ট্রাম্প, তুমি ভেব না সব শেষ হয়ে গেছে: সোলাইমানির মেয়ে
খুলনাঞ্চল ডেস্ক
ইরানের ইসলামি বিপ্লবী গার্ড বাহিনী আইআরজিসি’র কুদস ফোর্সের প্রধান জেনারেল কাসেম সোলাইমানির মেয়ে জেইনাব বলেছেন, ট্রাম্প, তুমি ভেবো না আমার বাবার শাহাদাতেই সব শেষ হয়ে গেছে। তিনি বলেন, আমেরিকা ও ইসরায়েল জেনে রাখো বাবার শাহাদাতের ফলে গোটা বিশ্বের প্রতিরোধ ফ্রন্টের মধ্যে মানবিকতা আরও বেশি জাগ্রত হবে। এখন থেকে পশ্চিম এশিয়ায় মোতায়েন মার্কিন সেনাদের স্ত্রী-সন্তানদের তাদের স্বামী অথবা বাবার মৃত্যুর আশঙ্কায় প্রহর গুণতে হবে। গতকাল সোমবার ইরানের রাজধানী তেহরানে বাবার জানাজায় অংশ নিয়ে জেইনাব সোলাইমানি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গোটা বিশ্ব দেখছে ইরাক ও ইরানের মানুষ কীভাবে তাদের বীরের প্রতি শ্রদ্ধা জানাচ্ছে। ট্রাম্প ইরানি ও ইরাকি জাতির মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে চেয়েছিলেন, কিন্তু এই শাহাদাতের ঘটনা দুই জাতির মধ্যে বন্ধনকে আরও শক্তিশালী করেছে, তারা চিরস্থায়ী বন্ধনে আবদ্ধ হয়েছে। জেনারেল সোলাইমানির মেয়ে বলেন, আমার বাবার মৃত্যু আমেরিকা ও ইসরাইলের জন্য অন্ধকার দিন নিয়ে এসেছে। এর আগে এক টিভি সাক্ষাৎকারে জেইনাব বলেছেন, তিনি নিশ্চিত লেবাননের হিজবুল্লাহ মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহও (সোলাইমানি) হত্যার প্রতিশোধ নেবেন।
গ্রেফতার মোশাররফ করিম!
বিনোদন ডেস্ক
পুলিশের হাতে গ্রেফতার হলেন অভিনেতা মোশাররফ করিম! এমন খবর শোনার পর হয়তো ভক্তরা নড়েচড়ে বসেছেন। অনেকের মনে প্রিয় অভিনেতা কি অপরাধে গ্রেফতার হলেন জানার আগ্রহ জন্মিয়েছে। তবে ভক্তদের এমন চিন্তার কোনো কারণ নেই। কারণ তা রিয়েল লাইফে নয়, রিল লাইফে। ‘আই অ্যাম আন্ডার অ্যারেস্ট’ নামের একটি নাটকে এমন দৃশ্যে দেখা যাবে তাকে। নাটকের গল্পে সুন্দরী পুলিশ কর্মকর্তা মিস শাহনাজের প্রেমে পড়েন মহল্লার বখাটে যুবক তিতুমীর। তিতুমীর ইদানীং দিবাস্বপ্ন দেখেন, মিস শাহনাজ হাতকড়া পড়িয়ে তাকে থানায় নিয়ে যাচ্ছেন। এই কল্পিত দৃশ্য তিতুমীরকে সদা বিভোর করে রাখে। আর এভাবেই এগিয়ে যায় নাটকের গল্প। মুরসালিন শুভ পরিচালিত নাটকটিতে তিতুমীরের চরিত্রে জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম ও মিস শাহনাজের চরিত্রে জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা অভিনয় করেছেন। এর চিত্রনাট্য লিখেছেন মুহম্মদ আবু রজীন। সম্প্রতি রাজধানীর উত্তরায় নাটকটির শুটিং সম্পন্ন হয়েছে।
‘আই অ্যাম আন্ডার অ্যারেস্ট’ নাটকে মোশাররফ-তিশা ছাড়াও আরও অভিনয় করেছেন শহিদুল্লা সবুজসহ অনেকে। ভালোবাসা দিবস অথবা এর আগে নাটকটি একটি বেসরকারি টেলিভিশনে প্রচার হবে বলে জানান নির্মাতা।
দুদকের গ্রেফতারের কোনো এখতিয়ার নেই: প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা অফিস
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গ্রেফতারের কোনো এখতিয়ার নেই। গ্রেফতারের জন্য তাদের কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদেরই বলতে হবে। তারা নির্দেশ দিতে পারে।’ ‘পুলিশ সপ্তাহ-২০২০’ উপলক্ষে সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে ভাষণে এ কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা ধরে রেখে ঐখানে হাজতখানা বানাবে, হাজতে রাখবে এটা কিন্তু দুর্নীতি দমন কমিশনের কাজ না। যার যার কাজ তার তার করতে হবে। একথা মনে রাখতে হবে।’ দেশের মানুষের নিরাপত্তা প্রদানকে অগ্রাধিকার দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এবার আপনারা মুজিব বর্ষে পুলিশ সপ্তাহের যে প্রতিপাদ্য ‘মুজিব বর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার’ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ চালু হওয়ায় মানুষের মাঝে একটা আত্মবিশ্বাস এসেছে। কোথাও কেউ অন্যায় দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে পুলিশকে ফোন করছে এবং পুলিশ সেখানে পৌঁছে যাচ্ছে, ব্যবস্থা নিচ্ছে।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘পুলিশের প্রতি আগে মানুষের যে একটা অনীহা ছিল সেটা কিন্তু এখন আর নেই। পুলিশের প্রতি মানুষের আস্থা ও বিশ্বাস বৃদ্ধি পেয়েছে। আসলে এটাই সব থেকে বেশি প্রয়োজন। কাজেই আপনারা সেভাবেই কাজ করবেন।’
পুলিশ সদস্যদের জন্য পৃথক মেডিকেল কোর স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা উল্লেখ করেন তিনি বলেন, ‘পুলিশে কিন্তু মেধাবীরাই আসে, ব্যারিস্টারও আসে ডাক্তারও আসে, আবার ইঞ্জিনিয়ারও আসে। কিন্তু আমি মনে করি পুলিশের জন্য একটি পৃথক মেডিকেল কোর করা প্রয়োজন।’ শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি যত শক্তিশালী ও মজবুত হবে তত বেশি আমরা আমাদের সকল প্রতিষ্ঠানকে আরও উন্নত করতে পারবো।’
আজ জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী
ঢাকা অফিস
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বর্তমান সরকারের এক বছর পূর্তি উপলক্ষে আজ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী আগামীকাল সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বর্তমান সরকারের বর্ষপূর্তি উপলক্ষে ভাষণ দেবেন।’ প্রধানমন্ত্রীর ভাষণটি বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার ও বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও স্টেশনগুলো সম্প্রচার করবে। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ভূমিধস বিজয় অর্জন করলে শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের ৭ জানুয়ারি একটানা তৃতীয় মেয়াদ এবং চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন।
৪২ টি পিয়ারের (খুঁটি) মধ্যে ৩৬টি পিয়ারের কাজ সম্পন্ন : সেতুর ৩ কি.মি. দৃশ্যমান
খুলনাঞ্চল রিপোর্ট
