বিএনপিতে গণতন্ত্র নেই : ওবায়দুল কাদের
ঢাকা অফিস
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাজনৈতিক দল হিসাবে বিএনপিতে গণতন্ত্র নেই। তাই তারা যথা সময়ে দলের সম্মেলন করতে পারে না। তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগে গণতন্ত্র আছে। বিএনপিতে গণতন্ত্র নেই। তারা আমাদের এক বছর আগে সম্মেলন করেছে আজ পর্যন্ত তাদের সম্মেলন করতে পারেনি। তারা মিটিং আহ্বান করলেও তা হয় একটা ফ্লপ মিটিং।’ ওবায়দুল কাদের গতকাল রাজধানীর রমনা পার্ক রেস্তোরা প্রাঙ্গনে আওয়ামী লীগের ২১তম জাতীয় সম্মেলন উত্তর প্রীতিভোজ ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের শুরুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ সব কথা বলেন। আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি মিটিং আহ্বান করেও সেই মিটিং হয় একটা ফ্লপ মিটিং। সেখান থেকে তারা কোন কর্মসূচি নিতে পারে না। কর্মীরা হতাশ হয়। তাদের কোনো ঘরোয়া গণতন্ত্র নেই।
তিনি বলেন, বিএনপির জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, ওয়ার্ড পর্যায়ের কমিটির বেশিরভাগ জায়গায় অস্তিত্ব নেই। কবে কমিটি হয়েছে কেউ জানে না। তাই বিএনপি নেতাদের মুখে এই কথা শোভা পায় না।
‘দেশ পরিবারতন্ত্রের দিকে যাচ্ছে’ বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের আরো বলেন, বেগম খালেদা জিয়া, তারেক জিয়া এরা কোন পরিবারের নেতা আমরা জানতে চাই। বিএনপির মূল নেতৃত্বই তো একটি পরিবার থেকে এসেছে। এটা বেগম জিয়া ও তার সন্তান তারাই তো হর্তা কর্তা বিধাতা। এখানে মির্জা ফখরুল ইসলাম তো তাদেরই ইয়েস ম্যান হিসেবে কাজ করেন।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগে শেখ হাসিনা আমাদের সভাপতি। তিনি বঙ্গবন্ধু কন্যা হিসেবে আসেননি। শেখ হাসিনা তার যোগ্যতার বদৌলতে প্রমান করেছেন বাংলাদেশের মুক্তি সংগ্রামের তিনিই হচ্ছেন অসীম সাহসী কান্ডারি। যার কারণে বাংলাদেশ, উন্নয়ন অর্জনে বিশ্ব সভায় বিশেষ মর্যাদায় মাথা উচু করে দাঁড়িয়েছে। এই সাফল্যে স্বাপ্নিক রুপকার হচ্ছে শেখ হাসিনা। ‘বিএনপি আন্দোলনের অংশ হিসেবে সিটি নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন।’ মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যের জবাবে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, নির্বাচন এখনো হলোই না। কেমন নির্বাচন এটা তারা এখনই আগাম মন্তব্য করলেন। এটা বিএনপির পুরোনো স্বভাব। তারা এভাবেই কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিএনপি নির্বাচন হওয়ার আগেই হেরে গেছে। তাদের মুখে এখনই পরাজয়ের সুর। তারা আন্দোলনে পরাজিত, নির্বাচনে কিভাবে বিজয়ী হবে। বিএনপি আন্দোলনে পরাজিত নির্বাচনেও তারা পরাজিত হবে এটা ভালো করেই জানে। এজন্য তারা কথামালার চাতুরী দিয়ে নির্বাচন হওয়ার আগেই নির্বাচন সম্পর্কে আগাম বিষোধগার করে, সরকারি দলকে অভিযুক্ত করে যাচ্ছে।
এ সময়ে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন ও মির্জা আজম, সংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রোকেয়া সুলতানা, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদু নাহার লাইলী, দপ্তর সম্পাদক ব্যরিষ্টার বিপ্লব বড়য়া, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রিয়াজুল কবির কাওছার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি পরিবারতন্ত্র লালন করে : তথ্যমন্ত্রী
ঢাকা অফিস
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপি পরিবারতন্ত্রের প্রধান পৃষ্টপোষক এবং তারা পরিবারতন্ত্র লালন করে। আওয়ামী লীগে পরিবারতন্ত্র চলছে, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্য প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, “পরিবারতন্ত্রের মধ্যে বসে তিনি যে কথা বলেছেন, এটি তার দলের বেলায়ই প্রযোজ্য।” গতকাল সচিবালয়ে তথ্যমন্ত্রী তার দপ্তরে সাংবাদিকদের প্রেসব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন। সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ইশরাক হোসেনকে কোন যোগ্যতায় ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনে মেয়র পদে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে প্রশ্ন রেখে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, তিনি কি আগে কখনো রাজনীতি করেছেন? নাকি সাদেক হোসেন খোকার ছেলে বলেই তাকে এই পদে মনোনয়ন দেয়া হয়েছে। তাবিথ আউয়ালের বাবা বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান। প্রথমবার যখন মনোনয়ন দেয়া হয়, তখন তিনি কোন যোগ্যতায় পেয়েছিলেন? ভাইস চেয়ারম্যানের ছেলে যোগ্যতায়!।’
আরো উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া তো তার দলের মধ্যে পুরোপুরি পরিবারতন্ত্র চালু করেছেন। তার বোন খুরশিদ জাহান হককে তিনি প্রথমে মহিলা দলের নেতৃত্ব দেন, দলের ভাইস চেয়ারম্যান বানান এরপর তাকে তিনি মহিলা ও শিশু বিষয় মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বানান। তার ভাই সাঈদ ইস্কান্দরকে তিনি এমপি বানান এবং দলে তার জন্য বিশেষ সম্পাদকের পদ তৈরী করা হয়েছিল। তার আরেক ভাই শামীম ইস্কান্দর কোনো গুরুত্বপূর্ণ পদে না থাকলেও বিমানের ব্যবসা বাণিজ্য থেকে শুরু করে সবকিছু তিনিই নিয়ন্ত্রণ করতেন।’ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়ার আরেক বোন ব্রুনাইতে থাকেন। তার ছেলে সাইফুল ইসলাম ডিউককে ২০০১ সালে ক্ষমতায় আসার পর বেগম খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রীর একান্ত সচিব হিসেবে নিয়োগ দিয়েছিলেন। এ পদে থেকে তিনি যেমন ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন, তেমনি অনেক কলংকেরও জন্ম দিয়েছেন। ক্ষমতার অপব্যবহার করে একটি সরকারি বাড়ি দখল করেছিলেন। তার আরেক ভাই তুহিন নীলফামারী বিএনপির সভাপতি অর্থাৎ খালেদা জিয়ার ভাগ্নে।’ ‘এছাড়া আমরা একদিন সকাল বেলা দেখতে পেলাম, বেগম খালেদা জিয়ার পুত্র জনাব তারেক রহমান হঠাৎ বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব’ উল্লেখ করে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ‘তিনি (তারেক রহমান) কোনো রাজনীতির মধ্যে ছিলেন না, ওয়ান ফাইন মর্নিং আমরা দেখলাম তিনি বিএনপি সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব। এখন বিএনপি চেয়ারম্যান হচ্ছেন বেগম খালেদা জিয়া আর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান হচ্ছেন খালেদা জিয়ার পুত্র তারেক রহমান। দু’জনই শাস্তিপ্রাপ্ত আসামী, দুর্নীতি এবং ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার দায়ে তারেক রহমানের যাবজ্জীবন কারাদন্ড হয়েছে।’
