেছে। তারা প্রশ্ন তুলেছে, ফেলানী ঝুলছে নাকি বাংলাদেশ ঝুলছে। রোজইতো মারা যাচ্ছে কিন্তু ফেলানীর মৃত্যুর মতো সাড়া পড়েনি আর কিছুতে। ভারত তারপরও চুপ করে বসে আছে। কিরিটি রায় মনে করেন, ভারতীয় মানবাধিকার কমিশন ফেলানীর বাবাকে যে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল সেটির বাস্তবায়ন হওয়াও জরুরি। আইনত করণীয় বিষয়ে হতাশা ব্যক্ত করে তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টে যাওয়া হয়েছে, এরচেয়ে বড় আদালততো নেই। বাংলাদেশ ইচ্ছে করলে আন্তর্জাতিক আদালতে যেতে পারে। তারা যাবে কিনা এখন সেটাই বড় প্রশ্ন। বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) দাবির মুখে ২০১৩ সালের ১৩ আগস্ট ভারতের কোচবিহারে বিএসএফের বিশেষ আদালতে ফেলানী হত্যার বিচার শুরু হয়। ফেলানীর বাবা দুদফা বিএসএফের আদালতে সাক্ষী দিলেও ওই বছরের ৬ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত বিএসএফ সদস্য অমিয় ঘোষকে বেকসুর খালাস দেয় আদালত। তখন রায় পুনর্বিবেচনার জন্য আদালতে আবেদন করে বিজিবি। সেই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৪ সালের ২২ সেপ্টেম্বর মামলার পুনর্বিচারেও অমিয় ঘোষকে খালাস দেয় বিশেষ আদালত। এই হত্যা মামলায় বিএসএফের বিশেষ আদালতে ফেলানীর বাবা নুরুল ইসলাম নুরুর পক্ষে আইনি সহায়তা দিয়েছিলেন কুড়িগ্রামের পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট আব্রাহাম লিংকন। তিনি বলেন, এই মামলায় আমরা ক্ষতিগ্রস্তপক্ষ, আমরা বাদীও না, আসামিও না। রাষ্ট্রের কাছে প্রমাণ চাইলে আমরা পরিবারকে পাঠানো বা অন্যান্য সাক্ষী পাঠানোর ব্যবস্থা করতে পারি। এর বাইরে আমাদের করণীয় নেই। সুপ্রিম কোর্টে করা রিটের সব জবাব আসার পরেও কয়েকবার কার্যতালিকাতে ছিল। কিন্তু এবছর কার্যতালিকাতেই না আসা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন এই আইনজীবী। তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশনা পেলে একধরনের স্বস্তি পাওয়া যেতো, সীমান্ত ব্যবস্থাপনা নিয়ে যদি গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশনা পাওয়া যায় তাহলে মানবাধিকার প্রশ্নে, নৈতিকপ্রশ্নে আমাদের জয় হয়েছে ধরে নেওয়া যেতো। ভারতের জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের নির্দেশনায় ফেলানীর বাবাকে ৫ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দিতে বলার মধ্য দিয়ে তারা স্বীকার করে নিয়েছে যে ঘটনাটি ঘটেছে। সুপ্রিম কোর্টের শুনানি নিষ্পত্তির মধ্য দিয়ে ফেলানীর বাবার ন্যায় বিচার পাওয়ার আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটতে পারে, সেই কারণেই এটি জরুরি।

এলপি গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে খুলনা উন্নয়ন পরিষদের নিন্দা
খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনায় এলপি গ্যাসসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় বেশ কয়েকটি পণ্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদে নিন্দা প্রকাশ করেছে খুলনা উন্নয়ন পরিষদ (কেডিসি) এর নেতৃবৃন্দ। এক বিবৃতিতে অবিলম্বে এলপি গ্যাস অন্যান্য পণ্যের মূল্য স্থিতিশীল রাখার দাবি জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ।
