অনশনের সাথে সংহতি জানিয়ে বিএনপির মানববন্ধন
খবর বিজ্ঞপ্তি
ন্যায়সঙ্গত দাবি আদায়ে পাটকল শ্রমিকদের আন্দোলনের সাথে সরকার বারবার মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে প্রতারণা করছে বলে অভিযোগ করেছেন খুলনা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। সারা দেশের শিশুরা যখন বই উৎসবে মেতে ওঠে সে সময় রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পাটকল শ্রমিক পরিবারের শিশুরা অনশনরত পিতার পাশে না খাওয়া পেট নিয়ে বসে থাকে। সরকার তার অবৈধ ক্ষমতা দীর্ঘায়িত ও নিরঙ্কুশ করতে ১৫ লাখ সরকারি কর্মকর্তা ও আইন শৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর পে কমিশন ঘোষণা মাত্র বাস্তবায়ন করেন। অথচ ২০১৫ সালে ঘোষিত পাটকল শ্রমিকদের মজুরী কমিশন আজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়না। লুটেরা সরকারের দুর্নীতি অনিয়ম অব্যবস্থাপনায় দেশের অর্থনীতি মারাত্মক বিপর্যয়ের মুখে। সরকারের পতন ছাড়া সাধারণ-মেহনতী-খেটে খাওয়া-শ্রমিক শ্রেণীর মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হবে না বলে মন্তব্য করেন তারা।
মজুরী কমিশন বাস্তবায়নসহ ১১ দফা দাবিতে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব পাটকল শ্রমিকদের আমরণ অনশন কর্মসূচির প্রতি সংহতি প্রকাশ করে খুলনায় বিএনপি আয়োজিত মানববন্ধন কর্মসূচিতে দলটির নেতৃবৃন্দ এসব কথা বলেন। বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১ টায় নগরীর কে ডি ঘোষ রোডে দলীয় কার্যালয়ের সামনে সংগঠনের মহানগর ও জেলা শাখার যৌথ আয়োজিত এ কর্মসূচি পালিত হয়।
কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক ও মহানগর সভাপতি নজরুল ইসলাম মঞ্জু। বক্তব্য রাখেন জেলা সভাপতি এ্যাড. এস এম শফিকুল আলম মনা, মনিরুজ্জামান মনি, আমীর এজাজ খান, মীর কায়সেদ আলী, শেখ মোশারফ হোসেন, জাফরউল্লাহ খান সাচ্চু, এ্যাড. ফজলে হালিম লিটন, অধ্যক্ষ তারিকুল ইসলাম, শেখ আব্দুর রশিদ, মেজবাউল আলম, সাইফুর রহমান মিন্টু, বিপ্লবুর রহমান কুদ্দুস, আব্দুর রহিম বক্স দুদু, আবুল কালাম জিয়া, মাহবুব হাসান পিয়ারু, একরামুল হক হেলাল প্রমুখ। পরিচালনা করেন আসাদুজ্জামান মুরাদ ও আশরাফুল আলম নান্নু।
সমাবেশে বক্তারা বলেন, অনশনরত অবস্থায় ইতিমধ্যে তিনজন শ্রমিক মারা গেছেন। গুরুতর অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে অনেকেই। তীব্র শৈত্য প্রবাহে আন্দোলনরতদের অবস্থা অত্যন্ত শোচনীয়। নতুন বছরের শুরুতে সন্তানদের স্কুলে ভর্তি দূরে থাক, তিনবেলা খাবার জুটছে না শ্রমিক পরিবারে। বিএনপি আন্দোলণরত শ্রমিকদের পাশে সব সময় রয়েছে। আজ মন্ত্রণালয়ে বৈঠকে বিষয়টির সুরাহা না হলে বিএনপি কঠোর আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করবে।
কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন স ম আব্দুর রহমান, শেখ জাহিদুল ইসলাম, শেখ ইকবাল হোসেন, রেহানা আক্তার, শাহজালাল বাবলু, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, এ্যাড. তছলিমা খাতুন ছন্দা, ডাঃ আব্দুল মজিদ, আবুল খায়ের খান, সিরাজুল হক নান্নু, মাহবুব কায়সার, নজরুল ইসলাম বাবু, কামরুজ্জামান টুকু, ইকবাল হোসেন খোকন, মেহেদী হাসান দীপু, এহতেশামুল হক শাওন, শেখ সাদী, ইউসুফ হারুন মজনু, সাজ্জাদ আহসান পরাগ, মুর্শিদ কামাল, হাসানুর রশিদ মিরাজ, শামসুজ্জামান চঞ্চল, নাজমুস সাকির পিন্টু, আনিসুর রহমান, নাজিরউদ্দিন আহমেদ নান্নু, হাসান মেহেদী রিজভী, শেখ ইমাম হোসেন, জাফরী নেওয়াজ চন্দন, নিয়াজ আহমেদ তুহনি, কামরান হাসান, হাফিজুর রহমান মনি, হাসানউল্লাহ বুলবুল, খন্দকার ফারুক হোসেন, শেখ সরোয়ার হোসেন, সেলিম সরদার, আফসারউদ্দিন মাস্টার, আশরাফ হোসেন, এ্যাড. মোহাম্মদ আলী বাবু, এইচ এম এ সালেক, হাবিব বিশ্বাস, শাহাবুদ্দিন মন্টু, ইসহাক তালুকদার, জসিমউদ্দিন লাবু, হাসনা হেনা, রবিউল ইসলাম রবি, তৌহিদুল ইসলাম খোকন, ওয়াহিদুর রহমান দীপু, আবু সাঈদ শেখ, ইমতিয়াজ আলম বাবু, আবু সাঈদ শেখ, বাচ্চু মীর, আব্দুল আলিম, নিঘাত সীমা, মাজেদা খাতুন, মোল্লা ফরিদ আহমেদ, আসিফ ইকবাল লিটন, ওমর ফারুক, শামসুর রহমান, লিটন খান, কাজী শাহনেওয়াজ নীরু, আরমান হোসেন, আনসার চৌধুরী, এনামুল হাসান ডায়মন্ড, আবু বক্কর, শফিকুল ইসলাম, কাজী মাহমুদ, মাওলানা আব্দুল গফফার, সাইমুন ইসলাম রাজ্জাক, জাহাঙ্গীর হোসেন, জাকারিয়া লিটন, লিটু পাটোয়ারী, মনিরুল ইসলাম, ওহেদুজ্জামান, রাহাত আলী লাচ্চু, আব্দুল হালিম, ডাঃ আলম, জুলকার নাঈম, বুলবুল আহমেদ, সেলিম রেজা, মনিরুজ্জামান মনি, জাকির হোসেন, আসাদুজ্জামান আসাদ, হুমায়ুন কবির, সাদ্দাম হোসেন প্রমুখ।