এসকে সিনহার বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
ঢাকা অফিস
ফারমার্স ব্যাংক (বর্তমানে পদ্মা ব্যাংক) থেকে ৪ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে আত্মসাতের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার (এসকে) সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দেয়া চার্জশিট আমলে নিয়ে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ রোববার এ আদেশ দেন।
দুদকের আইনজীবী মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেয় দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। আদালতে এ চার্জশিট জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক বেনজীর আহমেদ। এর আগে ৪ ডিসেম্বর কমিশনের সভায় ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্রটির (চার্জশিট) অনুমোদন দেয়া হয়। বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন দুদকের মহাপরিচালক (বিশেষ তদন্ত) সাঈদ মাহবুব খান। মামলার অন্য আসামিরা হলেন- ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, সাবেক এসইভিপি (মাধ্যমিক শিক্ষা উন্নয়ন কর্মসূচি) গাজী সালাহউদ্দিন, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সাফিউদ্দিন আসকারী, সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. জিয়াউদ্দিন আহমেদ, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, টাঙ্গাইলের বাসিন্দা মো. শাহজাহান, একই এলাকার নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা, রনজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায়। এ মামলা থেকে মৃত হিসেবে প্রমাণ মেলায় চার্জশিট থেকে এক আসামির নাম বাদ দেয়া হয়েছে এবং নতুন করে একজনের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
গত বছরের ১০ জুলাই দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকায় মামলাটি করা হয়। দুদক পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন এ মামলার বাদী। ফারমার্স ব্যাংকের দুটি হিসাব থেকে ৪ কোটি টাকা ঋণ নেয়ার ক্ষেত্রে জালিয়াতির ‘প্রমাণ’ পাওয়ার তথ্য গত বছরের অক্টোবরে সাংবাদিকদের জানিয়েছিলেন দুদক চেয়ারম্যান ইকবাল মাহমুদ। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, ফারমার্স ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ৪ কোটি টাকা ঋণ পেয়েছিলেন কথিত ব্যবসায়ী শাহজাহান ও নিরঞ্জন। সেই টাকা রনজিৎ চন্দ্র সাহার হাত ঘুরে বিচারপতি এস কে সিনহার বাড়ি বিক্রির টাকা হিসেবে দেখিয়ে তার ব্যাংক হিসাবে ঢুকেছে বলে অভিযোগ পাওয়ার পর তদন্তে নামে দুদক।
ইরানের ৫২টি লক্ষ্যবস্তুতে হামলার হুঁশিয়ারি ট্রাম্পের
খুলনাঞ্চল ডেস্ক
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প শনিবার হুঁশিয়ার করে বলেছেন, ইরান আমেরিকান কোন নাগরিক কিংবা সম্পদের ওপর হামলা চালালে যুক্তরাষ্ট্র তেহরানের ৫২টি লক্ষ্যবস্তুতে খুব দ্রুত ও কঠোরভাবে পাল্টা হামলা চালাবে। এক টুইট বার্তায় ট্রাম্প ইরাকে ইরানের ক্ষমতাধর জেনারেল কাশেম সোলাইমানিকে হত্যায় শুক্রবারের ড্রোন হামলার সমর্থন করেন। একইসঙ্গে তিনি ১৯৭৯ সালে তেহরানের মার্কিন দূতাবাস দখলে নেয়ার পরবর্তী এক বছর ধরে যে ৫২ জন মার্কিন নাগরিককে জিম্মি করে রাখা হয়েছিল ৫২টি লক্ষ্যবস্তু তাদের প্রতিনিধিত্ব করছে বলে জানান। ট্রাম্প আরো বলেন, এসব লক্ষ্যবস্তুর কিছু কিছু খুবই উচ্চপর্যায়ের এবং ইরান ও ইরানের সংস্কৃতির জন্যে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি বলেন, আমরা খুবই দ্রুত এবং কঠোর হামলা চালাবো। কারণ যুক্তরাষ্ট্র আর কোন হুমকি প্রত্যাশা করে না। ট্রাম্প বলেন, সোলাইমানি বাগদাদে মার্কিন সৈন্যদের ওপর অচিরেই হামলা চালানোর পরিকল্পনা করছিল। তাকে আরো আগেই হত্যা করা উচিত ছিল বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এদিকে সোলাইমানিকে হত্যার পর ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি ভয়াবহ প্রতিশোধ নেয়ার অঙ্গীকার করেন। ইতোমধ্যে সুলাইমানির ডেপুটি ইসমাইল কানিকে তার স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে।
তারেকসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা, তদন্ত করবে পুলিশ
ঢাকা অফিস
প্রধানমন্ত্রীকে হত্যার হুমকির অভিযোগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলাটি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত সিকদার গতকাল এ আদেশ দেন। তিনি রাজধানীর হাতিরঝিল থানার পুলিশকে আগামী ১৮ ফেব্রুয়ারি তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন। আদালতের পেশকার আরিফ হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে ২ জানুয়ারি ঢাকা মহানগর হাকিম সত্যব্রত সিকদারের আদালতে মামলাটি করেন বাংলাদেশ জননেত্রী পরিষদের সভাপতি এবি সিদ্দিকী। বিচারক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে রোববার আদেশ দেবেন বলে জানান।
মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- বিএনপির ঢাকা মহানগর উত্তর কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান রবিউল আউয়াল সোহেল, জামায়াত নেতা আফজাল হোসেন, মুজিবুর রহমান, আব্দুল করিম, দিদারুল ইসলাম, জাকির হোসেন, আব্দুল হালীম, সাদ্দাম হোসেন, আব্দুল্লাহ, মো. মজিবুর রহমান শেকু। মামলার বাদী এবি সিদ্দিকী বলেন, মামলার আসামিরা সবাই তারেক রহমানের গুন্ডা বাহিনী। তারেক রহমান লন্ডনে বসে এদের নির্দেশ দিয়েছে। তারা আমাকে ও বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন।
মুজিব বর্ষে বাংলাদেশে থেকে সাড়ে ৭ লাখ কর্মী বিদেশে প্রেরণ করা হবে : প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রী