বিবৃতিদাতারা হলেন- সংগঠনের চেয়ারম্যান এস এম সোহেল ইসহাক, চেয়ারম্যান ইলেক্ট মোঃ নজরুল ইসলাম, মহাসচিব প্রফেসর তাসরিনা বেগম, সম্মানিত সদস্য ড. সৈয়দ হাফিজুর রহমান, আজিজুল হাসান দুলু, সাংবাদিক মো: আবু তৈয়ব মুন্সী, কোঃ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ মির্জা নুরুজ্জামান, মোঃ মাহাবুব আলম, তানজিমা জেসমিন, যুগ্ম-মহাসচিব ইঞ্জিঃ মো. মিজানুর রহমান, সাইফুল ইসলাম সাইফ, মো. আব্দুস সালাম শিমুল, সামছুন নাহার শিমুল, সাংগঠনিক সম্পাদক ডা. চয়ন বিশ্বাস, শফিকুল আলম বিপ¬ব, কনিকা চৌধুরী ফারহানা, মো. সাইফুর রহমান সুজন, জি এম শহিদুল ইসলাম, মো. বাহালুল আলম, এ্যাড. হালিমা খাতুন শিউলি (এপিপি), ইঞ্জিঃ সাব্বির হোসেন, জি এম শরিফুল আলম মুকুল, সম্পাদকমন্ডলীর সদস্য সাংবাদিক মো:. হারুন অর রশিদ, শেখ সাদিকুর রশিদ অভি, এস এম মিশকাতুল ইসলাম, ডা. অনল রায়, গাজী মহিউদ্দিন (প্রধান শিক্ষক), সাংবাদিক জয়নাল ফরাজী, শিরিনা পারভীন, শারমিন সুলতানা রুনা, কাজী বেলাল সাইদ, কাজী আইনুল হক মুন, সাখাওয়াত হোসেন স্বপন, কাজী তাসকিন শরিফ, ডা. বাপ্পি দাস, মো. হাসিবুর রহমান ইমন, মো. মাসুদ রানা, মো. আব্দুল হান্নান, ইয়াফেজ ইসতিহাদ দীপ, আ. জলিল সাগর, শেখ তানভীর বারী হামিম, নেওয়াজ মোরশেদ, মো. ওমর ফারুক, মো. শাহারিয়ার রহমান শশী প্রমুখ।

নগর যুবলীগের আহবায়ক কমিটির সভা আজ
খবর বিজ্ঞপ্তি
আজ ৮ই জানুয়ারী বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগ খুলনা মহানগর শাখার আহবায়ক কমিটির সভা অনুষ্ঠিত হবে। দলীয় কার্যালয়ে বিকাল ৩টা ৩০ মিনিটে উক্ত সভায় আহবায়ক কমিটির সকল সদস্যকে উপস্থিত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন মহানগর যুবলীগের আহবায়ক সফিকুর রহমান পলাশ, যুগ্ম আহবায়ক শেখ শাহাজালাল হোসেন সুজন।

খুলনা মহানগর শ্রমিক লীগের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে অতিথিবৃন্দ
বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ত্বে শ্রমিকদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করার আহবান

খবর বিজ্ঞপ্তি
খুলনা মহানগর শ্রমিক লীগের উদ্যোগে গতকাল বিকাল ৩.৩০ মিনিটে শহীদ হাদিস পার্কে খুলনা মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের নব-নির্বাচিত সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সংবর্ধনা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন খুলনা মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি আবুল কাশেম মোল্লা। পরিচালনা করেন খুলনা মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক রনজিত কুমার ঘোষ। উক্ত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা-২ আসনের সংসদ সদস্য ও জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভ্রাতুষ্পুত্র শেখ সালাহ্উদ্দিন জুয়েল। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নব-নির্বাচিত সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম কামাল হোসেন। সংবর্ধিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের পুনরায় নির্বাচিত সভাপতি ও খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের পুনরায় নির্বাচিত সভাপতি ও খুলনা জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শেখ হারুনুর রশীদ, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের নব-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা, খুলনা জেলা আওয়ামী লীগের নব-নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক এ্যাডঃ সুজিত অধিকারী। বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন খুলনা জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি বি.এম জাফর, জাতীয় শ্রমিক লীগ আটরা গিলাতলা শাখার সভাপতি শেখ আনসার আলী, খুলনা জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ মোঃ পীর আলী। প্রধান অতিথি বলেন বর্তমান সরকার শ্রমিক বান্ধন সরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার সরকার শ্রমিকদের কল্যাণে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। ইতিমধ্যে বেতন ভাতা বৃদ্ধি, শ্রম আইন সংশোধন, বিভিন্ন বন্ধ কলকারখানা চালু, কলকারখানায় কাজের পরিবেশ উল্লেখ যোগ্য হারে বৃদ্ধি, শ্রমিকদের চিকিৎসা সুবিধা প্রদান সহ শ্রমিক কর্মচারীদের কল্যাণে বিভিন্ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করেছেন। এছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা অপরসীম ভূমিকা রেখেছেন। আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাদেশের ভাবমূর্তী উজ্বল করেছেন। তাই তিনি খুলনা মহানগর শ্রমিক লীগের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ আর শেখ হাসিনার উন্নয়নকে প্রতিটি মানুষের ঘরে ঘরে পৌছে দিতে হবে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু সোনার বাংলা গড়ার যে স্বপ্ন দেখেছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সেই স্বপ্নকে বাস্তবায়নের জন্য খুলনা মহানগর শ্রমিক লীগের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।
বক্তব্য রাখেন অসিত বরন বিশ্বাস, আব্দুল সালাম, শ্যাম সিংহ রায়, শেখ মোঃ ফারুক হোসেন, এ্যাডঃ ফরিদ আহম্মেদ, আলী আকবর টিপু, এ্যাডঃ আনিসুর রহমান পপলু, জাহানারা শহিদ, শেখ আলী আকবর, মোঃ আবু হানিফ, কনিকা সাহা, মোঃ রায়হান ফরিদ, শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, মোঃ পারভেজ হাওলাদার, এস,এম আসাদুজ্জামান রাসেল, মোঃ ইমরান হোসেন, মোঃ মোতালেব মিয়া, সৈয়দ এমদাদুল হক, আনোয়ার হোসেন সোনা, মোঃ লুৎফর রহমান, মল্লিক নওশের আলী, শেখ সরোয়ার হোসেন, দুলাল মল্লিক, মোঃ বাবুল হোসেন, মীর মোঃ আবু হানিফ, মোল্লা মাহবুবুর রহমান, এস,এম হাফিজুর রহমান হাফিজ, মোঃ তাজুল ইসলাম, কাজী আঃ ওহাব, মোঃ জহিরুদ্দিন, আব্দুর রহিম খান, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, মোল্লা আজাদ আলী, আঃ রশিদ শিকদার, কিংকর সাহা, মোঃ জয়নাল আবেদিন, মোঃ আসাদুজ্জামান মুন্না, শরীফ মোর্ত্তজা আলী, খন্দকর রফিকুল ইসলাম, মুন্সী ইউনুস, মোঃ মতিউর রহমান, মোঃ শাহ আলম শেখ, আব্দুর রহমান মোল্লা, শেখ মোঃ রমজান, মোঃ মনিরুল ইসলাম, মোঃ তাইজুল ইসলাম, মুন্সী হেকমত আলী, আব্দুল্লাহ আল মামুন, হুমায়ুন কবির খান হিমু, মোঃ মোত্তাহিদুর রহমান অপু, মোঃ শরিফুল ইসলাম, মোঃ জামাল হোসেন, মোঃ রফিকুল ইসলাম, মোঃ মাহাবুব হোসেন বুলু, মোঃ আক্তার হোসেন, মোঃ শরিফুল, নাসরিন আক্তার, শেখ আকবর হোসেন, মোঃ খালেক শিকদার, হুমায়ুন কবির মোল্লা, জাকির হোসেন বিপ্লব, মোঃ আনিছুর রহমান, এস. এম. ইমরুল আলম, মোঃ হানিফ সরদার, মোঃ জাবেদ, বিপ্লব কুমার দে, মোঃ নূর ইসলাম, মোঃ মনির হোসেন, মোঃ আজিম উদ্দিন, কে এম হামিদুল্লাহ, মোঃ শাহজাহান সিকদার, মোঃ আতাহার উদ্দিন মাষ্টার, মোঃ আসলাম হোসেন, মোল্লা ওমর ফারুক, মোঃ বায়জিদ সরদার, মোঃ নুরুল ইসলাম বেবি, মোঃ ইলিয়াস হোসেন সোহেল, মোঃ হাই ইসলাম কচি, মোঃ সেলিম ফরাজী, মোঃ আফজাল হোসেন, মোঃ ফারুক খা, খান মোঃ মিথুন, মোঃ বাবুল হোসেন, মোঃ বাবুল খান, মোঃ আব্দুল হাকিম, মোঃ আসাদুজ্জামান আবু, মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন, মোঃ ফিরোজ, মোঃ জনি, মোঃ হুমায়ুন, মোঃ সাদ্দাম, মোঃ মেজবাহ উদ্দিন, তৈয়ব আলী হাওলাদার, মোঃ সাদ্দাম হোসেন, মোঃ আল আমিন কবির, মোহাম্মদ মহরাজ, আব্দুল মান্নান, মোঃ আবুল হোসেন, মোঃ আয়নুল, মোঃ বাচ্চু শেখ, মোঃ আল আমিন ফরাজী, মোঃ মিলন, মোঃ রাজু, মোঃ মারুফ, বিপ্লব কুমার রয়, কাজী রফিকুল বারি, মোঃ মোক্তার হোসেন, মোঃ জাহিদ হাসান রাজ, মোঃ রেজাউল করিম, অনুপ পাল কুন্ডু প্রমুখ নেতৃবৃন্দ।

জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ মহানগর শাখার মাসিক বৈঠক অনুষ্ঠিত
খবর বিজ্ঞপ্তি
গতকাল মঙ্গবার সকাল ৭ টায় জাতীয় ওলামা মাশায়েখ আইম্মা পরিষদ সভাপতি মুফতী গোলামুর রহমান এর সভাপতিত্বে ও সাধারন সম্পাদক মুফতী আব্দুল¬াহ ইয়াহইয়া এর পরিচালনায় এমদাদুল উলূম মাদরাসায় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সভাপতি তার বক্তব্যে বলেন, ২০২০ সালের প্রথম ধর্ষন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর শিক্ষার্থীদের থেকে শুরু হলো যা খুবই দুঃখ জনক ঘটনা। ধর্ষন নামক গুনাহের প্রবনতা কারন হলো, ধর্ষকের উপযুক্ত বিচার না হওয়া, দ্বিতীয় হলো জেনারেল শিক্ষার সাথে ধর্মীয় ও নৈতিকাতা শিক্ষার অভাব। তৃতীয় হলো দেশে ইসলামী অনুশাসন ও বিচার ব্যবস্থার অনুপস্থিতি। এই অভিসাপ থেকে মুক্তি পেতে হলে ইসলামের সুশিতল ছায়া তলে আমাদের ফিরে আসতে হবে।
উপস্থিত ছিলেন আলহাজ্ব মুফতী আমানুল্লাহ, মুফতী আলী আহমাদ, মুফতী জাকির আশরাফ, মুফতী আব্দুর শাকুর,মুফতী ইমরান বিন হুসাইন, মাওলানা হাফিজুর রহমান, মুফতী শেখ আমীরুল ইসলাম, মুফতী ইসহাক ফরিদী, মাওলানা নাসির উদ্দীন আহসান, মুফতী খালিদ সাইফুল্লাহ, মুফতী হাবিবুল্লাহ, মাওলানা আব্দুল কাদের, মাওলানা সিরাজুল ইসলাম, মাওলানা মনিরুল ইসলাম, মুফতী আব্দুল¬াহ মুখতার, মাওলানা দাউদ হাসান সহ প্রমূখ নেতৃবৃন্দ। সভায় সিদ্ধান্ত হয় আগামী ১৮ ই জানুয়ারি শনিবার “আদর্শ রাষ্ট্র গঠনে ওলামায়ে কেরামের ভূমিকা” শীর্ষক সেমিনার গোয়ালখালী মাদরাসায় অনুষ্ঠিত হবে।

ইশা ছাত্র আন্দোলন খুলনা জেলা শাখার মাসিক সভা
খবর বিজ্ঞপ্তি