পদ্মা বহুমুখি সেতু প্রকল্পের মূল সেতু নির্মাণের জন্য প্রয়োজনীয় মোট ৪২ টি পিয়ারের (খুঁটি) মধ্যে ৩৬টি পিয়ারের কাজ শতভাগ সম্পন্ন হয়েছে। অবশিষ্ট ৬টি পিয়ারের মধ্যে ৪টি পিয়ারের কাজ আগামী ফেব্রুরির মাঝামাঝি সময়ে এবং বাকী আরো দু’টির কাজ এ বছরের এপ্রিলের মধ্যে শেষ হবে। এদিকে, পদ্মা সেতুর ২১তম স্প্যান সেতুর জাজিরা প্রান্তের ৩২ ও ৩৩ নম্বর পিয়ারের ওপর আগামী ১২ জানুয়ারি বসানো হবে। ‘৬বি’ নম্বর এ স্প্যানটি বসানোর মধ্যদিয়ে ২০২০ সালে নব-উদ্যোমে পদ্মা সেতুর নির্মান কাজ চলবে। পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী দেওয়ান আব্দুল কাদের বাসস’র প্রতিনিধির সাথে আলাপকালে এসব কথা জানান। তিনি বলেন, ‘এখন থেকে প্রতিমাসে তিনটি করে স্প্যান বসানোর পরিকল্পনা রয়েছে। এ সিডিউল মেনে স্প্যান বসাতে পারলে ২০২১ সালের জুলাই নাগাদ ৪১টি স্প্যান বসানোর কাজ শেষ হবে।’
পদ্মা সেতু প্রকল্পের নির্বাহী প্রকৌশলী জানান, ৮, ১০, ১১, ২৬, ২৭ এবং ২৯ নম্বর পিয়ার (খুঁটি) পদ্মার তলদেশ থেকে উপরের দিকে উঠছে। আগামী ৪৫ দিন অর্থাৎ চলতি বছরের ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি সময়ে ৮, ১০, ১১ এবং ২৯ এই চারটি পিয়ারের কাজ সম্পন্ন হয়ে যাবে। অবশিষ্ট ২৬ এবং ২৭ নম্বর পিয়ারের কাজ এপ্রিলের মধ্যে শেষ হবে। এদিকে বসানো স্প্যানের নিচের তলায় রেলওয়ে স্লাব এবং ওপরের তলায় রোডওয়ে স্লাব বসানোর কাজও দ্রুত এগিয়ে চলেছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। দেওয়ান আব্দুল কাদের বলেন, খুব শিগগিরই সর্বপ্রথম তৈরি করা ‘এফ-১’ স্প্যানটি ৬ ও ৭ নম্বও পিয়ারের ওপর Ÿসানোর জন্য নিয়ে আসা হচ্ছে। স্থান সংকুলান না হওয়ায় স্প্যানটি অস্থায়ীভাবে সেতুর ৪ ও ৫ নম্বর পিয়ারের ওপর বসানো হয়েছে। এখন স্থায়ীভাবে এটি ৬ ও ৭ নম্বর খুঁটির ওপর বসানো হবে। এছাড়া আগামী ২০ জানুয়ারি ‘১-ই’ নম্বর স্প্যানটি মাওয়া প্রান্তের ৪ ও ৫ নম্বর পিয়ারের (খুঁটি) ওপর বসানো হবে। আর ৩০ জানুয়ারি ‘৬-এ’ নম্বর স্প্যানটি বসানো হবে সেতুর ২১ ও ৩২ নম্বর পিয়ারের ওপর। তিনি বলেন, সব ঠিকঠাক থাকলে ইংরেজী নববর্ষের (২০২০) প্রথম মাসে তিনটি স্প্যান বসানোর পাশাপাশি আরো একটি স্প্যান স্থানান্তর করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য,এর আগে ৩১ ডিসেম্বর সেতুর ২০ তম স্প্যান বসানোর মধ্য দিয়ে সেতুর ৩ কিলোমিটার অর্থাৎ নির্মাণাধীন পদ্মা সেতুর অর্ধেকই দৃশ্যমান হয়েছে।
এসসিআরএফের প্রতিবেদন: ২০১৯ সালে ৩৯৩ রেল দুর্ঘটনায় নিহত ৪২১
খুলনাঞ্চল রিপোর্ট
সদ্যবিদায়ী বছরে ৩৯৩টি রেল দুর্ঘটনায় ৮৯ নারী ও ৪৬ শিশুসহ ৪২১ জন নিহত এবং চার নারী ও ৩৩ শিশুসহ ৩৬৬ জন আহত হয়েছে। ১ জানুয়ারি ২০১৯ থেকে ৩০ ডিসেম্বর ২০১৯ পর্যন্ত সারাদেশে বিভিন্ন রেলপথে এসব দুর্ঘটনা ঘটে। রবিবার ঢাকার গণমাধ্যমকর্মীদের সংগঠন শিপিং অ্যান্ড কমিউনিকেশন রিপোর্টার্স ফোরামের (এসসিআরএফ) ‘রেলপথে দুর্ঘটনার বার্ষিক প্রতিবেদন-২০১৯’-এ এই তথ্য তুলে ধরা হয়েছে। ২৪টি জাতীয় দৈনিক, ১০টি আঞ্চলিক সংবাদপত্র এবং ৯টি অনলাইন নিউজ পোর্টাল ও সংবাদ সংস্থার তথ্য-উপাত্তের ভিত্তিতে এ প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে বলে সংগঠনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে এসব হতাহতের ঘটনা একাধিক ট্রেনের মধ্যে সংঘর্ষ ও ট্রেন লাইনচ্যুতির চেয়ে রেলক্রসিং ও রেললাইন পারাপারের সময় বেশি ঘটেছে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।
আওয়ামী লীগ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়: ওবায়দুল কাদের
ঢাকা অফিস
ইভিএম পদ্ধতিতে ভোটগ্রহণ নিয়ে বিভ্রান্তি না ছড়াতে বিএনপির প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায়, হেরে গেলে আমাদের মাথায় আকাশ ভেঙে পড়বে না। তবে বিএনপির নিশ্চিত পরাজয়ের মুখে ইভিএম এর বিরুদ্ধে আবোল-তাবোল বক্তব্য দিয়ে জনগণকে বিভ্রান্ত করছে। সোমবার সাভার উপজেলা পরিষদ মাঠ প্রাঙ্গণে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শীতার্ত মানুষের মধ্যে কম্বল, শুকনো খাবার, শিশুখাদ্য ও শিশুবস্ত্র বিতরণ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। আওয়ামী লীগ ঢাকার দুই সিটির নির্বাচন অবাধ সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ দেখতে চায় জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ ভোট চাই। নিরপেক্ষ নির্বাচনের জন্য আমরা নির্বাচন কমিশনকে সবধরণের সহায়তা করবো। বিএনপি নির্বাচনের আগেই কারচুপির অভিযোগ করছে। আসন্ন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থীর পক্ষে ভোট প্রার্থনা করে তিনি বলেন, নৌকায় ভোট দিলে দেশের উন্নয়ন হবে। গরিব মানুষ কষ্ট পাবে না। এই লক্ষ্য আমরা জনগণের সমর্থন চাই। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, সারাদেশে একজন মানুষও যাতে শীতে কষ্ট না পায়, কেউ যেন শীতে মৃত্যুবরণ না করে, সে জন্য দলীয়ভাবে শীতবস্ত্র বিতরণ করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকার ইতিমধ্যে ৪০ লাখ কম্বল ও ২ কোটি নগদ অর্থ, শিশুদের জন্য শীতবস্ত্র ও শুকনো খাবার বিতরণ করেছে। শিশু ও বয়স্কসহ কোনো মানুষ যাতে শীতে কষ্ট না পায়, সে জন্য এ প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকবে।বাসস
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে নানক
ঢাকা অফিস
হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে ধানমন্ডির ল্যাবএইড হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিম-লীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক। সোমবার সকাল ৯ টায় হঠাৎ বুকে প্রচ- ব্যথা অনুভব করলে তাকে দ্রুত ল্যাবএইড হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় বলে জানান জাহাঙ্গীর কবির নানকের ব্যক্তিগত সহকারী মোহাম্মদ বিপ্লব। তিনি জানান, ‘প্রথমে ইসিজি করার পর ডাক্তাররা এনজিও গ্রামের পরামর্শ দেন। এনজিওগ্রামের রিপোর্ট অনুযায়ী ডাক্তার বলেছেন হার্টে দুটি ব্লক পড়েছে। তাৎক্ষণিক একটি রিং পড়ানো হয়েছে। বর্তমানে তিনি ল্যাবএইড হাসপাতালের সিসিইউতে ভর্তি।’
উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলনে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক থেকে পদোন্নতি পেয়ে সভাপতিমন্ডলীর সদস্য হন নানক।
৫ হাজার চিকিৎসক ও ১৫ হাজার নার্স নিয়োগ দেয়া হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
ঢাকা অফিস
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, এবছরই নতুন করে অন্তত ৫ হাজার চিকিৎসক ও ১৫ হাজার নার্স নিয়োগ দেয়া হবে। জরুরি ভিত্তিতে খুব দ্রুত সময়ের মধ্যে অধিক সংখ্যক ডাক্তার, নার্স ও অন্যান্য লোকবল প্রয়োজন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘দেশের প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে বেড সংখ্যা দ্বিগুণ করা হয়েছে। ক্যান্সার হাসপাতালে গত মাসেই ২শ’ বেড থেকে ৫শ’ বেডে উন্নীত করা হয়েছে। দেশের ৮ বিভাগে ৮ টি ক্যান্সার হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার কাজ প্রক্রিয়াধীন। এবছরই দেশের সকল আইসিইউ বেড সংখ্যাও দ্বিগুণ করার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। পাশাপাশি ২৫০ টি নতুন ডায়ালাইসিস বেড স্থাপনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী আজ রাজধানীর ন্যাশনাল নিউরোসায়েন্সেস অব হসপিটালে ১০০ শয্যার স্ট্রোক ইউনিট উদ্বোধন উপলক্ষে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন। আজ নিউরোসায়েন্সেস হাসপাতালে ১০০ শয্যার স্ট্রোক ইউনিট উদ্বোধন করা হলো যা বিশ্বের মাত্র অল্প কয়েকটি দেশের মধ্যে একটি। চিকিৎসা ক্ষেত্রে এটি আমাদের এক বিরাট অর্জন বলেও জানান তিনি।
স্ট্রোক চিকিৎসায় বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ থেকেই বাংলাদেশ এগিয়ে রয়েছে উল্লে¬খ করে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, সরকারি হাসপাতালে ১০০ শয্যার স্ট্রোক ইউনিট স্থাপন একটি বিরল ঘটনা। পৃথিবীর হাতে গোনা কয়েকটি দেশের হাসপাতাল ছাড়া ভারত,পাকিস্তান, শ্রীলংকা,ইন্দোনেশিয়া,ভিয়েতনাম, মালেয়েশিয়াসহ বিশ্বের আর কোথাও ১০০ শয্যার স্ট্রোক ইউনিট নেই। সুতরাং সরকারের এই মহতী উদ্যোগকে সকলে মিলে সর্বাত্মক সহায়তা করতে হবে।’ অনুষ্ঠানে অন্যান্য বক্তারা বলেন, ঢাকার অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের দেশের বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে পদায়ন করা গেলে জেলা পর্যায় থেকে ঢাকায় আসা রোগীদের চাপ আরো কমে যেতে পারে। অনুষ্ঠানের আগে স্বাস্থ্যমন্ত্রী নতুন বেডগুলি ঘুরে ঘুরে দেখেন ও চিকিৎসারত রোগীদের সাথে কথা বলে তাদের খোঁজ-খবর নেন। ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস এন্ড হসপিটালের পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ কাজী দীন মোহাম্মদের পরিচালনায় অনুষ্টানে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব মোঃ আসাদুল ইসলাম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক আবুল কালাম আজাদ, ন্যাশনাল ইন্সটিটিউট অব নিউরোসায়েন্সেস এন্ড হসপিটালের যুগ্ম পরিচালক ডাঃ বদরুল আলম উপস্থিত ছিলেন ।
আওয়ামী লীগ সরকারের বছর পূর্তি আজ
খুলনাঞ্চল রিপোর্ট
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে গঠিত আওয়ামী লীগ সরকারের বছর পূর্তি আজ। আওয়ামী লীগ সভাপতি ও বঙ্গবন্ধু কণ্যা শেখ হাসিনা গত বছরের ৭ জানুয়ারি চতুর্থবারের মত প্রধানমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন এবং ৪৭ সদস্য বিশিষ্ট মন্ত্রী সভা গঠন করেন। একই বছরের ৩০ জানুয়ারি একাদশ সংসদের প্রথম অধিবেশন শুরু হয়ে ২৬ কার্যদিবস চলার পর ১১ মার্চ অধিবেশনটি শেষ হয় । অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ভাষণ দেন। বিশ্লেষকরা মনে করেন এই এক বছরে দেশের সার্বিক উন্নয়নে বেশ কিছু সফলতা দেখিয়েছে সরকার। বিশেষ করে-দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি সরকারের বড় সাফল্য।
আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহার অনুযায়ী মেগা প্রকল্পকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেয়া হয়েছিল। পদ্মা সেতু নির্মাণসহ প্রায় ডজনখানেক বড় প্রকল্প সময়মত শেষ করার লক্ষেই দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে কাজ। বর্তমানে দেশে বিদ্যুৎ উৎপাদন সক্ষমতা দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৭৬৭ মেগাওয়াট। যার মধ্য দিয়ে দেশের ৯৫ শতাংশ জনগোষ্ঠী বিদ্যুৎ সুবিধার আওতাভুক্ত। এছাড়াও ‘আমার গ্রাম আমার শহর’ আওয়ামী লীগের নির্বাচনী ইশতেহারে অন্যতম কর্মসূচির কাজও এগিয়ে যাচ্ছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি সরবরাহ বৃদ্ধি, কম্পিউটার ও দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধার মাধ্যমে গ্রামের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধির চেষ্টা অব্যহত রয়েছে বলেও অনেকে মনে করেন। অন্যদিকে নারীর ক্ষমতায়ন, দারিদ্র্য বিমোচন, খাদ্য নিরাপত্তা অর্জনের নিশ্চয়তা বাস্তবায়নের পথে। শিল্পায়ন, শিক্ষায় উন্নতি, সড়ক, রেলপথ ও বিমান পথে যোগাযোগের অভূতপূর্ব উন্নয়ন ঘটেছে, বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট উক্ষপণের মাধ্যমে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন পূরণের পথে অনেক দূর এগিয়েছে বাংলাদেশ। এর আগে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ মহাজোট গঠনের মধ্যদিয়ে নিরঙ্কুশভাবে জয় পায় এবং টানা তৃতীয়বারের মত পাঁচ বছরের জন্য সরকার পরিচালনার দায়িত্ব পায় । একই বছরের ৮ নভেম্বর নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন। ঘোষণায় ২৩ ডিসেম্বর নির্বাচনের তারিখ ঠিক করা হলেও ১২ নভেম্বর পুনঃতফসিলে তা পিছিয়ে ৩০ ডিসেম্বর নির্ধারিত হয়। নির্বাচনে বাংলাদেশের দু’টি দল, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতৃত্বে গঠিত মহাজোট ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট জোটসহ বাংলাদেশের নিবন্ধিত সর্বমোট ৩৯টি দল অংশগ্রহণ করে।