ঢাকা অফিস
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেছেন, মুজিব বর্ষে বাংলাদেশ থেকে সাড়ে ৭ লাখ কর্মী বিদেশে প্রেরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মুজিব বর্ষের আহবান দক্ষ হয়ে বিদেশ যান এই শ্লোগানকে সামনে রেখে নতুন নতুন দেশের শ্রম বাজারে দক্ষ কর্মী প্রেরণ করা হবে। রোববার দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে রিপোর্টাস ফর বাংলাদেশী মাইগ্রেন্টস আয়োজিত ‘নতুন বছরে সরকারের শ্রম বাজার পরিকল্পনা’ শীর্ষক মিট দ্যা প্রেস অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের তিনি এ সব কথা বলেন। মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা ও অতিরিক্ত সচিব আহমেদ মনিরুস সালেহীন, আরবিএম সভাপতি ফিরোজ মান্না ও সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল হক বক্তব্য রাখেন। এ সময় মন্ত্রণালয় অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
ইরাক তথা মধ্যপ্রাচ্যে চলমান উত্তেজনায় সেখানকার প্রবাসী শ্রমিকদের জন্য সরকারের পরিকল্পনার বিষয়ে জানতে চাইলে মন্ত্রী ইমরান আহমেদ বলেন, যেখানে প্রবাসী শ্রমিক থাকে তাদেরকে সে দেশের লোকাল সরকার প্রোটেকশন দেয়। তারপরেও আমাদের একটা এসকেপ প্ল্যান থাকা উচিত। আগামীকাল সোমবার আমরা পররাষ্ট্র সচিবের সাথে বিষয়টি নিয়ে আলোচনায় বসবো। মন্ত্রী বলেন, কম্বোডিয়া, সিশেলস, হারজেগোবিনা, রোমানিয়া, হাঙ্গেরী, পোল্যান্ড ও চীন ইত্যাদিতে কর্মী প্রেরণ শুরু করা হয়েছে। এ বছর আরো বেশী নতুন নতুন দেশে কর্মী প্রেরণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। মালয়েশিয়া এবং সংযুক্ত আরব অমিরাতে বন্ধ বাজার খোলার জন্য সফল উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সেলিম রেজা জানান, ২০১৯ সালে ৭ লাখ ১ হাজার কর্মী বিদেশ গিয়েছে। এর মধ্যে ১ লাখ ১১ হাজার নারী কর্মী বিদেশ গিয়েছেন। নারী কর্মীদের ৫০ ভাগ বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা।
তিনি বলেন, অভিযোগ ও অনিয়মের কারণে ২১৪টির মধ্যে ১৭২টি অভিযুক্ত রিক্রুটিং এজেন্সীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১টি বাতিল করা হয়েছে। ২টি স্থগিত করা হয়েছে। ২০১৯ সালে প্রবাসীদের প্রেরিত বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারেরও বেশি। যা ২০১৮ সালের তুলনায় ১৬ দশমিক ২ ভাগেরও বেশি। সরকার শতকরা ২ ভাগ প্রণোদনা ঘোষণা করায় এর পরিমাণ চলতি বছর ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে। মন্ত্রী বলেন, সরকার এক লাখ ড্রাইভারকে প্রশিক্ষণ দিয়ে বিদেশ প্রেরণ করার উদ্যোগ নিয়েছে। ৪১টি উপজেলায় দক্ষতা উন্নয়নে প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করার কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ৬০টি উপজেলায় আরো ৬০টি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করার প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।
মুজিববর্ষে রেমিট্যান্স ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়ানোর আশা
ঢাকা অফিস
মুজিববর্ষে রেমিট্যান্স বাড়ার আশাবাদ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজার। ২০২০ সালকে মুজিববর্ষ হিসেবে ঘোষণা করেছে সরকার। এই বছর প্রবাসীদের পাঠানো রেমিট্যান্স ২০ বিলিয়ন ডলার ছাড়িয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের সচিব সেলিম রেজা। রবিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুরে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে রিপোর্টার্স ফর বাংলদেশি মাইগ্রেন্ট (আরবিএম) আয়োজিত ‘মিট দ্য প্রেস’ অনুষ্ঠানে এই আশা ব্যক্ত করেন সচিব। সেলিম রেজা বলেন, ২০১৯ সালে প্রবাসীদের প্রেরিত বৈদেশিক মুদ্রার পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ১৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের বেশি যা ২০১৮ সালের তুলনায় ১৬ দশমিক ২ শতাংশ বেশি। সরকার রেমিট্যান্সের ওপর ২ শতাংশ প্রণোদনা ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে ২০২০ সালে রেমিটেন্সের পরিমাণ ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে যাবে বলে আশা করা যায়। গত অর্থ বছরে জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত রেমিটেন্সের পরিমাণ ছিল ৬.২৮ বিলিয়ন ডলার। আর চলমান অর্থ বছরের জুলাই থেকে নভেম্বর পর্যন্ত এর পরিমাণ ৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন ডলার। গত বছরের তুলনায় প্রাপ্ত রেমিট্যান্সের পরিমাণ ২২ দশমিক ৬৭ শতাংশ বেশি।
২০১৯ সালে ৭ লাখ ১ হাজার কর্মীর বৈদেশিক কর্মসংস্থান হয়েছে উল্লেখ করে সচিব বলেন, এই সংখ্যা মন্ত্রণালয় যে লক্ষ্য নির্ধারণ করেছিল তার তুলনায় প্রায় ৫১ হাজার বেশি। মন্ত্রণালয়ের এ বছর কর্মী পাঠানোর লক্ষ্যমাত্রা ছিল সাড়ে ৬ লাখ। বিদেশে কর্মসংস্থানের জেলাভিত্তিক বিশ্লেষণে শীর্ষ পাঁচ জেলা হচ্ছে, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, চট্টগ্রাম, টাঙ্গাইল ও ঢাকা। সর্বোচ্চ সংখ্যক কর্মী গেছেন সৌদি আরব। এরপর গেছে ওমান, কাতার ও সিঙ্গাপুরে। মোট কর্মসংস্থানের মধ্যে দক্ষকর্মী ছিল ৪৪ শতাংশ ও আধা দক্ষ ২০ শতাংশ। নারীকর্মীর সংখ্যা ছিল ১ লাখ ১১ হাজার। বিদেশগামী নারীকর্মীদের সামাজিক অবস্থা বিশ্লেষণ করে দেখা যায় যে তাদের মধ্যে ৫০ শতাংশ বিধবা ও বৈবাহিক সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়েছে এমন নারী ছিলেন ২০ শতাংশ। তাই তাদের পারিবারিক ও ব্যক্তিগত অবস্থার উন্নয়নে মন্ত্রণালয় নারীকর্মীদের অভিবাসনকে অধিকতর সুরক্ষা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালক শামসুল আলম, রিপোর্টার্স ফর বাংলাদেশি মাইগ্রেন্টস (আরবিএম) এর সভাপতি ফিরোজ মান্না, সাধারণ সম্পাদক মাসুদুল হক প্রমুখ।
মোহাম্মদ আলীকে ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর পদ থেকে অপসারণ
ঢাকা অফিস