গতকাল দুপুর ২ টায় ইশা ছাত্র আন্দোলন খুলনা জেলা শাখার ২০২০ সেশনের মাসিক সভা জেলা কার্যালয়ে শাখা সভাপতি মুহা নাজমুস সাকিব এর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক এইচ এম ইনামুল হাসান সাঈদ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত মাসিক সভায় আগামী ১৭ জানুয়ার শুক্রবার গোয়ালখালী মাদ্রাসা ময়দানে অনুষ্ঠিতব্য ছাত্র গনজমায়েত সফলের লক্ষ্যে শাখা সমূহের করনীয় বিষয়ে নির্ধারন করা হয়। এছাড়াও জানুয়ারি ২০২০ এর মধ্যে সকল উপজেলা শাখার কমিটি নবায়ন ও গঠন কারার জন্য বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়, এবং জন্য সফর ও জিম্মাদার নির্ধারণ করা হয়।
উক্ত মাসিক সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা সহ-সভাপতি কে এম মাহমুদুল হাসান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ফরহাদ মোল্লা, প্রশিক্ষণ সম্পাদক আবু রায়হান, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আবদুল আলিম, অর্থ সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম,রফিকুল ইসলাম রফিকুল ইসলাম, কওমী মাদ্রাসা বিষয়ক সম্পাদক গাজী মোঃ শফিকুল ইসলাম, আলিয়া মাদ্রাসা বিষয়ক সম্পাদক মোঃ সাইদুল ইসলাম, কলেজ বিষয়ক সম্পাদক মোঃ রাসেল গাজী স্কুল বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুন, ছাত্র কল্যাণ সম্পাদক মোঃ আলিমুল ইসলাম, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মোঃ হুসাইন ফকির, সদস্য মোঃ আব্দুল হাকিম সহ অনেক নেতৃবৃন্দ।

এলপি গ্যাসের মূল্য বৃদ্ধিতে ৫ থানা সিপিবি’র প্রতিবাদ
খবর বিজ্ঞপ্তি
এলপি গ্যাসের আকস্মিক মূল্যবৃদ্ধিতে গভীর ক্ষোভ ও প্রতিবাদ জানিয়ে এবং বর্ধিত মূল্য অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবী জানিয়ে বিবৃতি প্রদান করেছেন বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টিÑসিপিবি’র খুলনা মহানগরীর ৫ থানা কমিটির নেতৃবৃন্দ। বিবৃতিদাতারা হলেনÑসদর থানা সভাপতি দীনমোহম্মদ, সাধারণ সম্পাদক এড. নিত্যানন্দ ঢালী, সোনাডাঙ্গা থানা সভাপতি নিতাই পাল, সাধারণ সম্পাদক রুস্তম আলী হাওলাদার, খালিশপুর থানা সভাপতি মিজানুর রহমান স্বপন, সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুর রহমান রাসেল, দৌলতপুর থানা সভাপতি পূর্ণেন্দু দে বুবাই, সাধারণ সম্পাদক সোহরাব হোসেন সরদার, খানজাহান আলী থানা সভাপতি আব্দুর রহমান মোল্যা, সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল হোসেন। পার্টির খুলনা মহানগর সাধারণ সম্পাদক এড. মোঃ বাবুল হাওলাদার স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে নেতৃবৃন্দ এ প্রতিবাদ জানান। বিবৃতিতে নেতৃবৃন্দ বলেন, কয়েক দফা মূল্যবৃদ্ধির পর এবার আকাশচুম্বী মূল্যবৃদ্ধি সাধারণ মানুষের ত্রাহি ত্রাহি অবস্থা যা অযৌক্তিক ও অন্যায় বটে। এ ব্যাপারে সরকারেরও ন্যূনতম কোনো পদক্ষেপ, উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। দেশের মানুষ বিদ্যুৎ, গ্যাস, ঔষুধ, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা। এ ব্যাপারে নেতৃবৃন্দ সচেতন মহলকে ঐক্যবদ্ধ প্রতিরোধ গড়ে তোলার আহ্বান জানান।

খুলনা জেলা যুব ইউনিয়নের প্রতিবাদী মানববন্ধন আজ
খবর বিজ্ঞপ্তি
এলপি গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি এবং ঢাবি শিক্ষার্থীর ধর্ষণের প্রতিবাদে বাংলাদেশ যুব ইউনিয়ন খুলনা জেলা কমিটির উদ্যোগে প্রতিবাদী মানববন্ধন আজ (বুধবার) বিকেল ৪টায় নগরীর পিকচার প্যালেস মোড়ে অনুষ্ঠিত হবে।