ধর্ষণের শিকার ছাত্রীর জবানবন্দি
ঢাকা অফিস
‘ধর্ষক বারবার আমার নাম জিজ্ঞেস করছিল। আমি ভাবছিলাম, আমি ঢাবি শিক্ষার্থী বললে আমাকে মেরে ফেলবে। আমার পরিচয় জানলে আমি বাঁচবো না। ওই লোক খুব দাম্ভিক ছিল। আমি তাকে প্রতিরোধ করতে পারিনি।’ ধর্ষণের শিকার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হাসপাতালে ভর্তির আগে ও পরে কয়েকজন শিক্ষক ও বন্ধুকে এভাবে ঘটনার বর্ণনা দেন। পরে তারা কথাগুলো বাংলা ট্রিবিউনের সঙ্গে শেয়ার করেন। ভিকটিমের দেওয়া বিবরণ অনুযায়ী, রবিবার (৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৭টায় কুর্মিটোলা বাসস্ট্যান্ডে নামার পরে থেকে শেওড়ার যে বন্ধুর বাসায় রওনা দিয়েছিলেন তিনি, সেই বন্ধুর বাসায় পৌঁছানো পর্যন্ত সময় লাগে মোট সাড়ে ৩ ঘণ্টা। এই সময়ের মধ্যে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ঠিক কতক্ষণ তিনি জ্ঞান হারিয়েছিলেন তা বলতে পারেননি। তবে জ্ঞান ফিরে আসার পর বুঝতে পারেন, ঘণ্টা দুয়েক পার হয়েছে এবং ধর্ষক তখনও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিল।
ধর্ষণের শিকার শিক্ষার্থীর সঙ্গে রাতে হাসপাতালে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সাদেকা হালিম ও সামিনা লুৎফা। ভিকটিম শিক্ষার্থীর সঙ্গে তারা সহমর্মীতা নিয়ে কথা বলেছেন, যার অনেক কিছু তারা গণমাধ্যমকেও জানাতে রাজি হননি। ঘটনার বিবরণে ভিকটিম কী বলেছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে সাদেকা হালিম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মেয়েটির সামনে পরীক্ষা। স্টাডি সার্কেলে পড়ালেখা করে শিক্ষার্থীরা। সে কারণেই বান্ধবীর বাসার উদ্দেশে রওনা দিয়েছিল। তার সঙ্গে বাড়তি পোশাক ছিল, পড়ালেখার বই-নোটস আর প্রয়োজনীয় কিছু জিনিস। মেয়েটির বিবরণীতে ধর্ষক একজনই ছিল।’ ধর্ষক কেমন ছিল দেখতে তা বলতে পেরেছে কিনা প্রশ্নে অধ্যাপক সাদেকা বলেন, ‘দেখে মনে হচ্ছিলো সিরিয়াল কিলার। ঠান্ডা মাথায় যে ধর্ষণের মতো অপরাধ ঘটিয়েছে একাধিকবার। এবং মেয়েটিকে জোর করে পোশাকও পরিবর্তন করিয়েছে, আবার ধর্ষণ করেছে। ভিকটিম জানিয়েছে, ধর্ষক তার পরিচয় জানতে চেয়েছে বারবার। মেয়েটি আন্দাজ করছিল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিচয় পেলে তাকে মেরে ফেলা হতে পারে। তাই সে মুখ খোলেনি।’
কীভাবে পালিয়ে এলেন সে বিষয়ে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ জানান, ধর্ষণের কোনও একসময় মেয়েটি জ্ঞান হারায়। এরপর যখন জ্ঞান ফেরে তখন সে ধর্ষককে দেখতে পায়। ধর্ষক পেছন ফিরে ভিকটিমের ব্যাগ থেকে কিছু বের করার চেষ্টা করছিল। এই সুযোগে সে ওই স্থান থেকে পালিয়ে আসে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সামিনা লুৎফা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘কিছু দূর হেঁটে সে (ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী) চেষ্টা করেছে সিএনজি বা গাড়ি থামাতে। না পেরে রাস্তা পার হয়ে বন্ধুর বাসায় পৌঁছাতে সক্ষম হয়, তখন রাত সাড়ে ১০টা।’ সামিনা লুৎফা বলেন, ‘ঘটনাস্থল এত অনিরাপদ হবেÍ এটা না জানা থাকলে আন্দাজও করার কথা না। মেয়েটির বয়স খুবই কম। শরীরে অসংখ্য আঘাতের চিহ্ন। প্রচ- শক্তি প্রয়োগ করা হয়েছে, হাতে নানা জায়গায় কালসিটে। মেয়েটি বেঁচে আছে অনেক ব্যথা নিয়ে। অসম্ভব মানসিক শক্তি ছিল বলে প্রায় তিন ঘণ্টা পরে সে ওখান থেকে পালিয়ে আসতে পেরেছে।’
ধর্ষকের চেহারার বিষয়ে কিছু জানিয়েছেন কিনা, জানতে চাইলে সামিনা বলেন, ‘অবয়ব বিষয়ে পুলিশকে বিস্তারিত জানিয়েছে সেই শিক্ষার্থী। তবে লোকটি দাম্ভিক ছিল বলেও জানিয়েছে। তাকে পেছন থেকে ধরে নিয়ে গেছে।’ এ ঘটনার প্রতিক্রিয়ায় সাদেকা হালিম বলেন, ‘আমি তার (ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী) কাছ থেকে বিবরণ শুনছিলাম আর ভাবছিলাম, মেয়েটি আমারই মেয়ে। কী প্রচ- ব্যথা সহ্য করছে!’ তার যথাযথ রেস্ট দরকার উল্লেখ করে এই শিক্ষক বলেন, ‘সঙ্গে মানসিক সহযোগিতাও খুব দরকার। মা-বাবা তার পাশে এসে গেছেন, শিক্ষকরা আছেন, আন্তরিকতা নিয়ে বিষয়টি তারা দেখছেন। সেটা ইতিবাচক। এখন তার আগামীকে সহজ করে দেওয়ার কাজটি আমাদের সবার।’
আবারও শৈত্যপ্রবাহ শুরু, বিস্তৃত হবে অনেক এলাকায়
খুলনাঞ্চল রিপোর্ট
ডিসেম্বরের পর আবারও শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। গতকাল সোমবার (৬ জানুয়ারি) রাজশাহী, পাবনা, চুয়াডাঙ্গা, কুড়িগ্রাম ও যশোর জেলা এবং এগুলোর আশপাশের অঞ্চলের ওপর দিয়ে শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। রাতে তাপমাত্রা আরও ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমে যাবে। ফলে তা আরও বেশ কিছু এলাকায় বিস্তৃত হতে পারে। উত্তর পশ্চিম দিক থেকে আসা কনকনে ঠা-া বাতাসের গতি হবে ঘণ্টায় ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। তবে ঢাকায় শৈত্যপ্রবাহের সম্ভাবনা নেই।