আইনজীবী মোহাম্মদ আলী। প্রসিকিউটরের পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে তাকে। একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচারে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন টিম থেকে প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলীকে অপসারণ করেছে আইন মন্ত্রণালয়। রবিবার (৫ জানুয়ারি) আইন মন্ত্রণালয়ের উপ-সলিসিটর (জিপি/পিপি) মো. মনিরুজ্জামানের স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলীকে শৃঙ্খলা ও পেশাগত আচরণ ভঙ্গ এবং গুরুতর অসদাচরণের দায়ে ৫ অক্টোবর ২০১১ তারিখে প্রদত্ত নিয়োগ বাতিলক্রমে প্রসিকিউটর পদ হতে অপসারণ করা হলো।’ এর আগে ২০১৬ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি মোহাম্মদ আলীকে প্রসিকিউশনের সব দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
চিফ প্রসিকিউটরের পক্ষ থেকে পাঠানো অব্যাহতি পত্রে বলা হয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রধান কৌঁসুলির কার্যালয়ের প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলীকে আলবদর শামসুল হক গং (রেজি নং-৩৭, তাং- ১২/১০/২০১৪), শামসুল হোসেন তরফদার এবং অন্যান্য মামলার তদন্ত সংশ্লিষ্টতা থেকে প্রত্যাহার করা হলো। পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের পরিচালনাধীন কোনও মামলা পরিচালনার কাজে অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হলো। এ আদেশটি জনস্বার্থে দেওয়া হলো। তবে প্রসিকিউশন সূত্র থেকে জানা যায়, ময়মনসিংহের জাতীয় পার্টির বর্তমান এমপি হান্নানের মামলায় মোহাম্মাদ আলী প্রসিকিউটর সুলভ আচরণ করেননি। যার কারণে প্রসিকিউশন থেকে এ ধরনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তাছাড়া এর আগেও প্রসিকিউশনের অন্য সদস্যরা মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে পেশাগত অসদাচরণের অভিযোগ এনে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
২০১৪ সালের জুন মাসে প্রসিকিউটরদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি অভিযোগের ঘটনা ঘটে। প্রসিকিউটর মোহাম্মদ আলী অপর প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আর্জি জানিয়ে ভারপ্রাপ্ত প্রধান কৌঁসুলি সৈয়দ হায়দার আলী বরাবর আবেদন করেন। পরে প্রসিকিউটর তুরিন আফরোজ মোহাম্মদ আলীর বিরুদ্ধে মানসিক হয়রানির অভিযোগ এনে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত চিফ প্রসিকিউটর বরাবর আবেদন জানান। ২০১৪ সালের মার্চে তুরিন আফরোজ ও মোহাম্মদ আলী আরেক দফা পরস্পরের বিরুদ্ধে পাল্টাপাল্টি অভিযোগ এনেছিলেন। সে সময় আইনমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘প্রসিকিউশন টিমের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব থাকলেও কাজে কোনও সমস্যা হচ্ছে না। কাজ ঠিকমতোই চলছে। তবু আমি সমস্যা নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেবো।’
রেজিস্ট্রেশন করে মুজিববর্ষের ক্ষণগণনার অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া যাবে
ঢাকা অফিস
বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর ক্ষণগণনা শুরুর অনুষ্ঠানে উপস্থিত থেকে এই ঐতিহাসিক মুহূর্তের অংশীদার হওয়া যাবে। এ জন্য অনলাইনে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। আজ সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকাল ৩টা থেকে মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) রাত ১২টা পর্যন্ত এই রেজিস্ট্রেশন করা যাবে। রবিবার (৫ জানুয়ারি) বিকালে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে মুজিববর্ষ উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানানো হয়। মুজিববর্ষ শুরু হবে আগামী ১৭ মার্চ। শেষ হবে ২০২১ সালের ১৭ মার্চ। এর ক্ষণগণনা শুরু হবে আগামী ১০ জানুয়ারি। এদিন বিকাল ৫টায় বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকীর লোগো এবং ক্ষণগণনা আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে তেজগাঁও পুরাতন বিমানবন্দরে। এতে ১০ থেকে ১২ হাজার মানুষ অংশ নিতে পারবেন।
সংবাদ সম্মেলনে মুজিববর্ষের উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম, শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি ও শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরীর উপস্থিতিতে প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী সাংবাদিকদের এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন।
কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী বলেন, রেজিস্ট্রেশনের জন্য বাবহঃ.সঁলরন১০০.মড়া.নফ ওয়েবপেইজে ডিজিটাল রেজিস্ট্রেশন ফরমে আবেদনকারীর নাম, জাতীয় পরিচয়পত্রের নম্বর, মোবাইল নম্বর, ইমেইল ঠিকানা যথাযথভাবে পূরণ করে রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন করতে হবে। রেজিস্ট্রশন সম্পন্নকারীরা অনুষ্ঠানে প্রবেশ করতে পারবেন। রেজিস্ট্রেশনের পর ইনভাইটেশন ফরম প্রিন্ট করে সঙ্গে আনতে হবে। অনুষ্ঠানে জানানো হয়, সারা দেশে বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের প্রতীকী আবহ থাকবে। একটি বিমান অবতরণ করবে, আলোক প্রক্ষেপণ থাকবে। বঙ্গবন্ধুকে যেভাবে সংবর্ধনা দেওয়া হয়েছিল সেই প্রতীকী অভ্যর্থনা ও গার্ড অব অনার দেওয়া হবে। পুষ্পস্তবক অর্পণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি থাকবে। সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সারদেশে ক্ষণগণনার যন্ত্র বসানো হবে। জাতীয় সংসদ ভবনের সামনে, হাতিরঝিল, উত্তরা ও বাংলাদেশ সচিবালয়ে ক্ষণগণনার যন্ত্র বসানো হচ্ছে। এছাড়া ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনসহ সারা দেশের সব সিটি করপোরেশন এলাকায় ১৮টি ক্ষণগণনার যন্ত্র বসানো হচ্ছে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বে সিটি করপোরেশন ছাড়াও ৫৩টি জেলায় ক্ষণগণনার যন্ত্র বসানো হচ্ছে। টুঙ্গিপাড়া ও মুজিবনগরে বিশেষভাবে ক্ষণগণনার দুটি যন্ত্র বসানো হচ্ছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়সহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ও ক্ষণগণনার ব্যবস্থা করছে।
