সোলাইমানিকে কেন হত্যা করলো যুক্তরাষ্ট্র

14

খুলনাঞ্চল ডেস্ক

রিভোলিউশনারি গার্ডস-এর এলিট ফোর্স হলো কুদস ফোর্স। এ বাহিনীর প্রধান কাসেম সোলাইমানি। কুদস ফোর্স গঠিত হয় ১৯৯৮ সালে। ইরানে ইসলামি বিপ্লব হয় ১৯৭৯ সালে। ইসলামি বিপ্লবের পর ইরানের রিভোলিউশনারি গার্ডস প্রতিষ্ঠিত হয়। দেশটির রেভোলিউশনারি গার্ডসের অভিজাত এই বাহিনীর প্রধান কাসেম সোলেইমানি ইরাকে নিহত হয়েছেন। পেন্টাগন নিশ্চিত করেছে যে তাকে ‘মার্কিন প্রেসিডেন্টের নির্দেশনা অনুযায়ী হত্যা করা হয়েছেন।

ইরানের শীর্ষ নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনি বলেছেন হামলার নেপথ্যে থাকা ‘অপরাধীদের বিরুদ্ধে চরম প্রতিশোধ’ নেয়া হবে। কিন্তু কে এই কাসেম সোলেইমানি? কেন তিনি যুক্তরাষ্ট্রের টার্গেট হয়েছিলেন? বিবিসি জানিয়েছে, কুদস ফোর্স পরিচালনা করতেন কাসেম সোলাইমানি। আর তিনি তার কাজের জন্য জবাবদিহিতা করতেন খামেনির কাছে। তার নির্দেশেই এটি পরিচালিত হতো। এই ফোর্সের কাজ হলো ইরানের বাহিরে অন্য জায়গায় গোপন অভিযান পরিচালনা করা। ধারণা করা হচ্ছে, কয়েকদিন আগে ইরাকের রাজধানী বাগদাদে মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালায় স্থানীয়রা। সেখানে উত্তেজিত জনতা ইটপাটকেল ছুড়েছে এবং অগ্নিসংযোগের চেষ্টা করেছে। এরপর দূতাবাসটি অবরুদ্ধ করা হয়। সেই সময় ট্রাম্প বলেছিলেন ইরানের মাদদেই ইরাকে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাসে হামলা চালানো হয়। কারণ ইরানের যারা শিয়া পন্থী মিলিশিয়া রয়েছে তারাই এই হামলা চালিয়েছে। এরপরই ড্রোন হামলা চালানো হয়। ধারণা করা হচ্ছে, সোলাইমানি সিরিয়া এবং লেবানন থেকে ইরাকে গিয়েছিলেন। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই মার্কিন বাহিনী তার উপর নজর রাখছে। মধ্যপ্রাচের বিভিন্ন এক ধরনের প্রভাব বিস্তার করছিলেন সোলাইমানির বাহিনী। আর এসব দেশের বিভিন্ন বাহিনীর সঙ্গে তার বড় ধরনের ভূমিকা আছে বলে মনে করে মার্কিন বাহিনী। কোন দেশের সঙ্গে কেমন আচরণ হবে তা নির্ধারণ করে দিতেন তিনি। সোলাইমানিকে ইরানে একজন জাতীয় বীর বলে অনেকেই মনে করতেন। দেশটির বিভিন্ন চ্যানেলে দেখলে কিছুক্ষণ পর পর তার ছবি দেখানো হতো। এছাড়া তাকে নিয়ে নানা ধরনের সংবাদ থাকতো। আর এসব কারণেই মার্কিন এবং মিত্রদের নজরে থাকতেন তিনি।

এদিকে নিহতের ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের এই উত্তেজনা মধ্যপ্রাচ্য কোন দিকে যায় সেটার দিকে তাকিয়ে গোটা বিশ্ব। সূত্র: বিবিসি বাংলা