গতকাল সকালের দিকে ঢাকার তাপমাত্রা কিছুটা বেড়ে যায়। দুপুরের দিকে ঝাঁঝালো গরমের অনুভূতিও পায় নগরবাসী। কিন্তু, দুপুরের পর আবার নেমে যায় তাপমাত্রা। সন্ধ্যার পর শুরু হয়েছে কনকনে ঠা-া বাতাস। আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আজ রাত থেকে আগামীকাল দুপুর পর্যন্ত আবহাওয়া এমনই থাকবে। দুপুরের দিকে সূর্য উঠলেও আকাশ মেঘলা থাকার ফলে তাপমাত্রার খুব বেশি পরিবর্তন হবে না। যদিও ঢাকার বাইরে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হলেও ঢাকায় এর প্রভাব পড়বে না। তবে কনকনে ঠা-া বাতাসে জীবন কিছুটা গতি হারাতে পারে। বুধবার থেকে তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে বলে জানা যায়। গতকাল দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দিনাজপুর ও রাজশাহীতে ৮ দশমিক ৮। যা রোববার ছিল তেঁতুলিয়ায় ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস। অন্যদিকে বৃষ্টি কমে এলেও ঢাকার কিছু অঞ্চলে মধ্যরাতে, টাঙ্গাইলে, ময়মনসিংহে, নেত্রকোণায়, কুমিল্লায়, সিলেটে, শ্রীমঙ্গলে, রাজশাহীতে, বগুড়ায় বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে। আবহাওয়ার ২৪ ঘণ্টার পূর্বাভাসে বলা হয়, বঙ্গোপসাগরে লঘুচাপ অবস্থান করছে। এই লঘুচাপের প্রভাবে রাজশাহী, পাবনা, যশোর ও চুয়াডাঙ্গা জেলাগুলোর ওপর দিয়ে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং এটা অব্যাহত থাকতে পারে এবং আরও এলাকায় বিস্তৃত হতে পারে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। সারাদেশের রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে। দিনের তাপমাত্রা আবার ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বাড়তে পারে।
আবহাওয়াবিদ আরিফ হোসেন বলেন, গতকাল বেশ কিছু এলাকায় শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আরও এলাকায় এই প্রবাহ বয়ে যেতে পারে। ঢাকা বিভাগের মধ্যে টাঙ্গাইলে শৈত্যপ্রবাহের শঙ্কা রয়েছে। তিনি বলেন, আজ দিনের বেলা আকাশ মেঘলা থাকবে। রাতের বেলা তাপমাত্রা আরও কিছুটা কমতে পারে। বুধবার পর্যন্ত এই আবহাওয়া থাকবে। এরপর তাপমাত্রা কিছুটা বাড়তে পারে। তবে দুই একদিন পর আবার তাপমাত্রা নেমে যেতে পারে বলে তিনি শঙ্কা প্রকাশ করেন।
মুজিব শতবর্ষের ক্ষণগণনার অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার নিবন্ধন শুরু
ঢাকা অফিস
মুজিব জন্ম শতবর্ষের ক্ষণগণনার অনুষ্ঠানে অংশ নেওয়ার জন্য নিবন্ধন শুরু হয়েছে। যে কেউ বাবহঃ.সঁলরন১০০.মড়া.নফ/ সাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন। আসনসংখ্যা সীমিত হওয়ায় নিবন্ধন ছাড়া উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে কেউ প্রবেশ করতে পারবে না। সোমবার বিকাল ৩টা থেকে নিবন্ধন শুরু হওয়ার কথা থাকলেও নির্ধারিত সময়ের আগেই নিবন্ধন শুরু হয়েছে। চলবে মঙ্গলবার রাত ১২টা পর্যন্ত। এরপর আর কেউ নিবন্ধন করতে পারবে না। এ বিষয়ে আইসিটি বিভাগের প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘নিবন্ধন করা যাবে ৭ জানুয়ারি রাত ১২টা পর্যন্ত। আসনসংখ্যা সীমিত। নিবন্ধন করতে প্রয়োজন হবে আপনার নাম, মোবাইল নম্বর, ইমেইল ও জাতীয় পরিচয়পত্র নম্বর।’ অনলাইনে যথাযথভাবে ফরম পূরণ করতে হবে। নিবন্ধনের পরে ইনভাইটেশন ফরম প্রিন্ট করে সঙ্গে আনলেই হবে। গুলশানের একটি সফটওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শাহজালাল জানান, তিনি ও তার এক সহকর্মী সোমবার ৩টার আগেই নিবন্ধন করেছেন।
মুজিববর্ষ শুরু হবে আগামী ১৭ মার্চ থেকে। শেষ হবে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ। আর মুজিববর্ষের ক্ষণগণনা শুরু হবে আগামী ১০ জানুয়ারি। এদিন বিকাল ৫টায় বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীর লোগো এবং ক্ষণগণনা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে। সারদেশে ক্ষণগণনার যন্ত্র বসানো হবে। রাজধানীতে জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় হাতিরঝিল, উত্তরা ও বাংলাদেশ সচিবালয়ে ক্ষণগণনার যন্ত্র বসানো হচ্ছে। এছাড়া ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনসহ সারাদেশের সব সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৮টি ক্ষণগণনার যন্ত্র বসানো হচ্ছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে সিটি করপোরেশন ছাড়াও ৫৩টি জেলায় ক্ষণগণনার যন্ত্র বসানো হচ্ছে। টুঙ্গিপাড়া ও মুজিবনগরে বিশেষভাবে ক্ষণগণনার দুটি যন্ত্র বসানো হচ্ছে। জেলা ও সিটি করপোরেশনে ক্ষণগণনা মনিটরিং করা হবে কেন্দ্রীয়ভাবে। এছাড়া উপজেলাগুলোতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে ক্ষণগণনার যন্ত্র বসানো হচ্ছে। জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে মুজিববর্ষের প্রথম দিন আগামী ১৭ মার্চ প্রথম ভাগে আলোচনা, বিকালে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে। এছাড়া মুজিব জন্ম শতবর্ষের ক্ষণগণনার অনুষ্ঠান নিয়ে একটি ওয়েবসাইট সঁলরন১০০.মড়া.নফ চালু করা হয়েছে। যেখান থেকে বঙ্গবন্ধু এই ইভেন্ট ও শতবর্ষ উদযাপনে সম্পর্কে অনেক কিছুই জানা যাবে।
মিথ্যা আশ্বাসে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থামাবে না: নুর
ঢাকা অফিস
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের ভিপি নুরুল হক নুর বলেছেন, ‘দেশে দুর্বৃত্তায়ন ও বিচারহীনতরা যে শাসন চলছে সেজন্যই এ ধরনের ঘটনা বারবার ঘটে। সরকারের মিথ্যা ও ফাঁপা আশ্বাসে ঢাবি শিক্ষার্থীরা আন্দোলন থামাবেন না।’ সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে ঢাবি শিক্ষার্থী ধর্ষণের ঘটনায় বিচার দাবিতে আয়োজিত বিক্ষোভ মিছিলে অংশ নিয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
নুর বলেন, ‘ক্ষমতাসীন দল আদালত ও পুলিশ প্রশাসনের ওপর প্রভাব বিস্তার করে অপরাধকে ধামাচাপা দিতে চায়, সেই কারণেই কিন্তু ঘটনার পুনরাবৃত্তি বারবার ঘটছে। সুতরাং আমরা যদি না জানি দু’দিন পর আমার মা-বোন এ ধরনের নির্যাতনের শিকার হবে।’ তিনি বলেন, ‘আপনারা দেখেছেন যে বিরোধী দলের প্রার্থীকে ভোট দেওয়ার কারণে নোয়াখালীতে চার সন্তানের জননী ধর্ষণের শিকার হয়েছে। কুমিল্লায় তনু হত্যার ঘটনায় সারাদেশ উত্তাল হয়েছে। কিন্তু যখন উত্তাল ছিল তখন আমরা সরকারের পক্ষ থেকে মিথ্যা ফাঁপা আশ্বাস দেখেছি। সেই ঘটনার বিচার কিন্তু নিশ্চিত হয়নি। ঠিক একইভাবে যখন ডাকসু ভবনে হামলা হয়েছে,সরকারের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে তারা হার্ড লাইনে। মিথ্যা আশ্বাসে আজকে ঢাবির শিক্ষার্থীরা যে আন্দোলনে নেমেছে তারা কিন্তু থামবে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দাবি ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে ধর্ষককে খুঁজে বিচারের আওতায় আনতে হবে। কিন্তু বাস্তবে আমাদের দেশে রাস্তাঘাটে নারীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে। তারা ঘর থেকে বের হলেই একধরনের নিরাপত্তাহীনতা কাজ করে।’