জেলা ও সিটি করপোরেশন ক্ষণগণনা মনিটরিং করা হবে কেন্দ্রীয়ভাবে। এছাড়া উপজেলাগুলোতে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের মাধ্যমে ক্ষণগণনার যন্ত্র বসানো হচ্ছে। জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে মুজিবর্ষের মূল অনুষ্ঠানে দুই লাখ মানুষ অংশ নিতে পারবেন বলে জানান কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী। মুজিববর্ষের প্রথম দিন আগামী ১৭ মার্চ প্রথম ভাগে আলোচনা, বিকালে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হবে বলেও জানান তিনি।
এ বছর হজে যাবেন ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জন
খুলনাঞ্চল রিপোর্ট
এ বছর (২০২০) বাংলাদেশ থেকে হজে যাবেন ১ লাখ ৩৭ হাজার ১৯৮ জন। এর মধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় ১৭ হাজার ১৯৮ ও বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় এক লাখ ২০ হাজার জন। রবিবার (৫ জানুয়ারি) সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির বৈঠকে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
কমিটির সভাপতি হাফেজ রুহুল আমীন মাদানীর সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, জিন্নাতুল বাকিয়া, তাহমিনা বেগম এবং রতœা আহমেদ অংশগ্রহণ করেন। বৈঠকে জানানো হয়, ২০২০ সালে (১৪৪১ হিজরি) হজ কার্যক্রম সুষ্ঠু ও সুন্দরভাবে পরিচালনার জন্য হজ ক্যালেন্ডার তৈরি করা হয়েছে। এ বছর শতভাগ হজযাত্রীর ইমিগ্রেশন মক্কা রুটের মাধ্যমে ঢাকায় সম্পন্ন করার উদ্যোগ গ্রহণ করা হচ্ছে। কমিটি হজযাত্রীদের আরও উন্নত চিকিৎসাসেবা নিশ্চিত করতে হজ মেডিক্যাল টিমে সহায়ক হিসেবে মেডিক্যাল ডিপ্লোমা সার্টিফিকেটধারীদের অগ্রাধিকার দেওয়ার সুপারিশ করে। বৈঠকে কমিটি প্রতিটি সংসদীয় আসনে মসজিদের মেরামত/সংস্কার করার জন্য ধর্ম মন্ত্রণালয় থেকে বার্ষিক ১০ লাখ টাকা, মাদ্রাসার জন্য ৫ লাখ টাকা এবং মন্দিরের জন্য ৫ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখার সুপারিশ করে। বৈঠকে হিন্দু ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্টের ট্রাস্টি বোর্ড গঠন ও কল্যাণ ট্রাস্টের জন্য নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য স্থায়ী জমি বরাদ্দ করার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। এছাড়া ওয়াকফ সম্পত্তির ওয়াকফ আওলাদ ও ওয়াকফ লিল্লাহের পৃথক তালিকা আগামী বৈঠকে উপস্থাপনের জন্য মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জাতীয় নদী রক্ষা কমিশনকে গতিশীল করতে আট সুপারিশ
খুলনাঞ্চল রিপোর্ট
দেশের নদ-নদী রক্ষায় ২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠা করা হয় জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন। কিন্তু সুপারিশ ছাড়া আর কিছুই করার এখতিয়ার নেই এই কমিশনের। ফলে পরিদর্শন, সভা, সেমিনারের মধ্যেই সীমাবদ্ধ রয়েছে জাতীয় এই কমিশনের কাজ। সাধারণ মানুষের তীব্র সমালোচনা আর উচ্চ আদালতের রায়ের পর কমিশনকে একটি কার্যকর রূপ দেওয়ার চেষ্টা চলছে। কোথায় কতটা সংস্কার করলে শক্তিশালী রূপ নিয়ে কাজ শুরু করা সম্ভব হবে, সে বিষয়ে কমিশনের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, আইন সংশোধনই প্রধান কাজ। আইনে যদি কাজ করার ক্ষমতা দেওয়া হয়, তাহলে অন্য সবকিছু এমনিতেই সংস্কার হয়ে যাবে। এরপরও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আপাতত আটটি বিষয়ে আলোকপাত করলেই কমিশন গতিশীল হবে।
এ বিষয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান হাওলাদার বলেন, আমরা আমাদের সুপারিশগুলো প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠিয়েছি। বেশ কয়েক দফায় আমরা সংসদীয় স্থায়ী কমিটিকেও জানিয়েছি। আমাদের সুপারিশগুলো বাস্তবায়ন হলে নদী কমিশন শক্তিশালী হবে। আর নদী কমিশন শক্তিশালী হলে নদী দখল ও উচ্ছেদ অভিযান আরও গতি পাবে। এখন আমরা পরিদর্শন করি, জেলা প্রশাসকদের বলি, অনেক সময় আমাদের কথা তারা শোনেন। আবার কখনও শোনেন না। আমরা যদি স্বায়ত্তশাসিত একটি সংস্থা হই, তখন তারা আমাদের কথা শুনতে বাধ্য। তিনি আরও বলেন, নদী কমিশন আইন ২০১৩ এর সংশোধনের কাজ চলছে। এই আইনটি সংশোধিত হলে আমাদের কাজের গতি আরও বেড়ে যাবে। জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন বেশ কিছু সুপারিশ করেছে। তারমধ্যে আট বিষয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। সেগুলো হলো−সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সিদ্ধান্ত, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সিদ্ধান্ত এবং হাইকোর্টের রায়ে প্রদত্ত আদেশ ও নির্দেশনা অনুযায়ী জাতীয় নদী রক্ষা আইন-২০১৩ সংশোধন করা। এছাড়া বর্তমানে কমিশনে চেয়ারম্যান ছাড়া মাত্র একজন সার্বক্ষণিক সদস্য থাকায় কাজের গতি বাড়াতে এ সংখ্যা বাড়িয়ে ৪ জন সদস্য সার্বক্ষণিকভাবে নিয়োগ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি সহযোগী বিশেষজ্ঞও চেয়েছে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন।
এছাড়া সুপারিশে বলা হয়েছে, উচ্ছেদ ও উদ্ধার কার্যক্রমে জেলা প্রশাসককে সহায়তা করার জন্য জনবল ও টাকা দেওয়া জরুরি। সীমানা নির্ধারণের জন্যও প্রকল্পে অর্থায়ন জরুরি। বিভাগীয় নদী কমিশনের সভাপতির মাধ্যমে উচ্ছেদ কার্যক্রম করতে যেসব লজিস্টিক সাপোর্ট দরকার সেগুলো কেনার জন্যও অর্থের প্রয়োজন। এসব টাকা কমিশনের মাধ্যমে দেওয়ার ব্যবস্থা করা গেলে কাজ আরও দ্রুত হতো। কাজের জন্য এখন কমিশন শুধু জেলা প্রশাসকদের চিঠি দেয়। আর পর্যাপ্ত বরাদ্দ না থাকায় জেলা প্রশাসকরা সবচেয়ে কম গুরুত্ব দিয়ে নদী উদ্ধারের কাজ করে। সুপারিশে নিরাপত্তার বিষয়টিকে প্রাধান্য দিয়ে বলা হয়েছে, নিরাপত্তার ক্ষেত্রেও কমিশন কম গুরুত্ব পায়। অথচ নদী উদ্ধারের কাজগুলো খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। কমিশনের কার্যালয়সহ বিভাগ, জেলা ও উপজেলায় পরিদর্শন ও পরিবীক্ষণ এবং নদ-নদী উদ্ধার ও উচ্ছেদ কাজে নিরাপত্তা দিতে কমিশনের আওতায় পুলিশ মোতায়েনের স্থায়ী ব্যবস্থার প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে সুপারিশমালায়। একইভাবে নদ-নদী রক্ষায় সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা বিধানে নৌ-পুলিশ কমিশনের আইনের আওতাধীন নিয়োগের ব্যবস্থা করা প্রয়োজন। এখন নৌ-পুলিশ কমিশনের অধীনে নেই। কমিশন চাইলে তাদের সহায়তা করে।