স্বয়ংক্রিয়ভাবে নীরবে নিঃশব্দে ভোট চুরির প্রকল্প ইভিএম : বিএনপি
ঢাকা অফিস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী আসন্ন ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ইভিএম ব্যবহারের বিরোধিতা করে বলেছেন, ‘স্বয়ংক্রিয়ভাবে নীরবে-নিঃশব্দে ভোট চুরির প্রকল্প হলো ইভিএম। পৃথিবীর ২০০ দেশের মধ্যে মাত্র চারটি দেশে ইভিএম ব্যবহার করা হচ্ছে। এই চারটি দেশের সরকার এবং নির্বাচন কমিশন কোনোটাই বিতর্কিত নয়। বাংলাদেশের সরকার এবং নির্বাচন কমিশন দুটি বিতর্কিত। ফলে স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য ইভিএম অন্তরায়। সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকেলে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে প্রায় দুই ঘণ্টা বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, ২০১৪ সালে ভোটারবিহীন প্রার্থীবিহীন একটা নির্বাচন করে সরকার ক্ষমতা দখল করেছে। ২০১৮ সালে ২৯ ডিসেম্বর মধ্যরাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি করে সরকার ক্ষমতায় এসেছে। এখন আবার এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকতে চাচ্ছে। এখন ক্ষমতা দখলের একটি নতুন প্রক্রিয়া দেখতে পাচ্ছি সেটি হলো ইভিএম।
আমির খসরু মাহমুদ আরো বলেন, ইভিএম এর মাধ্যমে ভোটচুরির যে প্রক্রিয়ায় সেটা হলো একেবারে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নীরবে-নিঃশব্দে ভোটচুরির একটি প্রকল্প ছাড়া আর কিছুই না। নির্বাচনের ফলাফল কী হবে সেটা নির্ভর করবে ইভিএম এর প্রোগ্রাম এর উপর। জনগণ যে ভোট দেবে সে ভোটটা কাকে দেবে তার পেপার ট্রেইল নাই। ট্রেইল না থাকার কারণে ইভিএমের টেকনিক্যাল কমিটির সদস্য জামিলুর রেজা চৌধুরী এই প্রকল্পে সই করেননি। ফলে সেখানে ভেরিফাই বা পরীক্ষা করার কোনো সুযোগ নাই। তারপরও নির্বাচন কমিশন রহস্যজনক কারণে ইভিএমে গেছে। তিনি আরও বলেন, জনগণ সারাদিন ভোট দেবে তাতে কোনো লাভ হবে না। কারণ ইভিএম এর প্রোগ্রামে যেভাবে সেট করা আছে সেভাবেই ফলাফল আসবে।
খালেদা ইস্যুতে আজ বৈঠক ডেকেছে ঐক্যফ্রন্ট
ঢাকা অফিস
খালেদা ইস্যুতে আজ বৈঠক ডেকেছে ঐক্যফ্রন্ট। এদিন সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর মতিঝিলে ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেনের কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দফতর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু বলেন,দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের অবনতির কারণে উৎকণ্ঠার সৃষ্টি হয়েছে। এ ব্যাপারে আলোচনার জন্য জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কেন্দ্রীয় নেতারা আগামীকাল ৭ জানুয়ারি (আজ) সকাল সাড়ে ১০টায় ড. কামাল হোসেনের মতিঝিলের চেম্বার বিল্ডিংয়ে বৈঠক করবেন। এতে সভাপতিত্ব করবেন ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। কারা হেফাজতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন খালেদা জিয়ার সঙ্গে রোববার (৫ জানুয়ারি) বিকেলে সাক্ষাৎ করেন তার বোন বেগম সেলিমা ইসলাম, ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা সিঁথি, কোকোর ছোট মেয়ে জাহিয়া রহমান, নাতি সামিন ইসলাম, রাখিন ইসলাম ও নাতনি আরিফা ইসলাম প্রমুখ।
সাক্ষাৎ শেষে বেরিয়ে গাড়িতে বসে অঝোরে কাঁদেন কোকোর স্ত্রী ও মেয়ে। সেখানে সেলিমা ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, খালেদার স্বাস্থ্যের আরও অনেক বেশি অবনতি হয়েছে। তিনি হাত সোজা করতে পারছেন না। তার হাত বাঁকা হয়ে গেছে। হাতের আঙুল বাঁকা হয়ে গেছে, খুবই খারাপ অবস্থা। দুই হাঁটুতে অপারেশন করার কারণে হাঁটুতেও ব্যথা, হাঁটু ফুলে গেছে। তিনি পা-ও ফেলতে পারছেন না।
এরপর সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া বার্তা পাঠিয়েছেন- তিনি উন্নত চিকিৎসা নিতে আগ্রহী। আমরা তার সাথে দেখা করার জন্য কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছি, কিন্তু এখনো কোনো রেসপন্স পাইনি।
বিজিবির সঙ্গে ১৫ মিনিট গোলাগুলি, দুই রোহিঙ্গা নিহত
খুলনাঞ্চল রিপোর্ট
কক্সবাজারে বিজিবির সঙ্গে ‘গোলাগুলিতে’ দুই ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত হয়েছেন। নিহতরা রোহিঙ্গা বলে জানিয়েছে বিজিবি। এ সময় ২০ হাজার ইয়াবা ও একনলা একটি বন্দুকসহ দুই রাউন্ড কার্তুজ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার ভোরে উখিয়ার পালংখালী ইউনিয়নের পূর্ব ফাঁড়িরবিল এলাকায় বিজিবি ও ইয়াবা ব্যবসায়ীদের মধ্যে এ ‘গোলাগুলির’ ঘটনা ঘটে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে। নিহতরা হলেন মিয়ানমারের উনচিপ্রাং এলাকা থেকে উখিয়া রোহিঙ্গা শিবিরের ২২নং ব্লকে আশ্রয় নেয়া মৃত সুলতান আহমদের ছেলে মোহাম্মদ ইসমাইল (২৮) ও মো. আবু সৈয়দের ছেলে মো. হেলাল উদ্দিন (২০)। ৩৪ বিজিবির অধিনায়ক লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আহমেদ বলেন, পালংখালী ইউনিয়নের পূর্ব ফাঁড়িরবিল এলাকা দিয়ে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে ইয়াবার চালান আসছে- এমন সংবাদে ওই এলাকায় অবস্থান নেয় বিজিবি।ভোররাত ৪টার দিকে ৫-৬ জনের একটি দল মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করে। এ সময় বিজিবির উপস্থিতি দেখে টহল দলকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে তারা।
আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায় বিজিবি। তখন দুপক্ষের মধ্যে প্রায় ১৫ মিনিট গুলি বিনিময় হয়। একপর্যায়ে ইয়াবা ব্যবসায়ীরা গুলি করতে করতে মিয়ানমারের দিকে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থল থেকে দুই রোহিঙ্গাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। তাৎক্ষণিকভাবে তাদের উখিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। লে. কর্নেল আলী হায়দার আজাদ আরও বলেন, এ ঘটনায় বিজিবির এক সদস্য আহত হয়। নিহত একজনের পকেট থেকে উদ্ধারকৃত ইউএনএইচসিআর প্রদত্ত আইডি কার্ড দেখে ইসমাইল এবং রোহিঙ্গা বলে জানা যায়। খবর পেয়ে মৃতের স্বজনরা হাসপাতালে এসে অপরজনের পরিচয় শনাক্ত করেছেন। তাদের কাছ থেকে ২০ হাজার ইয়াবা, একটি একনলা বন্দুক ও দুই রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় উখিয়া থানায় মামলা করা হয়েছে।
ডিজিটাল অ্যাক্টে জাতীয় অর্থনীতি পত্রিকার সম্পাদক গ্রেফতার
ঢাকা অফিস
দৈনিক জাতীয় অর্থনীতির সম্পাদক কিবরিয়া চৌধুরীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রোববার (৫ জানুয়ারি) ঢাকার মতিঝিল থেকে তাকে গ্রেফতার করে নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী থানা পুলিশ। তাকে গ্রেফতারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সোনাইমুড়ী থানার ডিউটি অফিসার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) আরমান হোসেন। তিনি বলেন, সম্প্রতি ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে কিবরিয়া চৌধুরীর বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়। ওই মামলায় তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
রাতে গ্রেফতারের পর সকালে কিবরিয়াকে থানায় আনা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানান আরমান হোসেন।
জাপার প্রেসিডিয়াম থেকে ছিটকে পড়লো ১১ জন
ঢাকা অফিস
জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম থেকে ছিটকে পড়লেন এরশাদের আস্থাভাজন ও দলের সিনিয়র নেতা সাবেক মন্ত্রী এম এ সাত্তার। বাদ পড়লেন এরশাদের এক সময়কার আস্থাভাজন ও দলে প্রভাবশালী এবং এরশাদ মুক্তি আন্দোলনের নেতা অধ্যাপক দেলোয়ার হোসেন খাঁন। এছাড়া দীর্ঘদিন দলের সংরক্ষিত আসনের সাবেক মহিলা এমপি নূর ই হাসনা লিলি চৌধুরী। বাদ পড়েছেন কাজী জাফরের সঙ্গে দল ভাঙা নেতা আতিকুর রহমান আতিক, যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আটক এম এ হান্নান, এরশাদের ব্যক্তিগত সচিব ও পল্লীবন্ধু ট্রাস্টের সদস্য মেজর (অব.) খালেদ আক্তার, এরশাদের স্নেহভাজন ব্যারিস্টার দিলারা খন্দকার, রংপুরের ফখরুজ্জামান জাহাঙ্গীর, রেজাউল ইসলাম ভূইয়ার হাত ধরে দলে আসা নেতা কাজী মামুনুর রশীদ এবং সাবেক এমপি জাফর ইকবাল সিদ্দিকী। নতুন করে প্রেসিডিয়ামে জায়গা করে নিলেন উত্তরা ক্লাবের সাবেক প্রেসিডেন্ট, দলের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান নাসির মাহমুদ এবং সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান জহিরুল ইসলাম জহির।
লন্ডন ফিরে গেলেন খালেদার পুত্রবধূ শর্মিলা সিঁথি
ঢাকা অফিস
লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠপুত্র আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা রহমান সিঁথি। গত ২৬ ডিসেম্বর লন্ডন থেকে ঢাকায় এসেছিলেন তিনি। চেয়ারপারসনের প্রেস উইং সদস্য শায়রুল কবির জানান, আজ (গতকাল) বেলা ১টার দিকে মালয়েশিয়ান এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইটে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শর্মিলা সিঁথি তার সন্তানকে নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশে রওনা করেছেন। লন্ডন থেকে বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করতে এসেছিলেন। গত রবিবার দেখা করেছেন। আজ (গতকাল) লন্ডনে ফিরে যাচ্ছেন। প্রসঙ্গত, রবিবার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) খালেদা জিয়ার সঙ্গে দেখা করে বাইরে বের হওয়ায় সময় শর্মিলা সিঁথি এবং তার সন্তানকে অঝোরে কাঁদতে দেখা গেছে ।
ফরিদপুরে বাস-মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ, ৬ জনের মৃত্যু
খুলনাঞ্চল রিপোর্ট
ফরিদপুর সদর উপজেলার মল্লিকপুর এলাকায় ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যাত্রীবাহী বাস ও মাইক্রোবাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে ছয় জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার (৬ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৭টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও কয়েকজন তবে তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতদের সবার নাম-পরিচয় জানা যায়নি। নিহতরা হলেন ফরিদপুরের সোলনা গ্রামের হোমিও চিকিৎসক শরিফুল ইসলাম, তার স্ত্রী ও দুই শিশু কন্যা এবং তার স্বজন এসআই ফারুক হোসেন। এছাড়া দুর্ঘটনায় নিহত অপর একজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি। কানাইপুর হাইওয়ে পুলিশের এসআই সিফার আহমেদ দুর্ঘটনার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, ঢাকা থেকে মাগুরাগামী একটি বাসের সঙ্গে বিপরীত দিক থেকে আসা মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়। দুর্ঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান তিনি।
জিকে শামীম সংশ্লিষ্ট ১৯৪ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ
ঢাকা অফিস
যুবলীগের কথিত সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ঠিকাদার এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জিকে শামীম ও তার সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের ১৯৪ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। সোমবার ঢাকার সিনিয়র স্পেশাল জজ কেএম ইমরুল কায়েশ এ আদেশ দেন। ওই আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আসামি জিকে শামীমের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া গুলশান থানার ২৯(৯)১৯ নম্বরের মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় সিআইডি এ আবেদন করেছিল।