সুপারিশে নদী দখল রোধে জনসচেতনতা বাড়াতেও বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, জনসচেতনতা বাড়াতেও বরাদ্দ খুব জরুরি। কিন্তু এজন্যও পর্যাপ্ত অর্থায়ন প্রয়োজন। যাতে করে বিভাগীয়, জেলা ও উপজেলা নদী রক্ষা কমিটিসহ নদী রক্ষায় নিয়োজিত সংগঠনগুলো ও সর্বোপরি প্রিন্ট ও ই-মিডিয়া, সোশ্যাল মিডিয়া এবং শিল্প প্রতিষ্ঠানকে সম্পৃক্ত করে ব্যাপক প্রচারণা চালানো যায়।
আট দাবির শেষ গুরুত্বপূর্ণ দাবি হচ্ছে, কর্মকর্তাদের অভিজ্ঞতার জন্য প্রশিক্ষণ ও বিদেশে গিয়ে উচ্চশিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন। এই খাতে গবেষণা ও সমীক্ষার জন্যও অর্থায়ন দরকার। এছাড়া নৌপথে নদ-নদী পরিদর্শন ও পরিবীক্ষণের জন্য জলযানের ব্যবস্থা করা এবং গাড়ির ব্যবস্থা রাখার সুপারিশ করেছে জাতীয় নদী রক্ষা কমিশন।- বাংলা ট্রিবিউন
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সাক্ষাৎ চেয়ে বিএনপির চিঠি
ঢাকা অফিস
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে আজ সোমবার (৬ জানুয়ারি) বিকালে সাক্ষাৎ করতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে দলীয় মহাসচিবের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধি দল। এজন্য দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার একান্ত সচিব এ.বি.এম. আব্দুস সাত্তার গতকাল রবিবার (৫ জানুয়ারি) স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর একটি চিঠি পাঠিয়েছেন। বিএনপির চেয়ারপাসনের মিডিয়া উইং সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য জানান। শায়রুল জানান, সোমবার বিকাল ৩ টায় বিএনপি’র মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে দলটির জাতীয় স্থায়ী কমিটির ১১ জন সদস্য সাক্ষাৎ করতে চান। এজন্য তাদের সাক্ষাতের সময় চেয়ে চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ.বি.এম. আব্দুস সাত্তারের স্বাক্ষরে একটি চিঠি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বরাবর পাঠানো হয়েছে।
বিএনপি সূত্র জানায়, খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাতের সুযোগ চাওয়াসহ ঢাকার দুই সিটি করপোরেশনের ভোটে দল সমর্থিত প্রার্থী ও তার এজেন্টদের হয়রানি বন্ধ করার বিষয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করতে চায় বিএনপি।
ইভিএমের তুলনায় ভোটারদের স্বাচ্ছন্দ্য কাগজের ব্যালটেই : মির্জা ফখরুল
ঢাকা অফিস
‘ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)’ পদ্ধতির তুলনায় প্রচলিত কাগজের ব্যালটে ভোট দিতে ভোটাররা স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। রবিবার (৫ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে বিতর্কিত ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) পদ্ধতির বিরুদ্ধে বিএনপির অবস্থান শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে দলটি। মির্জা ফখরুল বলেন, ইভিএম ব্যবহার নিশ্চয়ই ভোটারদের জন্য সহজ ও বোধগম্য কোনও পদ্ধতি নয়। আমাদের সহজ-সরল ভোটাররা ইভিএমের মতো জটিল প্রক্রিয়ায় অভ্যস্ত নয় এবং সেভাবে যথাযথ প্রশিক্ষণও পায়নি। এক কথায় ইভিএম ভোটারবান্ধব কোনও পদ্ধতি নয়। সেই তুলনায় প্রচলিত কাগজের ব্যালট ব্যবহারেই তারা অধিকতর স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করেন। কাগজের ব্যালটে তারা তাদের ইচ্ছেমতো মার্কায় সিল মেরে সন্তুষ্ট হতে পারেন। যাকে ভোট দিতে চান তাকেই মূল্যবান ভোটটি দিতে পারেন। তিনি আরও বলেন, ইভিএমে ভোটার অডিট ট্রেইল না থাকায় বুঝতেই পারবেন না তিনি যাকে ভোট দিতে চেয়েছেন ভোটটি তিনিই পেলেন কিনা। আর এখানেই যত শুভঙ্করের ফাঁকি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, নির্বাচন হচ্ছে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থাপনায় রাষ্ট্রের প্রতি জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠার সর্বোৎকৃষ্ট পদ্ধতি। সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে নির্বাচন কমিশনের দায়িত্ব হচ্ছে রাষ্ট্রের মালিক জনগণের মালিকানা প্রতিষ্ঠায় বিশ্বাসযোগ্য, গ্রহণযোগ্য, স্বচ্ছ এবং সহজতর কর্মকৌশল ও পরিবেশে ভোটাধিকার নিশ্চিতকরণ। মূলত জনগণের অধিকার নিশ্চিতের এই গুরুদায়িত্ব যথাযথ পালনেই নির্বাচন কমিশনকে সাংবিধানিক ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। জনগণ যাতে কমিশনের যেকোনও সিদ্ধান্তকে তাদের প্রতি বিশ্বাস ও আস্থার জায়গা থেকে গ্রহণ করে। কিন্তু, আমরা অত্যন্ত সুস্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই, বর্তমান দলবাজ নির্বাচন কমিশনের প্রতি এ দেশের মানুষের ন্যূনতম আস্থা নেই। জনগণ ‘ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)’ পদ্ধতিতে তার ভোট প্রয়োগ করবে, একতরফা এই সিদ্ধান্ত গ্রহণের কোনও নৈতিক অধিকার বর্তমান নির্বাচন কমিশনের নেই।
১ কোটি ২০ লাখ প্রবাসী কর্মীর জন্য লেবার উইং মাত্র ২৯টি
ঢাকা অফিস
সরকারি হিসেব অনুযায়ী বিদেশে বাংলাদেশি কর্মী আছেন ১ কোটি ২০ লাখেরও বেশি। তাদের অধিকার, সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার প্রধান দায়িত্ব শ্রম কল্যাণ উইংয়ের। বিশ্বের ১৬৮টি দেশে বাংলাদেশি কর্মীরা গেলেও তাদের সুরক্ষা ও অধিকার রক্ষায় ২৬টি দেশের বাংলাদেশ মিশনে শ্রম কল্যাণ উইং আছে মাত্র ২৯টি। এর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদিআরব এবং ইতালিতে দুটি করে শ্রম কল্যাণ উইং আছে। কর্মীদের যথার্থ সেবা, সুরক্ষা এবং অধিকার নিশ্চিত করতে আরও শ্রম কল্যাণ উইং প্রয়োজন। একইসঙ্গে বিদ্যমান উইংগুলোর জনবলও বাড়ানোর প্রয়োজন বলে মনে করেন অভিবাসন বিশেষজ্ঞরা। আর এ বিষয়ে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ জানিয়েছেন,অর্থমন্ত্রণালয় ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে শ্রম কল্যাণ উইংয়ে জনবল বাড়ানোর বিষয়ে প্রস্তাবনা দেওয়া হয়েছে।