আবেদনে বলা হয়, ‘এসএম গোলাম কিবরিয়া শামীম ও অন্যান্য আসামিরা পরস্পর যোগসাজসে দীর্ঘদিন ধরে নিজ নামে লাইসেন্সকৃত অস্ত্র প্রকাশ্যে বহন, প্রদর্শন ও ব্যবহার করে লোকজনের মধ্যে ভয়-ভীতি সৃষ্টির মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের টেন্ডারবাজ, মাদক ও জুয়ার ব্যবসাসহ স্থানীয় বাস টার্মিনাল, গরুর হাট-বাজার নিয়ন্ত্রণসহ চাাঁদাবাজি করে স্বনামে-বেনামে বিপুল পরিমাণ অবৈধ অর্থ বৈভবের মালিক হন। দীর্ঘদিন ধরে টেন্ডারবাজি, মাদক ও জুয়ার ব্যবসাসহ স্থানীয় বাস টার্মিনাল, গরুর হাট-বাজারে চাঁদাবাজি করে অবৈধভাবে কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন। চাঁদাবাজির নামে বিপুল অর্থ উপার্জন করে দেশে ও বিদেশে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তি অর্জন স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের ব্যাংক হিসাবে স্থানান্তরসহ নিজের ব্যাংক হিসাবে বিপুল টাকা গচ্ছিত রাখেন। আসামি এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম র্যাবের অভিযানে এক কোটি ৮১ লাখ ২৮ হাজার টাকা, ৯ হাজার ইউ এস ডলার, ৭৫২ সিঙ্গাপুর ডলার, ১৬৫ কোটি ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার ১০ টি এফডিআর, ৩২ টি ব্যাংক একাউন্ট ও চেক বই সহ গ্রেপ্তার হয়।’ আবেদনে আরো বলা হয়, ‘মামলার তদন্তের আসামিদের নামে দেশের বিভিন্ন ব্যাংকে বিপুল পরিমাণ টাকা পয়সার লেনদেন পরিলক্ষিত হয়। মামলার তদন্তকালে জানা যায়, এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ও তার পরিবার বাংলাদেশ থেকে অবৈধ উপায়ে উপার্জিত অর্থ পাচারের উদ্দেশ্যে মজুদ রেখেছে। এছাড়াও আসামি যে কোনো সময় মজুদকৃত অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে পারে। মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে অপরাধলব্ধ আয় সংক্রান্ত ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন। আসামির অপরাধলব্ধ আয় অবরুদ্ধ না হলে ব্যাংক হিসাবে জমাকৃত অর্থ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে আইনের উদ্দেশ্যে ব্যাহত হতে পারে। মামলার তদন্তকালে জি কে শামীমের ব্যাংক হিসাব ও এফডিআর সমূহে গচ্ছিত অর্থেও তথ্য পাওয়া যায়। ব্যাংক হিসাব ও এফডিআর সমূহ অবরুদ্ধ করা না হলে আসামি যেকোন সময় হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রক্রিয়া গ্রহণ করতে পারে বা হিসাবসমূহের অর্থ বিদেশেও প্রেরণ করতে পারে। যা পরবর্তীতে রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হয় না। জানা গেছে, ওই হিসাবগুলোতে কয়েক শ কোটি টাকা রয়েছে।’
জিকে শামীমকে গত বছর ২০ সেপ্টেম্বর গুলশানের নিকেতনে নিজ কার্যালয় থেকে আটকের সময় নগদ ১ কোটি ৮১ লাখ টাকা, ৯ হাজার ইউএস ডলার, ৭৫২ সিঙ্গাপুর ডলার, জি কে শামীমের মায়ের নামে ট্রাস্ট ব্যাংক নারায়ণগঞ্জ শাখায় ২৫ কোটি টাকার করে চারটি এবং ২৭ লাখ ৬০ হাজার টাকার একটি ও শাহজালাল ইসলামী ব্যাংক মহাখালী শাখায় ১০ কোটি টাকা করে চারটি এফডিআর, শামীমের নামে ট্রাস্ট ব্যাংক কেরানীগঞ্জ শাখায় ২৫ কোটি টাকার একটি এফডিআর জব্দ করা হয়।
ওয়ান টাইম প্লাস্টিক পণ্য নিষিদ্ধের নির্দেশ
ঢাকা অফিস
উপকূলীয় অঞ্চলসহ দেশের হোটেল, মোটেল ও রেস্টুরেন্টে একবার ব্যবহারযোগ্য (ওয়ান টাইম) প্লাস্টিক পণ্যের ব্যবহার এক বছরের মধ্যে নিষিদ্ধের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। সেই সাথে পলিথিন ও পলিথিন ব্যাগ ব্যবহার বন্ধে বিদ্যমান আইনগত নিষেধাজ্ঞা কঠোরভাবে কার্যকরের জন্য বাজার তদারকী এবং পলিথিন উৎপাদনকারী যন্ত্রপাতি জব্দ ও কারখানা বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। পলিথিন, প্লাস্টিক ব্যাগ ও একবার ব্যবহার্য প্লাস্টিক পণ্যর যত্রতত্র ব্যবহার, উৎপাদন ও বিক্রির বৈধতা নিয়ে করা রিটের শুনানি নিয়ে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার রুলসহ এই আদেশ দেন। আগামী বছরের ৫ জানুয়ারির মধ্যে রিটের বিবাদীদের এই আদেশ বাস্তবায়নের বিষয়ে আদালতে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। এবং এবিষয়ে আগামী বছরের ১০ জানুয়ারি পরবর্তী আদেশের দিন ধার্য করা হয়েছে।
আদালত তার রুলে ২০২২ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে সারাদেশে একবার ব্যবহারযোগ্য (ওয়ান টাইম) প্লাস্টিক পণ্যের বিপরীতে নিরাপদ বিকল্প কি হতে পারে সে বিষয়ে কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ণের নির্দেশ কেন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়েছেন। এবং পলিথিন ব্যাগ বন্ধে বিদ্যমান আইনগত নিষেধাজ্ঞা কার্যকরে সরকারকে কেন ব্যর্থ বলা হবে না, রুলে তাও জানতে চাওয়া হয়েছে। পরিবেশ সচিব, শিল্প সচিব, বাণিজ্য সচিব, পানি সম্পদ সচিব, বেসামরিক ও পর্যটন সচিব, বস্ত্র ও পাট সচিব, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও বাংলাদেশ প্লাস্টিক পণ্য উৎপাদক ও রপ্তানীকারক অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যানকে এই রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। গতকাল আদালতে বেলার পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও সাঈদ আহমদ কবির। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সাইফুদ্দিন খালেদ।
আদেশের পর আইনজীবী রিজওয়ানা হাসান বলেন: বাংলাদেশে পলিথিন ব্যাগ ও একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক পণ্যের দৌরাত্ব মারাত্বকভাবে বেড়ে চলেছে। এগুলো আমাদের ভূমির উর্বরতা কমাচ্ছে, বায়ূ দূষণ ঘটাচ্ছে এবং সমুদ্রের জলজ উদ্ভিদ ও প্রতিবেশ ব্যবস্থাকে মারাত্মকভাবে হুমকির মধ্যে ফেলেছে। তাই প্লাস্টিক সামগ্রীর উৎপাদন, বিক্রি, বিপণন, বিতরণ বন্ধের নির্দেশনা চেয়ে বেলাসহ ১১টি সংস্থা গত বছরের ১৭ ডিসেম্বর হাইকোর্টে একটি রিট করে। সে রিটের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট আজ রুলসহ আদেশ দিলেন।