শ্রম কল্যাণ উইং প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের অধীন ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড প্রবাসী কর্মীদের কল্যাণমূলক সেবা প্রদান করে। শ্রম উইংয়ের প্রধান দায়িত্ব প্রবাসী কর্মীদের অধিকার সুরক্ষা ও নিরাপত্তা দেওয়া। শ্রম কল্যাণ উইংয়ের মাধ্যমে অভিবাসী কর্মীদের কর্মপরিবেশ, সুবিধা ও সমস্যাগুলো সরেজমিনে পর্যবেক্ষণ, অভিবাসী কর্মীদের বিরুদ্ধে চলা মামলা পরিচালনায় আইনগত সহায়তা দেওয়া, বিদেশে কারাদ-প্রাপ্ত বাংলাদেশি কর্মীদের বিবরণ সরকারের কাছে পাঠানো এবং কারাভোগকারী কর্মীদের আইনানুগ সহায়তা দেওয়া, যেসব অভিবাসী কর্মীর মৃত্যু হয়েছে তাদের মৃতদেহ দেশে পাঠানো, নিয়োগকর্তার কাছ থেকে ক্ষতিপূরণ আদায়, সংশ্লিষ্ট দেশে বাংলাদেশি কর্মীর প্রয়োজনীয় বিষয়ে সরকারকে নিয়মিত তথ্য দেওয়া, বিদেশে নিয়োগকর্তাদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগের মাধ্যমে বৈদেশিক কর্মসংস্থান সৃষ্টি, বিদেশে আটককৃত বা বিপদগ্রস্ত কর্মীদের দেশে ফিরিয়ে আনতে সহায়তা দেওয়াসহ প্রভৃতি কাজ করে থাকে।
কর্মীদের গন্তব্য ১৬৮ দেশ: প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের দেওয়া তথ্য মতে, বিশ্বের ১৬৮টি দেশে বাংলাদেশের কর্মীরা কাজ করতে যায়। ১৯৩টি দেশের মধ্যে ৫৮টি দেশে কূটনৈতিক সংযোগ রাখার জন্য বাংলাদেশের ৭৭টি মিশন রয়েছে, এর মধ্যে ৫৯টি পূর্ণাঙ্গ দূতাবাস। কয়েকটি দেশে রয়েছে একাধিক মিশন। আর ১৩৫টি দেশে বাংলাদেশের কোনও কূটনৈতিক মিশন নেই। অর্থাৎ বাংলাদেশি শ্রমিকরা কাজ করতে যান এমন ১৬৮টি দেশের মধ্যে ১১০টি দেশে কোনও শ্রম কল্যাণ উইং নেই।
যেসব দেশে শ্রম কল্যাণ উইং আছে: বিশ্বের ২৬টি দেশে ২৯টি শ্রম কল্যাণ উইং আছে। এর মধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাত, সৌদি আরব এবং ইতালিতে ২টি করে শ্রম কল্যাণ উইং আছে। এর বাইরে যেসব দেশে শ্রম কল্যাণ উইং আছে সেগুলো হলোÍ কাতার, লিবিয়া,ওমান, মালয়েশিয়া, বাহরাইন, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, ইরাক, জাপান, জর্ডান, ব্রুনাই, গ্রিস,অস্ট্রেলিয়া, মিশর, স্পেন, সুইজারল্যান্ড, মালদ্বীপ, রাশিয়া, চীন, থাইল্যান্ড, মরিশাস, কুয়েত এবং লেবানন। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, শ্রম কল্যাণ উইংগুলোতে ৪৩ জন কূটনৈতিক মর্যাদার কর্মকর্তা এবং ১৪৫ জন সহায়ক কর্মকর্তা ও স্টাফ নিয়োজিত আছে। লেবার কাউন্সিলর একজন এবং ফার্স্ট সেক্রেটারি একজন এই দুইজন মিলে মূলত একটি লেবার উইং পরিচালিত হয়ে থাকে। শ্রম কল্যাণ উইংগুলোর কার্যক্রম মনিটরিং ও মূল্যায়নের জন্য মন্ত্রণালয় থেকে নিয়মিত পরিদর্শন করা হয়ে থাকে।
লেবার উইংয়ে নেই পর্যাপ্ত নারী কর্মকর্তা: বিভিন্ন দেশে কাজ করতে যাওয়া নারী শ্রমিকের সংখ্যা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে এসব লেবার উইংয়ে আরও নারী কর্মকর্তার প্রয়োজন বলে করছে বেসরকারি গবেষণা সংস্থা রিফিউজি অ্যান্ড মাইগ্রেটরি মুভমেন্ট রিসার্চ ইউনিট (রামরু)। ২০১৯ সালের অভিবাসনের গতি প্রকৃতি নিয়ে তাদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০১৯ জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৯৭ হাজার ৪৩০ জন নারীশ্রমিক বিদেশ গেছেন। ডিসেম্বর মাসে নারী অভিবাসনের এই গতি অব্যাহত থাকলে ২০১৮ সালের তুলনায় এটি ৪ দশমিক ৫২ শতাংশ বেড়ে যাওয়ার কথা।
রামরুর প্রতিবেদন আরও বলছে, বর্তমানে ২৬টি দেশে ২৯টি শ্রম উইং কাজ করছে। এই উইংগুলোতে সর্বমোট ৩৯জন অ্যাটাশে কাজ করছেন। বাংলাদেশ থেকে নারী অভিবাসীদের সংখ্যা বেড়ে যাওয়ায় সংশ্লিষ্ট দেশগুলোর শ্রম বিভাগগুলোতে আরও অধিক হারে নারী সদস্য নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন। স্থানীয় ভাষাজ্ঞানের অভাব, দোভাষী এবং আইনি পরামর্শক নিয়োগের জন্য অপ্রতুল অর্থায়ন সেসব দেশে অভিবাসীদের ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে।
রামরুর প্রোগ্রাম পরিচালক মেরিনা সুলতানা বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, যেসব দেশে নারী কর্মীরা অধিক হারে যাচ্ছেন সেসব দেশে আরও বেশি করে নারী কর্মকর্তা নিয়োগ দেওয়া প্রয়োজন। নারী কর্মীদের সঙ্গে চুক্তি হয় সাধারণত দুই বছরের জন্য। এই দুই বছর তারা যাতে স্বস্তিতে কাজ করতে পারেন, সেখানে কোনও অসুবিধা হলে যেন তাকে সাপোর্ট দেওয়ার জন্য তাৎক্ষণিক মেকানিজম থাকে। না হলে নারীদের জন্য অভিবাসন অনেক কঠিন হয়ে দাঁড়ায়।
তিনি আরও বলেন, সামগ্রিকভাবে লেবার উইং বাড়ানোর প্রয়োজন আছে। না হলে কোন দেশে কতজন শ্রমিক আছে সেটার পারসেন্টেজ হিসাব বের করে লেবার উইং দেওয়া উচিত। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে যে পরিমাণ কর্মী যায় সে পরিমাণ কর্মকর্তা আমাদের নেই। বিদেশে কর্মীদের অভিভাবক বলতে যে কিছু একটা আছে এই জায়গায় কাজ করার প্রয়োজন আছে বলেও মনে করেন তিনি।
বিএমইটির তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯ সালের জানুয়ারি থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ৬ লাখ ৪ হাজার ৬০ জন বাংলাদেশি কর্মী উপসাগরীয় ও অন্যান্য আরব দেশ এবং দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে অভিবাসন করেছে। ২০১৮ সালে জানুয়ারি থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭ লাখ ৩৪ হাজার ১৮১ জন কর্মী বাংলাদেশ থেকে কাজের উদ্দেশ্যে বিদেশে অভিবাসন করেছিল। ১৯৭৬ থেকে ২০১৯ সালের নভেম্বর পর্যন্ত সর্বমোট ১ কোটি ২৮ লাখ ৩ হাজার ১৮৪ জন কর্মসংস্থানের জন্য বিদেশে অভিবাসন করেছে।
বিদেশে লেবার উইং বাড়ানো হবে কিনা জানতে চাইলে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, যেকোনও এক্সপেনশনের জন্য অর্থ মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় না করতে থাকে। তবে, আমাদের প্রস্তাব দেওয়া আছে। আমরা মূলত ২৯টি লেবার উইংয়ের জনসংখ্যা বাড়ানোর জন্য প্রস্তাব দিয়েছি। আমাদের ওয়েলফেয়ার বোর্ড আর মন্ত্রণালয় থেকে আমরা চেষ্টা করছি, ওখানে স্থানীয়ভাবে নিয়োগ করা যায় কিনা। যদি আমরা সেটা করতে পারি, তাহলে আশা করি অধিক সেবা দিতে পারবো। আপাতত এইটুকু উদ্যোগই আছে আমাদের।
ক্যাসিনো : গণপূর্তের প্রকৌশলীসহ ৩ জনকে দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ
ঢাকা অফিস
ঠিকাদারি কাজে অনিয়মের মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে গণপূর্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলীসহ তিনজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। যাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তারা হলেন- গণপূর্ত অধিদফতরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মঈনুল ইসলাম, পদ্মা অ্যাসোসিয়েটস ইঞ্জিনিয়ার্স লিমিটেডের ঠিকাদার মিনারুল চাকলাদার ও কক্সবাজারের চকরিয়ার সাহারবিল ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আবদুল হাকিম। রোববার সকাল থেকে দিনভর দুদকের প্রধান কার্যালয়ে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে দুদকের একটি দল। দুদকের মুখপাত্র প্রণব কুমার ভট্টাচার্য বিষয়টি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ২৬ ডিসেম্বর তাদের তলব করে নোটিশ পাঠায় দুদক।
নোটিশে বলা হয়, ‘ঠিকাদার জি কে শামীমসহ (গোলাম কিবরিয়া শামীম) অন্য ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে সরকারি কর্মকর্তাদের শত শত কোটি টাকা ঘুষ দিয়ে বড় বড় ঠিকাদারি কাজ নিয়ে বিভিন্ন অনিয়মের মাধ্যমে সরকারি অর্থ আত্মসাৎ, ক্যাসিনো ব্যবসা করে শত শত কোটি টাকা অবৈধ প্রক্রিয়ায় অর্জন করে বিদেশে পাচার ও জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান চলছে। সুষ্ঠু অনুসন্ধানের জন্য আপনার অধীন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের বক্তব্য রেকর্ড করে পর্যালোচনা করা একান্ত প্রয়োজন।’
গত ১৮ সেপ্টেম্বর ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান শুরু হলে প্রথম দিনই রাজধানীর ইয়াংমেন্স ফকিরাপুল ক্লাবে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে গ্রেফতার হন ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক (পরে বহিষ্কৃত) খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া। এরই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন অভিযানে একে একে গ্রেপ্তার হন কথিত যুবলীগ নেতা ও ঠিকাদার এস এম গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীম, মোহামেডান ক্লাবের ডিরক্টের ইনচার্জ মো. লোকমান হোসেন ভূইয়া, ঢাকা মহানগর যুবলীগ দক্ষিণের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট, সম্রাটের সহযোগী এনামুল হক আরমান, কলাবাগান ক্রীড়াচক্রের সভাপতি মোহাম্মদ শফিকুল আলম (ফিরোজ), অনলাইন ক্যাসিনোর হোতা সেলিম প্রধান এবং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাবিবুর রহমান (মিজান) ও তারেকুজ্জামান রাজীব।
ওয়াজ মাহফিলে উসকানিমূলক বক্তব্য দিলে ব্যবস্থা
ঢাকা অফিস
শীতের শুরুতে দেশের বিভিন্ন স্থানে ইসলামী জলসা শুরু হয়েছে। এ ধরনের জলসা থেকে ধর্মীয় উসকানি দেয়া হচ্ছে। এমনকি সরকারবিরোধী প্রচারণাও চলছে। এ নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে সংসদীয় কমিটি। কমিটির পক্ষ থেকে এ বিষয়ে কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
রোববার জাতীয় সংসদ ভবনে অনুষ্ঠিত ধর্ম মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে এ সুপারিশ করা হয়। সংসদীয় কমিটির সভাপতি মো. হাফেজ রুহুল আমীন মাদানির সভাপতিত্বে বৈঠকে কমিটির সদস্য মনোরঞ্জন শীল গোপাল, জিন্নাতুল বাকিয়া, তাহমিনা বেগম ও রত্মা আহমেদ এবং সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। কমিটি সূত্র জানায়, বৈঠকে আলোচনা শেষে সারাদেশে ইসলামী জলসার নামে ধর্মীয় উসকানিমূলক বক্তব্য ও প্রচারণা বন্ধে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়। এর আগে কমিটির সদস্যরা দেশের বিভিন্ন স্থানে উসকানিমূলক ঘটনা তুলে ধরে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ পরিস্থিতিতে ওয়াজ মাহফিলসহ ধর্মীয় জলসা আয়োজনে স্থানীয় প্রশাসনের অনুমতি বাধ্যতামূলক করা এবং রাত ১১টার পর কোনো অনুষ্ঠান না রাখার পরামর্শ দেয়া হয়। এছাড়া কোনো জলসায় উসকানিমূলক বক্তব্য দেয়া হলে সেই বক্তার পাশাপাশি আয়োজনকদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করা হয়।
পুরুষ নির্যাতন দমন আইনের দাবি
ঢাকা অফিস
নারী নির্যাতন প্রতিরোধ আইনের পাশাপাশি পুরুষ নির্যাতন দমন আইন করারও দাবি জানানো হয়েছে। রোববার (৫ জানুয়ারি) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে বাংলাদেশ মেন’স রাইটস ফাউন্ডেশন (বিএমআরএফ) নামক একটি সংগঠন আয়োজিত মানববন্ধন থেকে এ দাবি জানানো হয়। মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, দেশে অনেক পুরুষের মানবাধিকার লঙ্ঘিত হচ্ছে। কিন্তু কার কাছে এ অধিকারের কথা বলবে? পুরুষের নীরব কান্না শোনার মতো পুরুষ বিষয়ক মন্ত্রণালয়, অধিদফতর বা পরিদফতর নেই। প্রতিদিনই পুরুষ নির্যাতনের নানা অভিযোগ শোনা যায়। অসাধু কিছু নারী বিয়ের নামে কাবিনের ব্যবসা করে নিরীহ পুরুষদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। অথচ তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে না। দ-বিধি ৪৯৭ ধারায় একই অপরাধে পুরুষদের বিরুদ্ধে পাঁচ বছর জেল এবং জরিমানা রয়েছে, কিন্তু নারীদের দায়মুক্তি। এতে কিছু অসাধু নারী পরকীয়ার প্রতি উৎসাহিত হচ্ছে। তারা আরও বলেন, পরকীয়া আসক্ত ও অবাধ্য স্ত্রীকে এ বিষয় কথা বলতে গেলে স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা নারী নির্যাতন ও যৌতুক মামলা দিয়ে হাজতে পাঠিয়ে দিচ্ছে। অথচ স্বামীকে আত্মপক্ষ সমর্থনের কোনো সুযোগ দেয়া হচ্ছে না। পরকীয়া আসক্ত হয়ে অনেক স্ত্রী তার স্বামীকে সর্বস্বান্ত করলেও স্বামী তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নিতে পারছে না। তাই পুরুষ নির্যাতন দমন আইন প্রয়োজন।
সংবিধানের ২৭ অনুচ্ছেদে নারী ও পুরুষের সমান অধিকারের কথা বলা হলেও নারী নির্যাতন দমন আইন আছে, কিন্তু পুরুষ নির্যাতন দমন আইন নেই বলেও জানান মানববন্ধনে অংশ নেয়া বক্তারা। আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান শেখ খায়রুল আলমের সভাপতিত্বে মানববন্ধনে সংগঠনের ঢাকা মহানগরের আহ্বায়ক তাইফুর ইসলাম, যুগ্ম আহ্বায়ক মাজেদ ইবনে আজাদ, সদস্য আনোয়ার হোসেন, লিটন গাজী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।